New Bike: বাজেট কম? নতুন বাইক কিনতে গিয়ে বাড়তি খরচ কমানোর টিপস জেনে নিন

আজকালকার দিনে দাঁড়িয়ে একটি বাইক শুধু যে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর কাজেই ব্যবহৃত হয় তা নয় এটি একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্টও বটে। তবে জীবনের প্রথম বাইক হোক বা দশম বাইক, নতুন মোটরসাইকেল কেনার আনন্দটা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বিশেষ হয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে দু’চাকার দাম আকাশছোঁয়া। শহরের জনবহুল রাস্তায় চলার পাশাপাশি হাইওয়েতেও দারুন পারফরম্যান্স প্রদানকারী বাইকের মূল্য এখন প্রায় ২ লাখ টাকা বা তারও বেশি। বাজেট কম কিন্তু নতুন বাইক কিনতে গিয়ে বাড়তি খরচ কমানোর টিপস জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ইন্সুরেন্স:

মোটরসাইকেলের অন-রোড প্রাইস গণনা করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইন্সুরেন্স এর হিসাব। মোটরবাইক বিক্রেতারা অনেক সময় ইন্সুরেন্স সংস্থার কাছে মডেলের মোট মূল্যকে অতিরিক্ত দেখিয়ে মুনাফা লোটার চেষ্টা করে। যা আদতে গ্রাহকদের লোকসানের কারণ। এইরকম ক্ষেত্রে আপনাকে সুবিধামতো অফারটি নির্বাচন করতে হবে যে পলিসিতে টাকা কিছুটা সাশ্রয় হয়। নিজেই বাইক কেনার সময় ইন্সুরেন্স প্রদানকারী সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এতে সংস্থার দ্বারা অর্জিত মুনাফা থেকে কমপক্ষে ১০% আপনি বাঁচাতে পারবেন।

সঠিক ডিসপ্লেসমেন্ট নির্ণয়:

বেশিরভাগ মোটরসাইকেল ক্রেতা অধিক ক্ষমতাশালী ইঞ্জিনের মোটরবাইক কেনার কথা ভাবেন। সাধারণভাবে মোটরসাইকেলগুলি কমিউটার, ট্যুরিং, রেসিং এমন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে থেকে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কোনটি উপযোগী তা চিন্তা করে দেখবেন। শহরাঞ্চলে নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত সক্ষমতার মোটরবাইক কেনা একেবারেই নির্বুদ্ধিতার কাজ। অপরদিকে ভ্রমণ পিপাসু ক্রেতাদের জন্য লং রাইডের উপযোগী অধিক শক্তিশালী মোটরবাইক যেমন KTM 390 কেনাটাই যথপযুক্ত। এই ক্ষেত্রে ২০০ সিসির ইঞ্জিন যুক্ত বাইক যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারে। মনে রাখবেন অধিক শক্তিশালী ইঞ্জিনের বাইকের দামও কিন্তু অনেক বেশি।

সার্ভিস এবং সাপোর্ট:

বাইক কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভিসিং সেই সংস্থাটি দিতে পারবে কিনা। এমন কোন সংস্থার মোটর বাইক কেনা উচিত যার স্পেয়ার পার্টস সহজেই পাওয়া যায়। সাধারণত হোন্ডা, হিরো মটোকর্প এবং টিভিএস এর মত সংস্থাগুলি পর্যাপ্ত সার্ভিস এবং স্পেয়ার সাপোর্ট দিতে সক্ষম।

অতিরিক্ত সংযুক্তিকরণ:

আজকালকার দিনে নতুন বছর বাইক কিনতে গেলে অনেক সময় সংস্থার তরফ থেকে অতিরিক্ত কিছু অ্যাক্সেসরিজ বা কাস্টম কিটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো পেনিয়ার, আরামদায়ক ট্রাভেল সিট, বিশেষ কালার স্কিম, অপশনাল হুইল কিংবা টায়ার, নেভিগেশন সিস্টেম ইত্যাদি। যেগুলি হয়তো আপনার শখের টু হুইলার টিকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু এটা আমাদের হয়তো এটা অজানা যে এর পেছনেও সংস্থার উদ্দেশ্য থাকে ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অধিক মূল্য যুক্ত উন্নত গ্রিপের টায়ার ভাল হলেও সেগুলো স্থায়িত্ব কম। আবার পেনিয়ার ছাড়াও আমরা কিন্তু লং ড্রাইভে যাওয়া সম্ভব। এমনকি নেভিগেশনের কাজটাও আজকাল আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইলের মাধ্যমে সম্ভবপর হয়। তবে হ্যাঁz নিজের সুরক্ষার স্বার্থে ক্র্যাশ গার্ড লাগাতে কিন্তু ভুলবেন না।

রক্ষণাবেক্ষণ:

নতুন একটি বাইক কেনার চেয়ে অনেক বেশি টাকা সাশ্রয় করা যায় যদি আপনি সময়মতো আপনার পুরানো বাইকটির প্রতি যত্নশীল হন। সঠিক সময় নিয়মমাফিক সার্ভিসিং করালে আপনার পুরানো মোটরসাইকেলটিও দীর্ঘমেয়াদি জীবন পায়। পুরোনো বাইকের অপব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। বাইকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি যদি বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে চালানো হয় তাহলে সমস্যাহীন ভাবে পুরনো মোটরবাইকও অনেক দিন পর্যন্ত চালানো যায়।