সস্তায় এত ভাল বাইক আর নেই, Honda Shine 100, Hero Splendor+ এবং Bajaj Platina এর মধ্যে সেরা কে

১০০ সিসি কমিউটার মোটরসাইকেল মার্কেটে দাপট বাড়াতে ক’দিন আগেই Shine 100 লঞ্চ করেছে হোন্ডা মোটরসাইকেল এন্ড স্কুটার ইন্ডিয়া(HMSI)। ডিজাইন এবং লুক অনেকাংশেই Shine 125 এর অনুরূপ হলেও এতে ১০০ সিসির ছোট ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। এদিকে Hero Splendor+ এবং Bajaj Platina আমজনতার অন্যতম পছন্দের মডেল। এই দুটি বাইকের সঙ্গে তুলনায় কতটা এগিয়ে নতুন Honda Shine 100। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেটা।

ডিজাইন এবং ভ্যারিয়েন্ট

হোন্ডার হাতে থাকা ১২৫ সিসির সাইন মডেলটির মতোই সমজাতীয় ডিজাইন নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছে হোন্ডা সাইন ১০০। অন্যদিকে বাজাজ প্লাটিনা ১০০ মডেলটিও এর ১১০ সিসির মডেলটির অনুরূপ ডিজাইন সমৃদ্ধ। তবে হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস প্রথম থেকেই তার সেই আইকনিক হেডলাইটের ডিজাইন আজও অপরিবর্তিত রেখেছে। যদিও ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী আলোচনা করতে গেলে হোন্ডা সাইন ১০০ এবং বাজাজ প্লাটিনা ১০০ কেবলমাত্র একটি ভ্যারিয়েন্টেই উপলব্ধ। আর হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এ মোট চারটি ভ্যারিয়েন্ট দেখতে পাওয়া যায়। নানা ধরনের রঙের অপশন এবং হিরোর নিজস্ব i3S প্রযুক্তি রয়েছে এতে।

ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন

হোন্ডা সাইন সিরিজের এই নতুন বাইকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন, যা ৭.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ৮.০৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এই ইঞ্জিনের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে যা ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে। ইঞ্জিনের ভিতরের প্রকোষ্ঠে জ্বালানি ও বাতাসের সঠিক মিশ্রণ ঘটিয়ে ঘর্ষণ বল কমানোর জন্য এক ধরনের পিস্টন কুলিং জেট ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে রয়েছে চার স্পিড যুক্ত গিয়ার বক্স।

এর প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় থাকা বাজাজ প্লাটিনা ১০০ তে চালিকাশক্তি যোগায় ৭.৯ বিএইচপি এবং ৮.৩৪ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১০২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এক্ষেত্রে ট্রান্সমিশনের দায়িত্ব সামলায় চার ধাপযুক্ত ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এ থাকা ইঞ্জিনটি থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৭.৫১ বিএইচপি এবং ৮.০৫ এনএম। এই ইঞ্জিনের সঙ্গেও ফোর স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত রয়েছে।

বাইকের ডাইমেনশন

হোন্ডা সাইন ১০০ বাইকটিতে রয়েছে ৬৭৭ মিমি লম্বা সিট এবং এই সিটের উচ্চতা ৭৮৬ মিমি যা যে কোনো ধরনের উচ্চতা রাইডারের জন্যই উপযুক্ত। এছাড়াও এর হুইল বেশ ১২৪৫ মিমি লম্বা এবং গ্রাউন্ড প্লিয়ারেন্স ১৬৮ মিমি। তুলনামূলকভাবে এই সব কটি দিক থেকেই খানিকটা এগিয়ে বাজাজ প্লাটিনা। এই বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, সিটের উচ্চতা এবং হুইল বেসের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ২০০ মিমি, ৮০৭ মিমি এবং ১২৫৫ মিমি। আর অন্যদিকে হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস বাইকের হুইলবেস ১২৩৬ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৫ মিমি এবং সিটের উচ্চতা ৭৮৫ মিমি। অর্থাৎ হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস বাইকটির সিটের উচ্চতা সবচেয়ে কম এবং বাজাজ প্লাটিনা ১০০-তে তা সর্বোচ্চ।

ফিচার্স

এন্ট্রি লেভেলের কমিউটার বাইক হওয়ায় এদের ফিচারগুলি বেশ সাধারণ। তিনটি ক্ষেত্রেই অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে। হোন্ডার এই বাইকে ইঞ্জিন ইমমবিলাইজার থাকলেও প্ল্যাটিনা এবং স্প্লেন্ডারে তা মিসিং। যদিও হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এর XTEC ভার্সনে ব্লুটুথ কানেকশন সহ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ইউএসবি চার্জিং পোর্ট ২০২৩ এর আপডেটে সংযুক্ত করা হয়েছে। আবার হোন্ডা সাইনে ফুয়েল ট্যাংকের বাইরে ফুয়েল পাম্প লাগানোয় তা রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেক সহজ। এছাড়াও তিনটি মডেলের মধ্যেই হেড লাইট ও টেল লাইটে হ্যালোজেন বাল্ব ব্যবহার করা হলেও প্ল্যাটিনাতে এলইডি ডিআরএল উপস্থিত।

দাম

হোন্ডা সাইন ১০০ মডেলটির প্রারম্ভিক এক্স শোরুম মূল্য ৬৪,৯০০ টাকা থেকে শুরু। অন্যদিকে বাজাজ প্লাটিনা ১০০ এর দাম শুরু হয়েছে ৬৫,৮৫৬ টাকা থেকে। তবে হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এর দামের রেঞ্জ ৭২,৪২০ টাকা থেকে শুরু হলেও i3S প্রযুক্তিযুক্ত ম্যাট সিল্ড গোল্ড সংস্করণটি কিনতে খরচ হবে ৭৪,৭১০ টাকা। এগুলি প্রতিটিই এক্স শোরুমের দাম।