Vida ইলেকট্রিক স্কুটারের পর এবার লাইন দিয়ে মোটরসাইকেল লঞ্চ করবে Hero MotoCorp, লিস্ট দেখে নিন

সমগ্র বিশ্বে টু-হুইলার নির্মাতাদের মধ্যে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)-এর স্থান সর্বাগ্রে। বিক্রির নিরিখে বর্তমানে বৃহত্তম সংস্থা এটি। সাশ্রয়ী মূল্যের স্কুটার ও মোটরসাইকেলের কারণে তাদের পণ্যের এত বেশি চাহিদা। তবে তুলনামূলক দাম কম বলে যে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক থেকে আপোস করা হয়, তেমনটি একেবারেই নয়। কয়েকদিন আগে সাব ব্র্যান্ড Vida-র অধীনে প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছে হিরো। এবারে সংস্থাটি মোটরসাইকেলের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একের পর এক নতুন মডেল ভারতে হাজির করতে চলেছে। যেগুলি বাজারে বিদ্যমান কিছু মডেলকে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন করতে চলেছে। এই প্রতিবেদনে হিরোর আসন্ন বাইকগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।

Hero Xpulse 200T 4V

ট্যুরিং ক্যাটেগরিতে Xpulse একটি জনপ্রিয় নাম। সেটির রোড বায়াস্ড ভার্সন 200T ফেসলিফ্ট আপডেট পেতে চলেছে বলে খবর। পাশাপাশি চলার শক্তি আরও প্রবল করতে Xpulse 200 4V-এর মতো সংস্থা বাইকটির ইঞ্জিনে চারটে ভাল্ভ যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয়া মডেলটিতে নতুন স্টাইলের গ্র্যাবরেল, ফ্রন্ট ফর্ক গেইটার, আপডেটেড ফ্লাইস্ক্রীন সহ আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের দেখা মিলতে পারে। এছাড়া কারিগরি ক্ষেত্রে নতুন গিয়ার এবং বৃহৎ অয়েল কুলার সহ আসতে পারে বাইকটি। দিওয়ালিতে বাজারে পা রাখতে পারে Hero Xpulse 200T 4V। দাম আগের চাইতে সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান।

Hero Xpulse 400

হিরো মোটোকর্প Xpulse এর বড় ইঞ্জিন ভার্সনের উপর কাজ করছে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। যা একটি ৪২১ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন সহ আসতে পারে। এটি থেকে প্রায় ৪০ বিএইচপি শক্তি এবং ৪০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। বাইকটি খুব সম্ভবত দুটি ভ্যারিয়েন্টে আসবে। যেমন Xpulse 200 ও 200T-তে দেখা যায়। একটি হতে পারে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার এবং অপরটি রোড বায়াস্ড ‘T’ ভার্সন। কারণ উভয় মডেলের ট্রায়াল রান চলাকালীন এদেশের রাস্তায় ধরা পড়েছে। এর প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলের মধ্যে রয়েছে RE Himalayan ও KTM 390 ADV।

Hero Xtreme 160S ও 160R

এদেশে ১৬০ সিসি সেগমেন্টে গ্রাহকের সংখ্যা প্রচুর। তাই উক্ত ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেলের চাহিদাও বেশি। সেকথা বিচার করে এবারে হিরো তাদের নতুন প্রজন্মের Xtreme 160R আনতে চলেছে। আবার 160S মডেলটি আসার প্রসঙ্গেও জল্পনা চলছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে উভয় মোটরসাইকেলে ১৬৩ সিসি ইঞ্জিন দেও য়া হতে পারে। যা থেকে ১৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। তবে ডিজাইনের দিক থেকে দুটি মডেলের মধ্যে কিছু ফারাক নজরে পড়বে। 160R নেকেড কমিউটার মডেল এবং 160S হল ফুল ফেয়ার্ড ভার্সন রূপে আসবে।