Yamaha R15-র কাছে টিকতেই পারল না KTM এর স্পোর্টস বাইক, গত মাসেও বিশাল ব্যবধানে হার

ভারতে বাজেটের মধ্যে সেরা স্পোর্টস বাইক কোনটি? এই নিয়ে নানা মুনির নানা নানা মত। এক দলের দাবি পুরনো খেলোয়াড় Yamaha R15, তো অন্য দলের পছন্দে KTM RC 200। জাপানি নির্মাতার সঙ্গে অস্ট্রিয়ান সংস্থার দ্বন্দ্ব বহুদিনের। সত্যি কথা বলতে দুটো বাইকই তার ডিজাইন ও পারফরম্যান্সের বিচারে তার নিজের জায়গায় শ্রেষ্ঠ। কিন্তু সম্প্রতি অক্টোবরের বাইকদ্বয়ের বিক্রির পরিসংখ্যান সেই দ্বন্দ্বকেই যেন পুনর্জীবিত করে তুললো।

অক্টোবর মাসে ইয়ামাহা তাদের জনপ্রিয় স্পোর্টস বাইকটির ১০,৫৪১ ইউনিট বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে R15S ও R15 V4। অন্যদিকে একই সময়ে মাত্র ৪,০০২ টি RC 200 ও 200 Duke বিক্রি করতে পেরেছে কেটিএম। অর্থাৎ এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফারাক বিস্তর। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে R15 V4 মডেলটির বিক্রিতে জোয়ার এসেছে ১০.৩%। সেপ্টেম্বরে ৯,৫৫০ নতুন গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল এই স্পোর্টস বাইকের চাবি।

তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মত, দুই সংস্থার স্পোর্টস বাইকের বিক্রির মধ্যে এই ফারাকের অন্যতম প্রধান কারণ হল বাইকের দাম। KTM RC 200-র দাম যেখানে ২.১৪ লাখ টাকা সেখানে R15 V4 এর মেটালিক রেড রংয়ের মডেলটি মিলবে মাত্র ১.৭৯ লাখ টাকায়। অন্যদিকে এই মডেলটির সাশ্রয়ী সংস্করণ S-এর দাম ১.৬২ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, এগুলি এক্স শোরুম মূল্য।

ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনে নজর দিলে দেখা যাবে KTM RC 200-কে চালিকা শক্তি যোগায় ১৯৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ২৪.৬ বিএইচপি শক্তি ও ১৯.২ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। অপর হাতে থাকা R15 V4 বাইকটিতে ১৫৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি থেকে ১৮.১ বিএইচপি শক্তি ও ১৪.২ এনএম টর্ক জেনেরেট হয়। দুটি বাইকের ক্ষেত্রেই সিক্স স্পিড গিয়ার বক্স এবং লিকুইড কুলিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। যদিও R15-এ রয়েছে কুইক শিফটার (অপশনাল), ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, ফুল এলইডি হেডলাইট ও টেললাইটের মত আধুনিক ফিচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *