Petrol-Diesel Car Ban: পেট্রল, ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধের ঘোষণা ইউরোপে, একই পথে ভারত?

পরিবেশ দূষণের চোখ রাঙানির যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় বুঝি এবার এসে গেছে। তাই মাথায় চড়ে বসা দূষণকে এক ঝটকায় মাটিতে ফেলতে কালজয়ী সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার একটি খসড়া আইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে সমগ্র ইউরোপে ২০৩৫ সাল থেকে নতুন পেট্রোল, ডিজেল গাড়ি এবং হালকা কমার্শিয়াল ভেহিকেল বিক্রি বন্ধ করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি এই খসড়া আইনের আওতায় হাইব্রিড (পেট্রোল-ইলেকট্রিক) গাড়ির বিক্রিও নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়েছে। কেবল ১০০ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রিকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের প্রসঙ্গে পরিবহণ কমিটি এমইপি ফর গ্রীন/ইএফএ কারিমা ডেল্লি-এর সভাপতি বলেন, “আমরা একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছেছি, যা অটোমোবাইল এবং জলবায়ুর সমন্বয় সাধন করবে।” উল্লেখ্য, ২০২২-এর অক্টোবরে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আলোচক এবং ২৭ জন রাজ্যের সদস্য ইতিমধ্যেই একটি রাজনৈতিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এবারে যার বাস্তবায়ন হচ্ছে। পার্লামেন্টে উক্ত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৪০ জন, অন্যদিকে বিপক্ষে মত সায় দিয়েছেন ২৭৯ জন।

এক অন্তর্বর্তী চুক্তিতে ২০৩০-এর মধ্যে প্যাসেঞ্জার গাড়ির নির্গমন ৫৫% এবং ভ্যানের নির্গমন ৫০% কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এটি হল ফিটফর৫৫ লক্ষ্যমাত্রার অংশবিশেষ। যার আওতায় ২০৩০-এর মধ্যে ইউরোপে গ্রীনহাউস গ্যাসের নির্গমন ৫৫% কমানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। এই নীতিতে উল্লেখ রয়েছে, “২০৩০-এর মধ্যে কার্বনের নির্গমন কমিয়ে আনা এবং ২০৩৫-এর মধ্যে তা শূন্যে পৌঁছানো হবে।”

উক্ত নীতিতে আরও বলা হয় , “এই লক্ষ্য গাড়ি সংস্থাগুলিকে স্বচ্ছতা প্রদান করবে। পাশাপাশি গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনে তাদের উদ্দীপনা জোগাবে। পরিবেশবান্ধব গাড়ির দাম কমে আসবে। এবং এক্ষেত্রে হাতফেরতা গাড়ির বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।” তবে, ২০৩৫-এর মধ্যে ডিজেল এবং পেট্রোল গাড়ির বিক্রি বন্ধের তালিকায় ছাড় পাবেন এমন গাড়ি নির্মাতারা, যাদের বার্ষিক উৎপাদনের সংখ্যা ১০,০০০-এর কম।

এককথায়, প্রিমিয়াম গাড়ির ক্ষেত্রে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত ইঞ্জিন সহ গাড়ি বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোটাভুটির পর এক্ষেত্রে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কাউন্সিল। উল্লেখ্য, ভারত সরকারের তরফে এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানানো হয়নি। আপাতত ২০৬৫-৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।।