শোরুম থেকে ঝাঁ চকচকে গাড়ি বাড়িতে নিয়ে আসতে কার-ই না ভালো লাগে। তার নতুন চোখ ধাঁধানো রঙের আস্তরণে মুগ্ধ হই সকলে। কিন্তু কয়েকদিন চালাতে না চালাতেই গাড়ির সেই চাকচিক্য ম্লান হতে শুরু করে। আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ধুলো ও রোদ্দুরের তাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর রং। আর এভাবেই বছরের পর বছর ধরে গাড়ির আসল সৌন্দর্য কমার সাথে সাথেই কমতে থাকে তার “রিসেল ভ্যালু”। তাই গাড়ির মালিককে এই ব্যাপারে অতিরিক্ত যত্নবান হওয়াটা খুব দরকারি৷ এ ক্ষেত্রে পাঁচটি উপায় মেনে চললে অতি সহজেই আপনার সাধের গাড়িটির বাহ্যিক চাকচিক্য বছরের পর বছর ধরে রাখা সম্ভব।
গাড়িতে ব্যবহৃত রংয়ের আস্তরণে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তন্তুগুলি সূর্যের ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে আসছে নষ্ট হয়। কেশাগ্রের ন্যায় ফাটল সৃষ্টি হয় দীর্ঘক্ষণ সূর্যের তাপ পেলে। আর এতেই একটু একটু করে বিবর্ণ হয়ে যায় গাড়ির রঙের প্রলেপ। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন উপরে নিদেনপক্ষে ছাদ আছে কিংবা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে আপনার গাড়িটি পার্ক করতে।
যদি আপনার গাড়িটি দীর্ঘ সময় ধরে উন্মুক্ত কোন স্থানে রাখার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই উন্নত মানের কভার ব্যবহার করুন। এর ফলে গাড়ির দামি যন্ত্রাংশের পাশাপাশি এর রংটিও বাইরের ধুলোবালির হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পায়। তাছাড়া আজকালকার দিনের বিশেষ ধরনের উপকরণ দিয়ে ব্যবহৃত এই কভারগুলি গাড়ির কেবিনকে খানিকটা ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
গাড়ির বহিরঙ্গে থাকা রঙের প্রলেপ শুধুমাত্র তার সৌন্দর্যের জন্যই করা হয় না, এর পাশাপাশি গাড়ির বাইরের অংশকে মরচে পরে নষ্ট হওয়ার থেকেও অনেকাংশে রক্ষা করে। তাই এই রংয়ের উপর দীর্ঘদিন ধরে ধূলিকোনার আস্তরণ জমতে থাকলে তা বাস্তবিক ক্ষেত্রে এর ক্ষতিসাধন করে। ফলে ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে থাকে এই কালার। তাই অবশ্যই নিয়মিত ভালো মানের কার ওয়াশিং শ্যাম্পু দিয়ে আপনার পছন্দের গাড়িটি ধোয়া উচিত। সম্পূর্ণ ধোয়ার পর নরম সুতির কাপড় দিয়ে পুরো বাইরের অংশটি ভালোভাবে মুছে ফেলুন। কারণ বাইরের অংশে জল বিন্দু লেগে থাকলে তা শুকিয়ে দাগ পড়তে পারে বিভিন্ন জায়গায়। সম্ভব হলে আপনার গাড়িটি ফোম দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করুন। এটা অনেক বেশি ভালো গাড়ির জন্য।
আজকালকার দিনে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওয়াক্স পলিশ কিনতে পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকবার গাড়িটি ধোয়ার পর সম্পূর্ণ অংশে এই ওয়াক্স পলিশ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। রংয়ের উপর ওয়াক্স এর আস্তরণ থাকলে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি অনেকটাই কম ক্ষতিসাধন করতে পারে।
গাড়ির বহিরঙ্গের রঙের আস্তরণ সঠিকভাবে রাখতে হলে সবচেয়ে উন্নত ব্যবস্থা হল এর উপর সিরামিক কিংবা টেফলনের কোটিং করিয়ে নেওয়া। যদিও এটি করতে হলে অবশ্যই দক্ষ মেকানিকের প্রয়োজন। গাড়ির বাইরের অংশের তাপমাত্রা নির্ধারণ করে তবেই এই কোটিং করানো হয়। এর ফলে বাতাসে থাকা ধুলোকণা কোনভাবেই গাড়ির রঙের সংস্পর্শে আসতে পারে না। মাইক্রোফাইবারের কোন টাওয়েল দিয়ে সহজেই মুছে ফেলা সম্ভব ধুলোবালিকে।
তাই অবশ্যই এই কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রেখে নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত অটুট থাকবে আপনার গাড়ির রং।
Samsung Galaxy Z Fold 6 Slim ফোনটিকে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্যামসাং। তবে তার আগেই…
ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন চর্চায়। ইউটিউবে নিজের নতুন চ্যানেল 'ইউআর-ক্রিশ্চিয়ানো' চালু করে একদিনে বেশ…
আপনি কি গারেনা ফ্রি ফায়ার-এর আজকের রিডিম কোড খোঁজ করেছেন? তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য।…
বর্তমানে মহারাজা ট্রফি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলছে কর্ণাটকে। শুক্রবার বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্স ও হুবলি টাইগার্সের অনুষ্ঠিত হয়েছিল…
রেডমির নোট সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে বেশ জনপ্রিয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি বাজেট সেগমেন্টে ভালো ক্যামেরা,…
Redmi 14C ফোনটি চলতি মাসের শেষেই বাজারে পা রাখতে চলেছে। লঞ্চের আগে এটিকে এখন একটি…