Royal Enfield: সুপার মিটিওর বাজারে আসতেই তুফান, বিক্রির নিরিখে সমস্ত 650cc বাইক হেরে ভুত

২০২২ আইকমা (2022 EICMA) প্রদর্শনীতে প্রথমবার নিজের দর্শন দিয়েছিল Royal Enfield Super Meteor 650। এবছর জানুয়ারিতে ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছিল রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর এই ফ্ল্যাগশিপ ক্রুজার মোটরসাইকেলটি। স্ট্যান্ডার্ড এবং টুরার – এই দুই ভ্যারিয়েন্টে বেছে নেওয়া যায় এটি। দামের বিচারে মার্চে এই প্রিমিয়াম বাইকটির বিক্রি ভাল পরিমাণেই হয়েছে। গত মাসে Super Meteor 650 এর প্রায় ২৩০০ ইউনিট বেচেছে রয়্যাল এনফিল্ড। অনুমান, দেশের সর্বাধিক বিক্রিত ৬৫০ সিসি মোটরসাইকেল এটাই।

RE Super Meteor 650 ২,২৯৩ ইউনিট বিক্রি হল

রয়্যাল এনফিল্ড সুপার মিটিওর ৬৫০ মোট তিনটি ভিন্ন ট্রিমের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। মডেল অনুযায়ী এদের দামও আলাদা। যেমন অ্যাস্ট্রাল, ইন্টারস্টেলর এবং সেলেস্টিয়াল-এর মূল্য যথাক্রমে ৩,৪৮,৯০০ টাকা, ৩,৬৩,৯০০ টাকা ও ৩,৭৮,৯০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। প্রসঙ্গত, সংস্থার ৬৫০ সিসির অপর দুই মমডেল Interceptor 650 ও Continental GT 650 গত মাসে সম্মিলিতভাবে ১,৪৮৮টি বিক্রি হয়েছে। যা সুপার মিটিওরের থেকে প্রায় ৮০০ কম।

এক বছর আগে আবার ওই সময়ে Interceptor 650 ও Continental GT 650-এর বেচাকেনার পরিমাণ ছিল ১,২২৬ ইউনিট। ফলে আগেরবারের তুলনায় এবারে ২১% বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত, ব্রিটেন এবং স্পেনের রাস্তায় ১০ লক্ষের বেশি দীর্ঘ পথে Super Meteor 650-এর টেস্টিং চালানোর দাবি করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। 650 Twins-এ ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে এসেছে ক্রুজার মডেলটি।

Super Meteor 650 স্পেসিফিকেশন

হ্যারিস পারফরম্যান্সের সাথে ব্রিটেনের টেকনোলজির সেন্টারে Super Meteor 650 গড়ে তোলা হয়েছে। ফ্রেম এবং সুইংআর্ম সম্পূর্ণ নতুন। এর স্ট্যান্ডার্ড মডেলটি পাঁচটি কালার স্কিমে উপলব্ধ – অ্যাস্ট্রাল ব্ল্যাক, অ্যাস্ট্রাল ব্লু, অ্যাস্ট্রাল গ্রীন, ইন্টারস্টেলর গ্রে ও ইন্টারস্টেলর গ্রীন। আবার টুরার ভার্সনটি সেলেস্টিয়াল রেড ও সেলেস্টিয়াল ব্লু শেডে বেছে নেওয়া যায়। এতে রয়েছে একটি ট্রান্সপারেন্ট উইন্ডস্ক্রিন, ডিলাক্স টুরিং সিট এবং পিলিয়ন ব্যাকরেস্ট।

Super Meteor 650-এ এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম। যেমন স্ট্যান্ডার্ড Google চালিত টার্ন বাই টার্ন ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম, একটি এলইডি হেডলাইট, এখনো পর্যন্ত বৃহত্তম রিয়ার ডিস্ক ব্রেক এবং ৪৩ মিমি Showa আপসাইড ডাউন ফ্রন্ট ফর্ক। এতে রয়েছে একটি ৬৪৮ সিসি প্যারালাল টুইন সিলিন্ডার, এয়ার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে ৪৭ পিএস শক্তি এবং ৫২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এতে রয়েছে সিক্স-স্পিড ট্রান্সমিশন।