চার ভিন্ন সাজে বাইকপ্রেমীদের মনে ঝড় তুলল TVS এর কাস্টম Ronin, রইল নতুন মডেলের ছবি

ভারতীয় বাইক নির্মাতা TVS বরাবরই তাদের উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতবাসী তথা সমগ্র বিশ্বের কাছেই প্রশংসাবার্তা কুড়িয়েছে। গত বছর তারা রনিন (Ronin) বাইকটি লঞ্চ করার মাধ্যমে স্ক্র্যাম্বলার সেগমেন্টে প্রথম হাতেখড়ি করে। বাইকটি প্রথম থেকেই দেশের বাইকপ্রেমীদের মনে একটা আলাদা জায়গা করতে পেরেছিল। আর এবার এই বাইকটির উপরে নির্ভর করে চারটি আলাদা কাস্টম বাইকের বাহার দেখলো গোটা দুনিয়া। গোয়াতে অনুষ্ঠিত টিভিএস দ্বারা পরিচালিত মোটরবাইক শো MotoSoul ইভেন্টের দ্বিতীয় এডিশনে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা দেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন নামজাদা কাস্টম বাইক নির্মাতাদের হাতের জাদুতে টিভিএস রনিন এর উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে চারটি আলাদা কাস্টম বাইক। টিভিএস মটোসোল প্রথম দিন দেখেছিল জার্মানির সংস্থা JVB Moto এর তৈরি একটি কাস্টম রনিন। যার নাম Agonda। এটি মূলত গোয়ার অ্যাগোন্ডা সমুদ্র সৈককের নামে রাখা হয়েছে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান Smoked Garage অপারিজত সামুরাই যোদ্ভার থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে রনিনকে কাস্টমাইজ করেছে। নতুন মডেলটির নাম দেওয়া হয়েছে Musashi।

এর পাশাপাশি বাইক কাস্টমাইজেশন এর কাজে যুক্ত এক ভারতীয় সংস্থা Rajputana Customs এর তৈরি- Wakizashi নামের Ronin এর আকর্ষণীয় ভার্সনও প্রদর্শন করা হয়েছে এখানে। এছাড়া টিভিএস মোটর কোম্পানির নিজস্ব কাস্টম দলটি SCR নামের আরো একটি মডেল তৈরি করেছে। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেলেই রনিনের নিজস্ব রেট্রো মডার্ন থিমকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এবং প্রত্যেকটি দু’চাকাকেই বহুমুখী ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে টিভিএস মোটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুদর্শন ভেনু তার বক্তব্যে বলেন “আমাদের টিভিএস মোটর সংস্থার উন্নতির প্রধান চাবিকাঠি হল এর প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড TVS Apache, TVS Ronin আর ৫ মিলিয়ন গ্লোবাল কমিউনিটি সবকিছুই আমাদের চলার শক্তি যোগায়। চলতি বছরের টিভিএস MotoSoul এর ২০২৩ এডিশন আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আপ্লুত। এটি আদতে আমাদের রাইডার কমিউনিটি এবং পারফরন্সান্সকে উন্নত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ করে। “

প্রসঙ্গত টিভিএস রনিন এর এক্স শোরুম প্রাইস শুরু হচ্ছে ১.৫০ লাখ টাকা থেকে। এর উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো হল ডুয়াল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, রাইড মোড, সামনে ইউএসডি ফর্ক, চওড়া হ্যান্ডেল বার, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ইত্যাদি। বাইকটির সর্বত্রই এলইডি লাইটের ব্যবহার বেশ চিন্তাকর্ষক। সাথে রয়েছে অফ-রোড স্পেশাল টায়ার।