এক্কেবারে আলাদা, Himalyan 450 এর যে পাঁচ ফিচার্সের কারণে রয়্যাল এনফিল্ডের অন্য বাইক পাত্তা পাবে না

শোনা যাচ্ছে, প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধেই লঞ্চ হতে পারে Royal Enfield Himalayan 450। দেশের অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জগতে বড়সড়ো ধামাকা নিয়ে আসতে চলেছে এটি। এই সেগমেন্টের অন্যতম দুই মহারথী KTM 390 Adventure এবং BMW G310 GS এর সঙ্গেই প্রধাণত পাঙ্গা নিতে হবে হিমালয়ান ৪৫০-কে। এআনুমানিক এক্স শোরুম মূল্য হবে ২.৭০ লাখ টাকার আশেপাশে। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান হিমালয়ান ৪১১ এর তুলনায় উপরেই অবস্থান করবে এই নতুন হিমালয়ান। বিগত এক-দেড় বছরে যে সব লঞ্চ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড, তাদের বৈশিষ্ট্যে বেশ নতুনত্বের দেখা মিলেছে। তবে Royal Enfield Himalayan 450 এমন কিছু ফিচার নিয়ে আসবে, যা সংস্থার অন্যান্য বাইকের থেকে আলাদা করবে একে। সেগুলি কী কী দেখে নেওয়া যাক।

ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল

বিভিন্ন সময়ে স্পাই ক্যামেরায় ধরা পড়া হিমালয়ান ৪৫০ এর টেস্টিং করার ছবিতেই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে এর গোলাকার ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলকে। বিশেষ কৌণিক অবস্থানে এমন ভাবে বাইকের সঙ্গে লাগানো রয়েছে এই ডিসপ্লেটি যা বাইকের সিটে বসে হোক কিংবা ফুটপেগের উপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও সঠিকভাবে রাইডারকে দেখতে সাহায্য করবে।

নতুন ৪৫০ সিসির ইঞ্জিন

রয়্যাল এনফিল্ড তাদের এই বাইকটিতে একদম নতুন ৪৫০ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করবে। লিকুইড কুল্ড ওই ইঞ্জিনে থাকছে একটি সিলিন্ডার। আগামীতে ৪৫০ সিসির প্লাটফর্মের উপর তৈরি করা অন্যান্য বাইকেও থাকবে ঠিক একই ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৪০ বিএইচপি এবং ৩৫ এনএম। সঙ্গে থাকছে সিক্স স্পিড গিয়ার বাক্স এবং স্লিপার ক্লাচ।

নতুন প্লাটফর্ম

রয়্যাল এনফিল্ডের পোর্টফলিওতে থাকা অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের বাইক দুটি যে প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত তার বদলে সম্পূর্ণ নতুন চ্যাসিস ব্যবহার করা হবে সামনেই আগত হিমালয়ান ৪৫০ এর মধ্যে। এর ফলে অফ-রোডে চলার জন্য বাইকটির সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হ্যান্ডেলিং করার ক্ষমতাও উন্নত হবে। বর্তমানে হিমালয়ান ৪১১ তে ব্যবহৃত হাফ ডুপ্লেক্স স্প্লিট ক্রেডেল ফ্রেম এর তুলনায় যথেষ্ট হালকা এই নতুন চ্যাসিস।

এলইডি হেডল্যাম্প, টেলল্যাম্প এবং ইন্ডিকেটর

হিমালয়ান ৪৫০ এর টেস্টিং মডেলটিতে দেখা গেছে এর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গোলাকার এলইডি হেডল্যাম্প, এলইডি টেলল্যাম্প এবং এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে রয়্যাল এনফিল্ডের অন্যান্য টু-হুইলার মডেলগুলিতে হ্যালোজেন হেডলাইট লাগানো থাকলেও সদ্য লঞ্চ হওয়া ফ্ল্যাগশিপ মডেল Super Meteor 650 এর ক্ষেত্রে এমন এলইডি হেডল্যাম্প দেখতে পাওয়া গেছে।

ফ্রন্ট ইউএসডি ফর্ক

সুপার মিটিয়র ৬৫০ এরপরে রয়্যাল এনফিল্ড এর ইতিহাসে দ্বিতীয় বাইক হিসাবে সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক পেতে চলেছে হিমালয়ান ৪৫০। উঁচু-নিচু পার্বত্য রাস্তায় চলাচলের সময় বাড়তি নির্ভরতার প্রদান করবে এই ইউএসডি সাসপেনশন। সামনের দিকে দীর্ঘ ট্রাভেল সাসপেনশনের সঙ্গেই পিছনের দিকে থাকছে প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজর্ভার।