চাকা পিছলে দুর্ঘটনা এখন অতীত, সবচেয়ে সস্তায় এই 5 বাইক দেয় নিরাপদ যাত্রার গ্যারান্টি

একবিংশ শতকের আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মানুষ জন নিজের সুরক্ষাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে দেখে। এমনকি নিজের দুই চাকার বাহনটির মধ্যে থাকা নানা ধরনের সেফটি ফিচার্স আজকালকার দিনে বেশ জনপ্রিয়। একটা সময় ছিল যখন বাইক কিংবা স্কুটারে সাধারণ ড্রাম ব্রেক কিংবা এয়ার ব্রেক ব্যবহার করা হতো। কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই এই ব্রেকগুলির চেয়ে অধিক সক্ষমতার ডিস্ক ব্রেক আসে একটা সময়। কিন্তু ডিস্ক ব্রেকের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই অসতর্ক অবস্থায় চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে অনেক। সেই সমস্যার সমাধানেই আবির্ভাব অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম অর্থাৎ এবিএস (ABS) এর। তবে অনেক বাইকেই খরচা বাঁচাতে শুধুমাত্র সামনের চাকায় এবিএস (সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস) থাকলেও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এর মত “লাইফ সেভার” সিস্টেম আর দুটি নেই বললেই চলে। এই প্রতিবেদনে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস যুক্ত সবচেয়ে সস্তা ৫ বাইকের তালিকা রইল।

Bajaj Pulsar N160 (১.৩০ লাখ টাকা, এক্স শোরুম)

এই মুহূর্তে আমাদের দেশের সবচেয়ে কমদামী ডুয়েল চ্যানেল এবিএস যুক্ত বাইক হল Pulsar N160। শুধুমাত্র উন্নত ব্রেকিং সিস্টেম নয় বরং এতে রয়েছে উত্তম পারফরম্যান্স প্রদানকারী ১৬৪.৮২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। ফাইভ স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক যথাক্রমে ১৫.৭ বিএইচপি এবং ১৪.৬ এনএম।

Bajaj Pulsar NS160 (১.৩৫ লাখ টাকা, এক্স শোরুম)

ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ বাজাজ সদ্য লঞ্চ করেছে Pulsar NS160। বর্তমানে এদেশের বাজারে থাকা ১৬০ সিসির সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছে এতে। এর মধ্যে থাকা ১৬০.৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন থেকে ১৬.৯ বিএইচপি এবং ১৪.৬ এনএম টর্ক পাওয়া হয়। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স।

TVS Apache RTR 200 4V (১.৪০ লাখ টাকা, এক্স শোরুম)

টিভিএস এর এই অ্যাপাচি নামের রেসিং সিরিজের অন্তর্গত ২০০ সিসির এই বাইকটিতেও অনেক আগে থেকেই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। বাইকটিকে চলার শক্তি যোগায় ১৯৭.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। ২০.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১৭.২৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয় এই ইঞ্জিটি থেকে। সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স।

Bajaj Pulsar NS200 (১.৪৭ লাখ টাকা, এক্স শোরুম)

বাজাজের জনপ্রিয় পালসার সিরিজের এনএস নামের অন্তর্গত এই বাইকটিতেও সম্প্রতি ডুয়েল চ্যানেল এবিএস স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে যুক্ত করেছে এই ভারতীয় সংস্থা। পালসার এনএস ২০০ এর প্রাণ ভোমরা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ১৯৯.৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি থেকে ২৪.১ বিএইচপি শক্তি এবং ১৮.৭৪ এনএম টর্ক জেনেরেট হয়।

Yamaha FZ 25 (১.৫০ লাখ টাকা, এক্স শোরুম)

আজকের তালিকায় শেষ বাইক Yamaha FZ 25 মডেলটি ভারতের বাজারে ২৫০ সিসির সবচেয়ে কমদামী বাইক হিসেবে গণ্য করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ২৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল যুক্ত এই ইঞ্জিনটি থেকে ২০.৫ বিএইচপি এবং ২০.১ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়।