Royal Enfield Hunter-কে জোর টক্কর দিতে CL300 Scrambler বাইক নিয়ে হাজির Honda

কোনো মোটরসাইকেল সাফল্যের শিখরে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সংস্থাগুলির যে গাত্রদাহ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। নিদর্শন হিসেবে বলা যেতে পারে Royal Enfield Hunter 350-এর কথা। রোডস্টার মোটরসাইকেলটিতে রেট্রো স্টাইলের সাথে আধুনিকতার সামঞ্জস্যপূর্ণ মেলবন্ধন সুস্পষ্ট। যে কারণে অল্প দিনেই এটি ক্রেতা মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এদিকে হান্টার ৩৫০-এর বিজয় রথের চাকায় লাগাম টানতে মরিয়া অন্যতম জাপানি টু-হুইলার ব্র্যান্ড হোন্ডা (Honda)। গত বছর ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত EICMA-তে তারা CL500 নামক একটি স্ক্র্যাম্বলার বাইকের প্রদর্শন করেছিল। এবারে কোম্পানিটি বিশ্ববাজারে উক্ত মোটরসাইকেলটির একটি ছোট ভার্সন লঞ্চ করল। যার নাম – Honda CL300।

হোন্ডা তাদের সিএল৩০০ বাইকটি আন্তর্জাতিক বাজারে লঞ্চের পাশাপাশি চীনের বাজারে উন্মোচিত করেছে। চলতি বছরের শেষের দিকে চীনেও লঞ্চ করা হবে এটি। আরও শোনা যাচ্ছে, প্রতিবেশী দেশে হাজিরের পর ভারতের বাজারেও আসবে মোটরসাইকেলটি। বলাই বাহুল্য, Hunter 350-এর সাথে টক্কর নিতেই CL300 এর আগমন হতে পারে এ দেশে। এছাড়াও বাইকটির প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায় রয়েছে Yezdi Scrambler।

হোন্ডা তাদের এই স্ক্র্যাম্বলার মোটরসাইকেলটির জন্য ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বাজারে ইতিমধ্যেই ট্রেডমার্ক দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। আসুন নতুন লঞ্চ হওয়া Honda CL300-এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Honda CL300 স্পেসিফিকেশন

হোন্ডা সিএল৩০০-এর চতুর্দিকে ফ্রেমের মাধ্যমে সেমি নেকেড ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদের রয়েছে অল এলইডি রাউন্ড হেডল্যাম্প, গোলাকৃতি রিয়ার ভিউ মিরর, ফর্ক গেইটর, একটি সমতল সিট, ঊর্ধ্বপানে চেয়ে থাকা এগজস্ট পাইপ ও আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।

চালিকাশক্তি জোগাতে Honda CL300-তে দেয়া হয়েছে একটি উচ্চ ক্ষমতার ২৮৬ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে ২৫.৭ বিএইচপি ক্ষমতা উৎপন্ন হবে এবং সঙ্গে রয়েছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ সামনে ১৯ ইঞ্চি এবং পেছনে ১৭ ইঞ্চি হুইলে ছুটবে বাইকটি। তবে সংস্থা এখনও এর দাম ঘোষণা করেনি। তাই ভারতের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ড এবং ইয়েজদি-এর প্রতিপক্ষ বাইকটির দাম কত রাখা হয়, তার জবাব সময় দেবে।