সাধ্যের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের স্বাদপূরণ, এগুলি দেশের সবচেয়ে সস্তা ADV বাইক

ব্যস্ততাময় জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে আপনজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে যেতে চায় অনেকেই। তবে কম সময়ে কোন ধরনের পরিকল্পনা না করেই সহজে ঘুরে আসতে গেলে মোটর বাইকের জুড়ি মেরা ভার। আর সেখানে আপনার পক্ষীরাজ হিসেবে যদি একটি অ্যাডভেঞ্চার বাইক সাথে থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকা বেশ কিছু এমন অ্যাডভেঞ্চার মোটরবাইক বর্তমানে এদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি দীর্ঘ সময়ের যাত্রাপথে আপনাকে আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করতে এক কথায় পারদর্শী এগুলি। এই প্রতিবেদনে দেশের সবচেয়ে সস্তা পাঁচ ADV বাইকের খোঁজ রইল।

Hero XPulse 200 4V

Hero XPulse 200 4V দেশের সবচেয়ে সস্তা অফ-রোডার বাইক। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১৯৯.৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত এয়ার এবং অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। এই পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্সের ইঞ্জিনটি ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৮.০৪ পিএস শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৬.৪৫ এনএম টর্ক তৈরি করে। আবার বাইকটিতে সাসপেনশন হিসেবে রয়েছে ৩৭ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক ও সাথে অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার মনোশক। ব্রেকিং সিস্টেম সামলাতে রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস বিশিষ্ট ডিস্ক ব্রেক। অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের এই মডেলটি ১.৩৮ লাখ টাকা এক্স শোরুম মূল্যে পাওয়া যাবে।

Honda CB200X:

Hornet 2.0-র অ্যাডভেঞ্চার টুরিং সংস্করণের নেকেড ভার্সন হিসেবে লঞ্চ হয়েছে Honda CB200X। বাইকটির প্রাণভোমরা হলো ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৭ পিএস ক্ষমতা এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ১৬.১ এনএম টর্ক প্রদানকারী ১৮৪. ৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এছাড়া সাসপেনশনের জন্য পিছনের চাকায় মনোশক থাকলেও সামনে উপস্থিত রয়েছে ইউএসডি ফর্ক। এছাড়াও এতে এলইডি লাইটিং, নাকেল গার্ডস, স্প্লিট সিট ও ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দ্বারা সুসজ্জিত করা রয়েছে। এটির বর্তমান এক্স শোরুম মূল্য ১.৪৯ লাখ টাকা।

Suzuki V-Strom SX:

Suzuki-র দৌলতে গত বছরের এপ্রিলে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জগতে আবির্ভাব ঘটেছে V-Strom SX। এটিকে চলার শক্তি যোগায় ৬ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত ২৪৯ সিসির অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। সর্বোচ্চ ২৬.০৫ পিএস ক্ষমতা বিশিষ্ট ইঞ্জিনটি ২২.২ এনএম টর্ক উৎপাদনে সক্ষম। আবার সামনের ও পিছনের চাকায় সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাচ্ছে ১২০ এমএম লম্বা টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং ৭ ধাপ যুক্ত অ্যাডজাস্টেবল মনোশক। এছাড়া রাইডারের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ ডিস্ক ব্রেক। সস্তার নিরিখে তৃতীয় স্থানে থাকা এই V-Strom SX বর্তমানে ২.১২ লাখ টাকায় (এক্স শোরুম) পাওয়া যাচ্ছে।

Yezdi Adventure:

প্রায় এক বছর আগে বাজারে পদার্পণ করা Yezdi Adventure বাইকটিতে৩৩৪ সিসি ইঞ্জিনের দেওয়া হয়েছে। Yezdi বাইকের সাথে সাম্যতা রেখে এই বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ৬ স্পিড ট্রান্সমিশন যুক্ত ৩০.২ পিএস ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন যা ২৯.৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। উপরন্তু বাইকটি সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাসটার, ডুয়াল চ্যানেল এবিএস, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সহ রকমারি ফিচার্সে সমৃদ্ধ। আবার সাসপেনশনের জন্য রয়েছে ২০০ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং ১৮০ মিমি অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার মনোসক। ব্রেকিং সিস্টেম গঠিত হয়েছে ৩২০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক ও ২৪০ মিমি রিয়ার ডিস্ক নিয়ে। উভয়দিকেই উপলব্ধ রয়েছে এবিএস সিস্টেম। বর্তমানে এর এক্স শোরুম প্রাইসের রেঞ্জ ২.১৩ লাখ – ২.১৫ লাখ টাকা।

Himalayan:

এদেশে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের অন্যতম সেরা নির্মাণকারী সংস্থা রয়্যাল এনফিল্ড এর হাত ধরে ২০১৬-তে লঞ্চ করেছিল Himalayan। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাইকটির শরীরে পরিবর্তন হয়েছে খুবই সামান্য। এর চালিকাশক্তি যোগায় ৪১১সিসি এয়ার কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ট ইঞ্জিন, যা ৬৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৪.৩ পিএস ক্ষমতা উৎপন্ন করতে পারে। আবার ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ আরপিএম গতিতে ৩২ এনএম টর্ক জেনারেট হয় এই ইঞ্জিন থেকে। ৫ ধাপ যুক্ত গিয়ারবক্স সম্পন্ন মডেলটিতে রয়েছে ২০০ মিমি দীর্ঘ টেলিস্কোপিক ফর্ক। আর পিছনের চাকায় ১৮০ মিমি লম্বা মনোশক অ্যাবজরভার। বাইকটির এক্স-শোরুম দাম ২,১৫,৯০০ টাকা থেকে শুরু ।