TVS এর ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদা সমস্ত রেকর্ড ভাঙল, এই প্রথম পাঁচ অঙ্কের ঘরে বিক্রি
দেখতে দেখতে ২০২২-এর অন্তিম মাস ডিসেম্বরে উপনীত হয়েছি আমরা। প্রতিবারের ন্যায় এমাসের শুরুতেও বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থা...দেখতে দেখতে ২০২২-এর অন্তিম মাস ডিসেম্বরে উপনীত হয়েছি আমরা। প্রতিবারের ন্যায় এমাসের শুরুতেও বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থা তাদের গত মাসের বেচাকেনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। তেমনই এবার বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম টু-হুইলার কোম্পানি টিভিএস মোটর (TVS Motor) তাদের একমাত্র ইলেকট্রিক স্কুটার iQube-এর বিক্রির হিসাবনিকাশ প্রকাশ করল। নভেম্বরে TVS iQube-এর মোট ১০,০৫৬ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। যেখানে আগের বছর ওই মাসে বিক্রির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৯৯টি।
এই প্রথম দশ হাজার বিক্রির গণ্ডি পার করল স্কুটারটি। যা দেখে উচ্ছ্বসিত টিভিএস। দেশের বাজারে Ola S1, Bajaj Chetak ও Ather 450X-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে iQube। এটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বিক্রি করা হয় – Standard, S এবং ST। ই-স্কুটারটির স্ট্যান্ডার্ড মডেলের দাম ১.৬৭ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এর এস ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ১.৭২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। যদিও এসটি মডেলটির দাম এখনও ঘোষণা করেনি টিভিএস। তাই আপাতত এর বুকিং গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
টিভিএস আইকিউব-এ উপস্থিত একটি ৪.৪ কিলোওয়াট ক্ষমতার বিএলডিসি হাব-মোটর, যা থেকে ৩ কিলোওয়াট শক্তি এবং ৩৩ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সহ অফার করা হয় স্কুটারটি। এর ব্যাটারি প্যাক এবং মোটরটি IP67 মাপকাঠি যুক্ত। নীচে টিভিএস আইকিউবের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে আলোচনা রইল।
TVS iQube STD
iQube-এর স্ট্যান্ডার্ড ট্রিমের ইকোনমি মোডে ১০০ কিমি এবং পাওয়ার মোডে ৭৫ কিমি রেঞ্জ পাওয়া যায়। এর ব্যাটারি প্যাকের ক্ষমতা ৩.০৪ কিলোওয়াট আওয়ার। যা ০-৮০% চার্জ হতে সাড়ে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৭৮ কিমি।
TVS iQube S
S ট্রিমটিও ইকোনমি মোডে ১০০ কিমি এবং পাওয়ার মোডে ৭৫ কিমি রেঞ্জ অফার করে। এর ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ৩.০৪ কিলোওয়াট আওয়ার। এতে রয়েছে ৫-ওয়ে জয়স্টিক সহ একটি ১৭.৭৮ সেন্টিমিটার টিএফটি স্ক্রিন। এটির দ্বারা মিউজিক নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক কাজ করা যায়।
TVS iQube ST
iQube-এর সবচেয়ে প্রিমিয়াম মডেলটি হল ST। এতে ৪.৫৬ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক রয়েছে। যা থেকে ইকোনমি মোডে ১৪৫ কিমি এবং পাওয়ার মোড ১১০ কিমি রেঞ্জ মেলে। ব্যাটারিটি ০-৮০% চার্জ হতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। তবে ফাস্ট চার্জারে আড়াই ঘন্টাতেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। এতে নেভিগেশন যুক্ত একটি টাচস্ক্রিন রয়েছে।