YouTube: ডিজলাইক সংখ্যা না দেখানোয় জনপ্রিয়তা হারাবে ইউটিউব, মত সহ-প্রতিষ্ঠাতার

ক্রিয়েটর ও ভিউয়ারের মধ্যে সম্পর্ককে সহজ করতে Youtube সম্প্রতি এক অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে এই প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া সমস্ত ভিডিও থেকে ডিজলাইকের (Dislike) সংখ্যা গোপন থাকবে। অর্থাৎ কোনো ভিডিও’য় ঠিক কত ডিজলাইক পড়ছে সেটা জানা Youtube ভিউয়ারদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর দ্বারা Youtube অনুরাগীরা যারপরনাই উপকৃত হবেন বলে সংস্থার দাবী। যদিও সেই দাবীর সঙ্গে একমত নন ইউটিউবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম। তার মতে এই সিদ্ধান্ত ইউটিউবের জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে জাভেদ করিম এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ডিজলাইক ফিচার সংক্রান্ত পরিবর্তনকে তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তার দাবী, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তা নেই। এর ফলে ইউটিউবের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ধাক্কা খাবে। কারণ ইউজার নির্ভর সামাজিক মাধ্যমে ভালো ও খারাপ কনটেন্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দানে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকা উচিত নয়। অর্থাৎ এখানে সমস্ত ইউজারের হাতে উভয় ধরনের কনটেন্ট চিহ্নিত করার ক্ষমতা প্রদান জরুরি।

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলতে গিয়ে করিম মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ব্যবহারকারী কর্তৃক নির্মিত সমস্ত কনটেন্ট ভালো হতে পারে না। বরং বহুক্ষেত্রে এরা সমাজ ও গোষ্ঠীজীবনের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে থাকে। আবার অতি দ্রুত ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিতেও অনেকে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ডিজলাইকের সংখ্যাকে গোপন করলে এই ধরনের ক্ষতিকারক কনটেন্ট আরো বেশি করে ইউজারদের বিভ্রান্ত করবে বলে করিমের দাবী। তাই সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেও ইউটিউবের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে তিনি একেবারেই খুশি হতে পারছেন না।

অন্যদিকে ইউটিউবের বক্তব্য ক্রিয়েটরদের অপদস্থ হওয়ার হাত থেকে রেহাই দিতেই তারা ডিজলাইকের সংখ্যা গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এক্ষেত্রে ডিজলাইক বাটনের উপস্থিতিতে কোন প্রভাব পড়ছে না। অর্থাৎ কনটেন্ট পছন্দ না হলে এখনো মানুষ ডিজলাইক বাটনে ক্লিক করে তাদের অপছন্দের কথা জানান দিতে পারবেন। তবে মোট কতজন এভাবে তাদের অপছন্দ ব্যক্ত করছেন, সেটা ইউটিউব তার ইউজারদের থেকে গোপন রাখবে।

Youtube কর্তৃপক্ষের দাবী, বর্তমানে বহু ইউজার তাদের ডিজলাইক বাটনের অপব্যবহার শুরু করেছেন। এভাবে দল বেধে একটি নির্দিষ্ট ভিডিও বা ক্রিয়েটরকে নিশানা করা হচ্ছে। তারপর শুরু হচ্ছে ডিজলাইকের ঝড়। পরিকল্পনা মাফিক ডিজলাইক দিয়ে এভাবেই ক্রিয়েটরদের অপদস্থ করার পন্থা বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এই জাতীয় আচরণ থেকে ক্রিয়েটরদের রেহাই দিতে ডিজলাইকে সংখ্যা গোপন রাখা বর্তমানে আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ইউটিউব ব্লগ পোস্টে মন্তব্য করা হয়েছে।