Two Wheeler: নিজের দু’চাকা সাজিয়ে তুলুন নতুন রূপে, আইন মেনে কীভাবে নিউ কালার করাবেন জেনে নিন

অনেকেই ভাবেন তার দুই চাকার বাহনটিকে পুরনো রং বদলে নতুন রঙে সাজাতে। তবে আপাতদৃষ্টিতে অতি সহজ মনে হলেও এই কাজের জন্য প্রয়োজন পরিবহন দপ্তরের অনুমতি, নচেৎ সমস্যায় পড়তে হতে পারে আপনাকে। আইন মেনে কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে অচিরেই বদলাবেন আপনার বাইকের রং তা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

কালার স্যাম্পেল

যে কোনো ধরনের টু-হুইলার কিংবা ফোর-হুইলার নতুন কেনার সময়ই RTO অর্থাৎ রোড ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC) নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যদিও নতুন যানবাহনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এই কাজটি শোরুমের তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন হয়। এই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের সাথে পাওয়া ব্লু বুকে সেই গাড়ির চ্যাসিস নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, গাড়ির রং সহ সমস্ত তথ্যই নথিবদ্ধ থাকে। তাই রং বদলাতে হলে প্রথমেই নতুন রং এর স্যাম্পেল নিয়ে চলে যান আপনার নিকটবর্তী RTO অফিসে। সাথে অবশ্যই রাখবেন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটটি।

ফর্ম ফিলআপ

এর ঠিক পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি NAMV (Notice of Alteration to a Motor Vehicle) ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করে এই সংক্রান্ত দপ্তরের কাছে জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট এই ফর্মটি আপনি অনলাইনেও ডাউনলোড করতে পারেন। এর পরেই রোড ট্রান্সপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট আধিকারিক আপনার বর্তমান গাড়িটির রং যাচাই করে তা বদল করার অনুমতি প্রদান করবেন।

নতুন রং করা

সবুজ সংকেত পেলেই লেগে পড়ুন আপনার RTO অফিসে জমা দেওয়া কালার স্যাম্পেলের রঙে আপনার বাইক নতুন রঙে সাজাতে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন নতুন এই রঙের গুণগত মান সঠিক হওয়া প্রয়োজন, নতুবা তা বাইকের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি সাধন করতে পারে। সেই জন্য অবশ্যই এই কাজে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা সম্পূর্ণ রঙের কাজটি করানো উচিত।

ভেরিফিকেশন

রঙের সম্পূর্ণ প্রলেপ হয়ে গেলেই আপনার বাইক কিংবা স্কুটারটি নিয়ে আবারো চলে যান সেই RTO অফিসে। সঙ্গে রাখবেন সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেই অফিসের আধিকারিক পুনরায় আপনার গাড়ির নতুন রং যাচাই করে দেখবেন সেটি RTO দপ্তরের নির্দেশাবলী অনুযায়ী হয়েছে কিনা।

এই ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হলেই RTO অফিস থেকে নতুন আপডেটেড রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে আপনাকে। এবার আপনি নব কলেবরের বাহনটি নিয়ে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ান চারপাশ।