Bajaj Pulsar N160 নাকি Hero Xtreme 160R? আপনার জন্য উপযুক্ত 160 সিসির কোন বাইক

১৬০ সিসি ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল মার্কেটে বরাবরই  প্রতিযোগিতা খুব বেশি। এই সেগমেন্টে প্রত্যেক নির্মাতার হাতেই রয়েছে দুর্দান্ত সব মডেল। এদিকে Bajaj তাদের জনপ্রিয় Pulsar সিরিজে গত বছর থেকেই নতুন নতুন মডেল লঞ্চ করে চলেছে। ২০২১-এর অক্টোবরে আত্মপ্রকাশ করেছিল Pulsar N250 ও F250। আর জুনে বাজারে আসে Pulsar N160। N250 এর ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই নেকেড বাইকটির জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। আবার এই সেগমেন্টে অনেক আগে থেকেই নিজের জায়গা পাকা করে রেখেছে Hero Xtreme 160R। তাহলে বাইক দু’টির মধ্যে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে? তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সেটা।

Bajaj Pulsar N160 vs Hero Xtreme 160R: ডিজাইন

পালসার এর ডিজাইন খানিকটা পুরাতন হলেও এর নেকড়ের চোখের মতো হেডল্যাম্প বাস্তব ক্ষেত্রেই বাইকটিকে অ্যাগ্রেসিভ লুক প্রদান করে। তবে অতীতের পালসারগুলির তুলনায় এন১৬০ অনেক বেশি আধুনিক। বাহ্যিক দিক থেকে অনেকটাই এন২৫০ এর মতো দেখতে।  সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় অংশ আন্ডার বেলি (Belly) একজস্ট পাইপ, যা এই সেগমেন্টে সর্বপ্রথম। সাথে অতিরিক্ত আকর্ষণ বাড়িয়েছে, সামনে থাকা এলইডি প্রোজেক্টর হেডলাইট ও বৃহদাকার ফুয়েল ট্যাংক। এক কথায়, দেখতে চমৎকার এবং আগ্রাসী।

অন্যদিকে হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর নেকেড স্ট্রিট ফাইটার হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে। বাইকটির সমস্ত অংশে এলইডি লাইটের কাজ আলাদা মাত্রা জুগিয়েছে। তাছাড়াও সামনে থাকা অ্যাগ্রেসিভ লুকের এলইডি হেডলাইট ও মাস্কুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাইকটির স্পোর্টি ডিজাইন পালসার এন১৬০ এর মতো  “রোড প্রেজেন্স” তৈরি করতে না পারলেও, অনেক মানুষেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে এটি।

Bajaj Pulsar N 160 vs Hero Xtreme 160R: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

বাজাজ পালসার এন১৬০-কে চালিকা শক্তি যোগায় ১৬৪.৮২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ১৬ পিএস ক্ষমতা ও ১৪.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপযুক্ত গিয়ার বক্স। অন্যদিকে এক্সট্রিম ১৬০আর-এ দেওয়া হয়েছে ১৬৩ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন, যার সর্বোচ্চ আউটপুট ১৫.২ পিএস ও ১৪ এনএম। এই মডেলটির ক্ষেত্রেও ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স লাগানো রয়েছে। অর্থাৎ ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা হিসেবে ১৬০ সিসি পালসার তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরোর থেকে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে।

Bajaj Pulsar N 160 vs Hero Xtreme 160R: বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বিচার করলে দুটি মডেলই আধুনিক সমস্ত রকম ফিচার্সে ভরপুর। এক্সট্রিম ১৬০আর-এ থাকা ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাছাড়াও গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, ইউএসবি চার্জার ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ রয়েছে এতে। পিছিয়ে নেই পালসার এন১৬০। এতে এলইডি হেডলাইট, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, অ্যানালগ ট্যাকোমিটার দেওয়া হয়েছে। সাথে এই সেগমেন্টের প্রথম ফিচার হিসাবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস বর্তমান।

Bajaj Pulsar N160 vs Hero Xtreme 160R: হার্ডওয়ার

ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে পালসার এন১৬০-এর সামনে ও পিছনে যথাক্রমে ৩০০ মিমি ও ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। তুলনাস্বরুপ, হিরো এক্সট্রিম ১৬০ এর সামনে ও পিছনে উভয় দিকেই ২৭৬ মিমি ও ২২০ মিমির পেটাল ডিস্ক দেওয়া হয়েছে। দুটি বাইকের ক্ষেত্রেই সামনে ১০০/৮০ সেকশনের টায়ার ও পিছনে ১৩০/৭০ সেকশনের টায়ার লাগানো রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই সামনে ৩৭ মিমি ফর্ক ও পিছনে মনোসক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে।

Bajaj Pulsar N160 vs Hero Xtreme 160R: দাম

Hero Xtreme 160R এর বেস মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ১.১৭ লাখ টাকা। আর টপ সংস্করণটির দাম ১.২২ লাখ। অন্যদিকে Bajaj Pulsar N160 মডেলটির ডুয়েল ডিস্ক সংস্করণের এক্স শোরুম মূল্য ১.২৩ লাখ টাকা। প্রতিটি দাম এক্স-শোরুমের।