2023 সালে Tata লঞ্চ করবে এই গাড়িগুলি, এখন থেকেই Hyundai, Mahindra-র টেনশন শুরু

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আসতে চলেছে আরোও একটি নতুন বছর। এই নতুন বছরে যেমন প্রত্যেকটি মানুষের নতুন পরিকল্পনা থাকে তেমনই বিভিন্ন গাড়ি সংস্থাগুলির তালিকাতেও…

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আসতে চলেছে আরোও একটি নতুন বছর। এই নতুন বছরে যেমন প্রত্যেকটি মানুষের নতুন পরিকল্পনা থাকে তেমনই বিভিন্ন গাড়ি সংস্থাগুলির তালিকাতেও রয়েছে বেশ কিছু নতুন গাড়ির সম্ভার। টাটা মোটর কয়েক’মাস আগেই ভারতের বাজারে Tiago EV লঞ্চ করেছে। ইতিমধ্যেই Tiago, Tigor CNG এবং Nexon EV Max মডেলগুলি হইহই করে বিকোচ্ছে এদেশের বাজারে। তবে আগামী বছরেই তাদের গাড়ির পোর্টফোলিওতে যুক্ত হচ্ছে আরো কিছু নতুন মডেল। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে হ্যাচব্যাক, তেমনি থাকবে এসইউভি এবং ইলেকট্রিক মডেল। ২০২৩ এ আগত টাটা মোটরসের তেমনই চারটি গাড়ির সন্ধান রইল এখানে।

Tata Altroz EV

বিগত ২০১৯ সালে জেনেভাতে আয়োজিত মোটর শো-তে টাটা তাদের এই প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক Altroz এর বৈদ্যুতিক সংস্করণের আবরণ উন্মোচন করে। Altroz EV সেই একই আলফা (ALFA) প্ল্যাটফর্মের উপর তৈরি। খবর সত্যি হলে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধেই লঞ্চ করতে চলেছে টাটার এই প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক।

Nexon EV-তে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মোটর, পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট (PDU) এবং ব্যাটারি প্যাকের মধ্যে অনেক কিছু জিনিসই দেওয়া হবে এই নতুন Altroz EV-তে। এই গাড়িটিতে থাকা কানেক্টেড প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়ির ব্যাটারির অবস্থা, চার্জিং হিস্ট্রি এবং নিকটবর্তী চার্জিং স্টেশন সম্বন্ধে সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাবে।

Tata Punch EV

২০২১ সালে অক্টোবরে প্রথম ভারতে পা রেখেছিল টাটা মোটরসের সাবকম্প্যাক্ট এসইউভি মডেল পাঞ্চ। ফাইভ স্টার সেফটি রেটিং এবং উন্নত ফিচারের সৌজন্যে মুহূর্তের মধ্যেই ভারতবাসীরা যেন একে লুফে নিয়েছিল। এই কয়েক মাসের মধ্যেই পাঞ্চের জনপ্রিয়তা অনেক গাড়ি নির্মাতার মনেই ঈর্ষার জন্ম দেয়। এহেন জনপ্রিয় গাড়ির বৈদ্যুতিক সংস্করণ লঞ্চ করছে আগামী ২০২৩ সালেই।

পাঞ্চ ইভিতে চালিকাশক্তি যোগাবে Tiago EV ও Tigor EV-তে ব্যবহৃত একই ধরনের Ziotron-এর বৈদ্যুতিক মোটর। টাটা পাঞ্চের এই বৈদ্যুতিক সংস্করণটি এক চার্জে প্রায় ৩০০-৩৫০ কিমি চলতে পারবে। এমনকি এই গাড়িটির ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিন যুক্ত সংস্করণ থেকে সামান্য কিছু কসমেটিক পরিবর্তন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

2023 Tata Harrier

২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া এসইউভি হ্যারিয়ার ইতিমধ্যেই নানা এডিশন এবং ভিন্ন কালার অপশনে বাজারে এসেছে। তবে আক্ষেপ ছিল ফেসলিফ্ট সংস্করণের। আর এবার সেই স্বাদই পূরণ করতে চলেছে টাটা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাস্তায় টাটা হ্যারিয়ারের এই নতুন সংস্করণের টেস্টিং করতে দেখা দিয়েছে। সম্পূর্ণ ক্যামোফ্লেজে আবদ্ধ থাকলেও এর সামনে থাকা নতুন ফ্যাসিয়া, গ্রিল এবং এয়ারড্যাম সবকিছুই যেন এক আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এমনকি গাড়িটির সামনে রয়েছে লক্ষ্য করা গেছে একটি নতুন রেডারের। একজোড়া নতুন এলইডি হেডলাইট ও এলইডি ডিআরএল থাকবে এতে।

এছাড়াও গাড়িটিতে নতুন ধরনের ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল এবং বাম্পারে কিছু পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে। তবে অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ হিসাবে খেতে থাকবে কানেক্টেড ফিচারসহ একটি বড় আকারের টাচস্ক্রিন যুক্ত ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার সহ আরো অনেক কিছুই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বলতে গেলে হ্যারিয়ার ফেসলিফ্টে ১৭০ বিএইচপি ও ৩৫০ এনএম টর্ক সমৃদ্ধ ২.০ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন থাকবে এতে। এর সাথে ছয় স্পিড যুক্ত ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক দুই ধরনের ট্রান্সমিশন সিস্টেমই অপশন হিসেবে পাবে গ্রাহকরা। তবে কানা-ঘুসো শোনা যাচ্ছে হ্যারিয়ারের এই ফেসলিফট সংস্করণে ১.৫ মিটারের টার্বোচার্জড পেট্রোল ইঞ্জিন ভার্সন থাকতে পারে।

Tata Safari Petrol

টাটা সাফারি পেট্রোল কয়েকদিন আগেই টেস্টিং করতে দেখা গিয়েছে এ দেশের রাস্তায়। তাই আগামী বছরেই পাকাপাকিভাবে ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে এটি। এই নতুন মডেলটিতে চালিকাশক্তি যোগাবে ১.৫ লিটারের টার্বোচার্জড Revotron পেট্রোল ইঞ্জিন, যা থেকে উৎপাদিত পাওয়ার ও টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৬০ বিএইচপি ও ২৫০ এনএম। ডিজেল ভার্সনের মতোই পেট্রোল সংস্করণেও ছয় স্পিড যুক্ত ম্যানুয়াল ও ছয় স্পিড যুক্ত টর্ক কনভার্টার অটোমেটিক গিয়ার বক্স অপশনাল হিসেবে থাকবে।

বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না বলেই জানা গিয়েছে। মতোই ৮.৮ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, অ্যাপেল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো সাপোর্ট, iRA কানেকটেড কার টেকনোলজি, প্যানোরামিক সানরুফ, রেইন সেন্সিং ওয়াইপার, এলইডি হেডল্যাম্প, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল সহ সব কিছুই থাকবে এতে।