স্টাইল- ফিচারে সকলের মন জয় করেছে, মাত্র 3 মাসেই Royal Enfield Hunter বিক্রি 50,000 ছাড়াল

সমালোচকদের মুখের উপর যেন জবাব দিল রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) এর অন্যতম সাশ্রয়ী মূল্যের মোটরসাইকেল হান্টার ৩৫০ (Hunter 350)। চলতি বছরের আগস্টে দেশের বাজারে আত্মপ্রকাশ করে এটি। হান্টার ৩৫০ এর কাঁধে চেপেই অক্টোবরে রেকর্ড ৬০ শতাংশ বিক্রি বাড়াতে পেরেছে রয়্যাল এনফিল্ড।গত মাসে তাদের বেচেকেনার অঙ্ক ছিল ৮২,২৩৫ ইউনিট

জন্মের মাসেই অর্থাৎ বিগত আগস্টে ১৮,১৯৭ ইউনিট হান্টার বিকিয়েছে ভারতের বুকে। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে যথাক্রমে ১৭,১১৮ ইউনিট ও ১৫,৪৪৫ ইউনিট মডেল বিক্রি হয়েছে এর। সব মিলিয়ে লঞ্চের তিন মাসের মধ্যেই সংস্থার এই হালকা রেট্রো স্টাইলের বাইকটির ৫০,৭৬০টি ইউনিট বিক্রি করেছে রয়্যাল এনফিল্ড।

হান্টার ৩৫০ বাইকটি বর্তমানে রেট্রো, মেট্রো ও মেট্রো রেবেল এই তিনটি সংস্করণে উপলব্ধ। প্রথমটির এক্স শোরুম মূল্য ১.৫০ লাখ টাকা, দ্বিতীয়টি ও তৃতীয়টির ক্ষেত্রে তা ১.৬৪ লাখ ও ১.৬৯ লাখ টাকা। সংস্থার এন্ট্রি লেভেলের এই ক্রুজার বাইকটি নতুন সৃষ্ট J প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত। বাইকটির হুইলবেসের দৈর্ঘ্য ১,৩৭০ মিমি। অন্যদিকে ক্লাসিক ও মিটিয়র ৩৫০ এর হুইলবেস যথাক্রমে ১,৩৯০মিমি ও ১,৪০০ মিমি দীর্ঘ। অর্থাৎ হান্টার ৩৫০ বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি কম্প্যাক্ট। ওজন ১৭৮ কেজি। তুলনামূলকভাবে মিটিয়র ও ক্লাসিকের ওজন যথাক্রমে ১৯১ কেজি ও ১৯৫ কেজি। এতটা ওজন কম হওয়ার জন্যই শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় কিংবা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত হান্টার ৩৫০। বাইকটির সিটের উচ্চতা ৮০০ মিমি।

রয়্যাল এনফিল্ড হান্টারের রেট্রো সংস্করণে রয়েছে স্পোক যুক্ত চাকা। সামনে ও পিছনে ১৭ ইঞ্চির চাকার সঙ্গে ১১০/৮০ ও ১২০/৮০ সেকশনের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাইকটির পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক ও সামনে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস বিদ্যমান। এমনকি এই সংস্করণে ব্যবহৃত ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাসটার বাকি দুটি সংস্করণের তুলনায় সংস্করণের তুলনায় অনেকটাই সাধারণ। এর পাশাপাশি রেট্রো সংস্করণের এই বাইকটির সামনে সাধারণ হ্যালোজেন বাল্ব এবং পিছনে টিউবুলার গ্র্যাব রেল দেওয়া হয়েছে।

এবার হান্টারের মেট্রো সংস্করণের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে এর সামনের ও পিছনের ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল যুক্ত চাকায় ১১০/৭০ ও ১৪০/৭০ সেকশনের Ceat Zoom XL এর টায়ার লাগানো রয়েছে। এই সংস্করণটির উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক ও এবিএস উপলব্ধ। রেট্রো ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় মেট্রো ভ্যারিয়েন্টে অপেক্ষাকৃত সরু ও স্টাইলিশ গ্র্যাবরেল লাগানো রয়েছে। এক্ষেত্রে রয়েছে ছয়টি কালার অপশন। উপরন্তু বাইকটির সঙ্গে ফ্লাইস্ক্রিন, এলইডি ইন্ডিকেটর, মিরর, সাম্পগার্ড, ক্র্যাশ প্রটেকশন, টুরিং সিট ও সাইড বক্স অতিরিক্ত অ্যাক্সেসরিজ হিসেবে মিলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *