চীনা নির্ভরতা কমিয়ে ভারতে ই-স্কুটারের অত্যাধুনিক ব্যাটারি সেল উৎপাদনের লক্ষ্যে হাত মেলাল Simple Energy ও C4V

বৈদ্যুতিক যানবাহনে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির মূল উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল’ ভারতের মাটিতেই উৎপাদনের লক্ষ্যে গাঁটছড়া বাঁধল বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ সিম্পল এনার্জি (Simple Energy) এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি টেকনোলজি সংস্থা সিফোরভি (C4V)। ইতিমধ্যেই দুই সংস্থার কর্তাদের মধ্যে একটি মৌ সাক্ষর হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থায় পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সিম্পল এনার্জি। এই নতুন পার্টনারশিপ সংস্থার সেই লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে‌ সংস্থাটির লক্ষ্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১ লাখ বিদ্যুৎচালিত স্কুটার বিক্রি।

সিফোরভির পেটেন্ট নেওয়া ইন্ডাস্ট্রি লিডিং সেফটি, হাই-এনার্জি ডেনসিটি, দ্রুত চার্জ হওয়ার সুবিধাযুক্ত, এবং দীর্ঘস্থায়ী মেড-ইন-ইন্ডিয়া ব্যাটারি সেল সিম্পল এনার্জি তাদের দু’চাকা এবং আপকামিং চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহার করবে। সিফোরভির দাবি, তাদের ব্যাটারি এমন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি যা আগুন ধরে যাওয়া বা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে দেয় না।

সিম্পল এনার্জির সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্রেষ্ঠ মেহতা বলেন, “এই পার্টনারশিপের পিছনে মূল কারণটি হল, দেশীয় প্রযুক্তি নিয়ে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট করা দুই সংস্থাকে মেলানো। আমরা ভারতেই পণ্য বিকাশ এবং উৎপাদন করতে চায়। আমাদের উদ্দেশ্য, অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে যা এদেশীয় বলে চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানো।”

ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকান্ডের মতো সাম্প্রতিক ঘটনাকে উদ্ধৃত করে শ্রেষ্ঠ আরও বলেন যে,”খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি, ইন-হাউজ সেল টেকনোলজির বিকাশ এগজিস্টিং সেল তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল উপরকণের উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে। নতুন ব্যাটারি সেলগুলি ভারতীয় পরিবেশের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে যাতে এফিশিয়েন্সি বাড়ে এবং আগুন ধরার ঝুঁকি কমে যায়।”

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ অগাস্ট সিম্পল এনার্জি (Simple Energy)-র প্রথম ফ্ল্যাগশিপ বিদ্যুৎচালিত স্কুটার সিম্পল ওয়ান (Simple One) আত্মপ্রকাশ করেছিল৷ তখন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের ই-স্কুটার আদর্শ পরিস্থিতিতে একচার্জে ২৩৬ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। গত মাসে একটি অতিরিক্ত ব্যাটারি সহযোগে সিম্পল ওয়ানের আপডেটেড ভার্সন লঞ্চ হয়েছে৷ ডেলিভারি শুরু হলে জুন মাস থেকে।

আর ক’সপ্তাহের মধ্যেই সংস্থার হোসুরের কারখানায় ই-স্কুটারটির উৎপাদন চালু হবে। এই প্ল্যান্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লক্ষ ইউনিট। আবার তামিলনাড়ুর ধর্মাপুরীতে ৬০০ একর জমির উপর বিশ্বের বৃহত্তম ই-স্কুটার কারখানা গড়তে তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে মৌ সাক্ষর করেছে সিম্পল এনার্জি। এখানে আগামী পাঁচ বছর ধরে ২৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে বলে ঘোষণা করেছে তারা।