অবিকল হার্লে ডেভিডসন-এর মতো দেখতে ক্রুজার বাইক লঞ্চ করল Honda

লম্বা হুইলবেস ও ও বড় ট্রাভেল সাসপেনশন যুক্ত ক্রুজার বাইক বলতেই যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে হার্লে ডেভিডসনের ববার ও ক্রুজার স্টাইলের বাইকগুলির কথা। এই বাইকগুলোর জনপ্রিয়তা এতটাই যে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন সংস্থা এই ধরনের বাইকের অনুকরণে নিত্যনতুন বাইক আজও লঞ্চ করে চলেছে। বাজাজ অ্যাভেঞ্জারের জনপ্রিয়তার পেছনেও রয়েছে এমনই চিন্তা ভাবনা। তবে এবার হার্লে ডেভিডসনের বৃহদাকার বাইকের মডেলের অনুকরণে নতুন মোটরসাইকেল লঞ্চ করল হোন্ডা।

বেশ কিছু বছর ধরেই আমেরিকার বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হোন্ডার তৈরি Shadow Aero বাইকটি। তবে সম্প্রতি এটির ২০২৩-র আপডেটের ভার্সন প্রকাশ করেছে জাপানি সংস্থা। হার্লে ডেভিডসনের অনুকরণে তৈরি এই ক্রুজার বাইকটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৩৭ লাখ টাকা। নতুন আপডেট হিসাবে এটিাআলট্রা ব্লু মেটালিক রঙে মিলবে সে দেশের বাজারে।

নতুন এই রঙে নীলের সঙ্গে সাদা রঙের এক অভূতপূর্ব মিশ্রণ ঘটিয়েছে হোন্ডা। এই ডুয়েল টোন রঙের প্রলেপ বাইকটির নতুন সংস্করণকে বেশ ছিমছাম লুকে অবতীর্ণ হতে সাহায্য করেছে। এর পাশাপাশি সমগ্র বাইকের বিভিন্ন অংশে ক্রমের ছোঁয়া যথেষ্ট নজর কাড়ে। ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত সিলিন্ডারের উপরিভাগ, এয়ার ক্লিনারের কভার, ইঞ্জিনের সাইড কভার, ব্রেক ও ক্লাচ লিভারের ব্র্যাকেট, পেছনের ব্রেক প্যাডেল, গিয়ার শিফট লিভার, হ্যান্ডেল বার ও পিছনের শক অ্যাবজর্ভারের কভার সর্বত্রই প্রচুর পরিমাণে ক্রোমের ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। এর ফলে বাইকটির প্রিমিয়াম লুক প্রকাশ পায়।

অন্যদিকে বিচ স্টাইলের হ্যান্ডেল বার, স্প্লিট স্টাইল সিট, টুইন একজস্ট ক্যানিস্টার এবং স্পোক হুইল সহ বাইকের ডিজাইন অনেকাংশেই হার্লে ডেভিডসনের ক্রুজারের মতো দেখাবে। Honda Shadow Aero এর অলিন্দে রয়েছে ৭৪৫ সিসির ভি-টুইন লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের সাথে ওভারহেড ক্যামশ্যাফ্ট ও তিনটি ভাল্বের সিলিন্ডার যুক্ত রয়েছে। পাঁচক্ষগতির গিয়ারবক্সের মাধ্যমে বাইকটির পিছনের চাকায় চালিকা শক্তি পৌঁছায়।

উন্নত সাসপেনশনের জন্য Honda Shadow Aero এর সামনের দিকে ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে প্রিলোডেড এডজাস্টেবল ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে সামনের চাকায় ২৯৬ মিমি সিঙ্গেল ডিস্ক ও পিছনের চাকায় ১৮০মিমি ড্রাম ব্রেক। যদিও অন্যান্য কিছু জায়গায় এই মডেলটির ডুয়েল ডিস্ক সংস্করণ লঞ্চ করা হয়েছে। সামনের দিকে ১৭ ইঞ্চির চাকা থাকলেও পিছনে রয়েছে ১৫ ইঞ্চির চাকা।

এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে এই বাইকটি লঞ্চ করা হলেও খুব শীঘ্রই ভারতে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে ভবিষ্যতে ভারতে লঞ্চ করলে এটি সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা জানাবে চলতি বছরের রাইডার ম্যানিয়াতে আত্মপ্রকাশ করা রয়্যাল এনফিল্ডের সুপার মিটিওর ৬৫০-কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *