হিরোর নতুন মডেল Xpulse 200T 4V, এই বাইক নিয়ে শোরগোলের পাঁচ কারণ

নিন্দুকরা যতই সমালোচনা করুক না কেন নায়ক কিন্তু থাকে তার নিজের মতোই। হঠাৎ এমন কথা বলার কারণ আছে নিশ্চয়ই। হিরো মটোকর্পকে(Hero MotoCorp) নিয়ে অনেক গ্রাহকের নানান অভিযোগ থাকলেও প্রতিমাসে এদেশের বেস্ট সেলারের তকমা পাওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে প্রতিনিয়ত তাদের সমস্ত বাইক কিংবা স্কুটারের আপডেটেড ভার্সন লঞ্চ করে চলেছে তারা। এই যেমন সম্প্রতি তারা ভারতে এনেছে Xpulse 200T এর 4V ভার্সন। অর্থাৎ নতুন মডেলের ইঞ্জিনে দুইয়ের বদলে এখন চারটি ভাল্ভ বর্তমান।

এমনিতেই পকেট সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের Xpulse 200 4V অন্যতম জনপ্রিয় একটি অফ-রোড স্পেশাল মোটরসাইকেল। তারই কমিউটার সংস্করণ হল এই Xpulse 200T 4V। একটিমাত্র ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ এই মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ১.২৬ লাখ টাকা। বাইকটি নিয়ে শোরগোলের পাঁচটি কারণ এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক।

Hero Xpulse 200T 4V: কসমেটিক আপগ্রেড

বর্তমানে ভারতবর্ষ তথা সমগ্র পৃথিবী জুড়েই নিও-রেট্রো স্টাইলের বাইকের রমরমা। এক্সপালস ২০০টি ফোর-ভি ঠিক এই দলেরই সদস্য। বর্তমানে ছোট ফ্লাই স্ক্রিন এবং আগের চেয়ে ২০ মিমি নিচে বসানো এলইডি হেডলাইটের দৌলতে যেন আরো বেশি তারুণ্যের ছোঁয়া যুক্ত হয়েছে এতে। পিলিয়নের জন্য নতুন ধরনের গ্র্যাব রেল এবং ফর্ক কভার যুক্ত হয়েছে এতে। বাইকটি ফর্ক গেইটার সহ হাজির হয়েছে। ফলে সামনের ফর্কে ময়লা জমতে দেবে না। এছাড়া এলইডি হেডল্যাম্পের চতুর্দিকে ক্রোম রিং রয়েছে। 

Hero Xpulse 200T 4V: পেইন্ট স্কিম

হিরো মটোকর্প নতুন এক্সপালস ২০০টি ফোর-ভি এর জন্য বেশ কিছু নতুন রংয়ের সংযোজন করেছে। আগের তুলনায় বাইকটির গ্রাফিক্স হয়েছে আরো উন্নত। এই মুহূর্তে যে তিনটি পেইন্ট স্কিম বরাদ্দ হয়েছে এক্স পালসের এই বাইকে তা হল- স্পোর্টস রেড, ম্যাট ফ্যাংক লাইম ইয়েলো এবং ম্যাট শিল্ড গোল্ড।

Hero Xpulse 200T 4V: ফিচার্স

অত্যাধুনিক বিচারের মধ্যে ডিজিটাল এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সঙ্গে স্মার্টফোনের সংযুক্তিকরণ করা যায় এখানে। এর ফলে কল অ্যালার্ট, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন দেখা যায় এই স্ক্রিনে। তাছাড়াও আন্ডার সিট ইউএসবি চার্জার, গিয়ার ইন্ডিকেটর এবং সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট-অফ সেন্সর উপলব্ধ রয়েছে এতে।

Hero Xpulse 200T 4V: ইঞ্জিন ও গিয়ারবক্স

হিরো এক্সপালস ২০০টি ফোর-ভি এর সবচেয়ে বড় আপডেট হল বাইকটির ইঞ্জিনে এখন ভাল্ভের সংখ্যা চার। বর্তমানে এই ইঞ্জিনটি থেকে ৮৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৮.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৬৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৭.৩ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড গিয়ারবক্স। তবে আগের তুলনায় ইঞ্জিনের গিয়ারের অনুপাত উন্নত হওয়ায় অনেক ভালো ভাবে এই ইঞ্জিন পারফরমেন্স করতে পারবে। উল্লেখ্য, ইঞ্জিনের আউটপুট টু-ভাল্ভ ইঞ্জিনযুক্ত মডেলের (১৭.৭ বিএইচপি এবং ১৬.১৫ এনএম) থেকে ১ বিএইচপি ও টর্ক ১.১৫ এনএম বেশি।

Hero Xpulse 200T 4V: হার্ডওয়ার

বাইকটিতে সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলায় সামনের চাকায় থাকা ৩৭ মিমি ফর্ক ও পিছনে থাকা সেভেন স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন। রাইডারের সুরক্ষার্থে উভয় চাকাতেই পেটাল ডিস্ক ব্রেক উপলব্ধ রয়েছে। সামনে ও পিছনে থাকা ডিস্ক ব্রেকের ব্যাস যথাক্রমে ২৭৬ মিমি ও ২২০ মিমি।