Trouve Motor: 0-100 কিমি গতি 3 সেকেন্ডেই! দুর্ধর্ষ ইলেকট্রিক সুপারবাইক লঞ্চ করার ঘোষণা দেশীয় সংস্থার

দেশের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের বাজারে আলোড়ন ফেলতে প্রস্তুত আইআইটি দিল্লিতে ইনকিউবেশন হওয়া স্টার্টআপ ট্রুভ মোটর (Trouve Motor)। সংস্থাটি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক হাইপার-স্পোর্টস বাইকের একঝলক দেখিয়েছে। একইসাথে প্রকাশ করেছে কয়েকটি স্পেসিফিকেশন, যা রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

ট্রুভ মোটরের দাবি, তাদের ইলেকট্রিক সুপারবাইক বিশ্বের সুরক্ষিত দু’চাকা গাড়ির মধ্যে অন্যতম হবে। ঘন্টা প্রতি সর্বোচ্চ গতি উঠবে ২০০ কিলোমিটার। শূণ্য থেকে একশো কিমি গতি তুলতে সময় নেবে মাত্র ৩ সেকেন্ড। বাইকপ্রেমীদের হৃদস্পন্দন বাড়ানোর জন্য যা যথেষ্ট। তবে অফিসিয়াল লঞ্চ এখনই নয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তারা ব্যাটারিচালিত সুপারবাইকটি রিলিজ করবে। অগ্রিম বুকিং চালু হবে ওই সময় থেকেই। ডেলিভারি দিতে আগামী বছর লেগে যাবে।

ট্রুভ মোটর আরও জানিয়েছে, একটিতে আটকে না থেকে আরও পাঁচটি মডেলের উপরে কাজ করছে তারা। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ক্ল্যাসিক, ক্যাফে রেসার, নেকেড, স্ক্র্যাম্বলার, এবং এন্ডুউরো। আপকামিং বাইকগুলি আইআইটি দিল্লিতে ট্রুভোর গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং বেঙ্গালুরুর ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটিতে ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হচ্ছে।

ট্রুভ মোটর বিবৃতিতে বলেছে, তাদের ইলেকট্রিক সুপারবাইক একটি লিকুইড কুল্ড এসি ইন্ডাকশন মোটর থেকে শক্তি সংগ্রহ করবে। মোটলটির আউটপুট হবে ৪০ কিলোওয়াট (৫৩.৬ হর্সপাওয়ার)। শুধু পাওয়ার নয়, ফিচারের তালিকাও যথেষ্ট সমীহ জাগানোর মতো। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এনাবেল্ড সিস্টেম, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, টিএফটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, কানেক্টেড টেকনোলজি, জিপিএস নেভিগেশন, রিয়েল টাইম ভেহিকেল ডায়াগনস্টিক, ব্রেম্বো ব্রেক, ডুয়াল চ্যানেল এবিএস, অ্যাডজাস্টেবল সাসপেনশন-সহ আরও অনেক কিছুর দেখা মিলবে এতে।

ট্রুভ মোটরের প্রতিষ্ঠাতা অরুন সানি বলেন,” আমাদের লেটেস্ট সুপারবাইকের লঞ্চ প্রকাশ করতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত আমরা। আমাদের পণ্য ইলেকট্রিক টু-হুইলার সেগমেন্টে বিপ্লব আনবে বলেই মনে মনে করি। এটি বাইক চালানোর পুরো অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে আমরা আশাবাদী। এতে নতুন প্রজন্মের মোবিলিটি ফিচার রয়েছে, যা বাইক রাইডিংকে আরও আরামদায়ক করার পাশাপাশি টেক স্যাভিও৷ এরকম ডিজিটাল-ফার্স্ট জিনিস আগে কখনও দেখেননি।”

ইলেকট্রিক সুপারবাইকের নাম এখনই প্রকাশ না করলেও লঞ্চের আগে ধীরে ধীরে যে আরও বিশদে তথ্যাবলী জানানো হবে, তা নিশ্চিত করেছে ট্রুভ৷ সংস্থার দাবি, “এটি একটি মড্যুলার প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে৷ যা সংস্থার অন্যান্য দু’চাকার ভিত হিসেবে কাজ করবে৷ ট্রুভ শেষে যোগ করেছে, ‘আমরা ভবিষ্যতে অ্যাডভান্সড হাইপার-স্পোর্টস বাইকও নিয়ে আসবো৷ যার সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টা প্রতি ২০০ কিলোমিটার এবং রেঞ্জ ৩০০-৩৫০ কিলোমিটার৷