এই গরমে সাইকেল না ঠেলে সবচেয়ে সস্তায় স্কুটার কিনুন, ফিচার-মাইলেজ সন্তুষ্ট রাখবে

এখন কিছু কিছু স্কুটারের চাহিদা মোটরসাইকেলকেও পিছনে ফেলেছে। সহজে চালানোর সুবিধা ও মালপত্র বহনের ক্ষমতার জন্যই অতি দ্রুত সেগুলি পছন্দের হয়ে উঠেছে। ১১০ সিসির স্কুটারের চেয়ে বেশি উন্নত ১২৫ সিসি মডেল কিনতে ঝোঁক বাড়ছে গ্রাহকদের। দামও সাধ্যের মধ্যে। বাজেট নিয়ে যাতে চিন্তা করতে না হয় তাই সাধারণের হাতের মুঠোয় থাকা সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে উপলব্ধ ১২৫ সিসির পাঁচ স্কুটারের তালিকা রইল এই প্রতিবেদনে।

Hero Destini 125

১২৫ সিসি সেগমেন্টে এই মুহূর্তে সবচেয়ে পকেট ফ্রেন্ডলি স্কুটার হল হিরো ডেসটিনি। এর স্ট্যান্ডার্ড এলএক্স এবং এক্সটেক ভ্যারিয়েন্টের এক্স শোরুম মূল্য যথাক্রমে ৭১,৬০৮ টাকা, ৭৭,২১৮ টাকা ও ৮৩,৮০৮ টাকা। তালিকায় এটি একমাত্র স্কুটার যেখানে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকের পরিবর্তে রয়েছে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক। স্কুটারটির এক্সটেক ভার্সনে এলইডি হেড লাইট, মোবাইল ফোন চার্জিং পোর্ট, ক্রোমের হ্যান্ডেল বার এন্ড, দেখতে পাওয়া যায়। ব্লুটুথের মাধ্যমে কানেক্ট করে ড্যাশবোর্ডে ফোনের কল এবং এসএমএস এলার্ট পাওয়া যায়। হিরো ডেসটিনি ৯ বিএইচপিএবং ১০.৪ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১২৪.৬ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত।

Hero Maestro Edge 125

হিরো ডেসটিনির খানিকটা উন্নত এবং স্পোর্টি ভার্সন হলো হিরো মায়েস্ত্রো এজ ১২৫। উভয় ক্ষেত্রেই একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও মায়েস্ত্রোতে একাধিক উন্নত ফিচার দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। হিরো কানেক্ট অ্যাপ দ্বারা মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, লাইভ ট্রাকিং, জিও ফেন্সিং, পার্কিং লোকেশন, টো অ্যাওয়ে নোটিফিকেশন এবং রাইডিং রিপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য দেখা যায় এতে।

এর পাশাপাশি এলইডি লাইটিং, রিয়েল টাইম মাইলেজ ইন্ডিকেটর, অ্যালয় হুইল এই সমস্ত কিছুই হিরো মায়েস্ত্রো এজ কে করে তুলেছে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। মোট চারটি ভার্সনে উপলব্ধ এটি। যার মধ্যে একটি ৭৭,৮৯৬ টাকা দামের ড্রাম ব্রেক যুক্ত অ্যালয় হুইল মডেল এবং ৮২,৩৪৬ টাকা দামে ডিস্ক ব্রেক যুক্ত অ্যালয় হুইল রয়েছে। একই ফিচারের প্রিজমেটিক রংয়ের দাম ৮২,৭৬৬ টাকা। এছাড়াও ব্লুটুথ মডেলটির মূল্য ৮৬,৭৬৬ টাকা।

Yamaha Fascino 125

৭৮,৬০০ টাকা থেকে শুরু হওয়া ইয়ামাহা ফ্যাসিনো ১২৫ স্কুটারটি মাইল্ড হাইব্রিড প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তৈরি। এর মধ্যে থাকা ইলেকট্রিক মোটর অতিরিক্ত শক্তি সরবরাহ করে। ডিস্ক এবং ড্রাম এই দুই ধরনের ব্রেকের অপশন রয়েছে এতে। প্রথমটি ৭৮,৬০০ টাকা থেকে ৭৯,৬০০ টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া গেলেও দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে খরচ হবে ৮৯,২৩০ টাকা থেকে ৯২,০৩০ টাকা(এক্স শোরুম)।

স্কুটারটির ১২৫ সিসির ইঞ্জিনটি থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট ৮ বিএইচপি এবং ১০.৩ এনএম, যা এই সেগমেন্টের সর্বনিম্ন। সিটের উচ্চতা ৭৮০মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৪৫ মিমি। তবে ইয়ামাহা ফ্যাসিনোর অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতোই এক্ষেত্রেও ব্লুটুথ এর মাধ্যমে এসএমএস, ইমেইল এবং কল এলার্ট পাওয়া যায়।

Honda Activa 125

সম্প্রতি হোন্ডা তার অ্যাক্টিভার আপডেটেড ভার্সন লঞ্চ হয়েছে, যা আগের মতই ৮.২ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৪ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১২৪ সিসির ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। স্কুটারটিতে থাকা ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সৌজন্যে রিয়েল টাইম মাইলেজ, রাইডিং রেঞ্জ এবং অ্যাভারেজ মাইলেজ সম্পর্কে তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। যদিও এর টপ ভ্যারিয়েন্টের অন্যতম বড় আকর্ষণ H-Smart প্রযুক্তি, যার ফলে চাবি ছাড়া ১০ মিটার দূরত্ব থেকেও ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়া এবং অতিরিক্ত সেফটি ফিচার হিসেবে ইঞ্জিন লক করে রাখার সুবিধা পাওয়া যাবে।

অ্যাক্টিভা ১২৫ এর চারটি ভ্যারিয়েন্টের প্রথমটি ৭৮,৯২০ টাকা দামের ড্রাম ভার্সন। এছাড়াও ৮২,৫৮৮ টাকায় অ্যালয় হুইলের সঙ্গে ড্রাম, ৮৬,০৯৩ টাকায় ডিস্ক এবং ৮৮,০৯৩ টাকায় এইচ স্মার্ট মডেলটি কিনতে পাওয়া যায় (এক্স শোরুম )।

Suzuki Access 125

১২৪ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ সুজুকি অ্যাক্সেস এই সেগমেন্টের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডেল। এই ইঞ্জিনটি থেকে ৮.৬ বিএইচপি এবং ১০ এনএম টর্ক জেনেরেট হয়। ড্রাম ব্রেকসহ স্ট্যান্ডার্ড এডিশন, অ্যালয় হুইলের সঙ্গে ড্রাম ব্রেক এবং ডিস্ক ব্রেক এই তিনটি এডিশনে কিনতে পাওয়া যায়, সুজুকির এই স্কুটারটি। যাদের এক্স শোরুম মূল্য যথাক্রমে ৭৯,৪০০ টাকা, ৭৯,৬০০ টাকা এবং ৮৩,১০০ টাকা।

এছাড়াও ৮৪,৮০০ টাকায় স্পেশাল এডিশন ডিস্ক ব্রেক মডেলও উপলব্ধ রয়েছে বাজারে, যা ড্রাম এবং ডিস্ক ব্রেক অপশনে উপলব্ধ। এই দুটি কিনতে খরচ হবে ৮৫,৫০০ টাকা এবং ৮৯,৫০০ টাকা। ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসল এর সঙ্গে ব্লুটুথ, এলইডি হেডলাইট, ডিআরএল, সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ সেন্সর, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট রয়েছে সুজুকি অ্যাক্সেস ১২৫ মডেলটিতে।