Electric Scooter: ই-স্কুটারে আগুন লাগছে কেন? চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় রিপোর্টে

চলতি বছর ভারতে দাবদাহের পারদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বহু ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। যার মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ ক’জন। যা নির্মাতা সংস্থা থেকে গ্রাহকদের রাতের ঘুম হরণ করেছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বিগ্নতাও কম ছিল না। সেই প্রেক্ষিতে দু’মাস আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। এবারে সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নির্মাতা থেকে ক্রেতাদের। যেখানে দেখা গেছে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের ব্যাটারি সেল এবং ডিজাইন দায়ী।

রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?

উক্ত রিপোর্টের কথা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দুটি সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। যেখানে অগ্নিকান্ডের জন্য স্কুটারগুলিতে ব্যবহৃত ব্যাটারির সেলের গলতি প্রাথমিক তদন্তে খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারী দল। আগুন লাগার ঘটনার সাথে মূলত তিনটি কোম্পানি জড়িত থাকায়, তাদের স্কুটারে পরীক্ষা চালানো হয়। যার মধ্যে একটি ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)। পরীক্ষাকারী দল ওলার স্কুটারে ব্যবহৃত ব্যাটারি সেল এবং ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে ত্রুটি খুঁজে পায়।

জানা গেছে, তিনটি সংস্থার ব্যাটারি সেলের নমুনা সংগ্রহ করেছে সরকার। যাতে পুনর্বার সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা যায়। এই সেল ওলাকে যোগান দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি এনার্জি সলিউশন (LGES)। এদিকে পৃথকভাবে অন্য এজেন্সিকে সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করায় ওলা। সেখানে জানানো হয় ওলার ব্যাটারি ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিতে কোনো ত্রুটি নেই। অগ্নিকান্ডের জন্য বাইরের পৃথক কোনো কারণ দায়ী।

এদিকে সরকার এই রিপোর্ট পূর্ণ আকারে এখনও প্রকাশ করেনি। কেন্দ্র বলেছে আগুন লাগার আসল কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত না হওয়ার কারণে কোনো মন্তব্য করবে না। আগুন লাগার ঘটনায় জড়িত অপর দুই সংস্থা PureEV ও Okinawa। সরকার এই দুই সংস্থার স্কুটারের উপরও পরীক্ষা চালাচ্ছে। ওকিনাওয়ার ক্ষেত্রে সেল এবং ব্যাটারি মডিউলের ত্রুটি ধরা পড়েছে। অন্যদিকে পিওরইভি’র ব্যাটারি কেসিংয়ে গলতির হদিশ মিলেছে। যদিও এই দুই সংস্থার তরফে দুর্ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। আগুন লাগার পর, উপরিউক্ত তিনটি সংস্থা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৭,০০০ বৈদ্যুতিক স্কুটার ফিরিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়েছে।