বিশ্বের মানচিত্রে ক্রমশই পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিচ্ছে ব্যাটারি চালিত গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলগুলি। দেশে ও বিদেশে জন্ম নিচ্ছে একের পর এক ইভি নির্মাণকারী সংস্থা। সাধারণ মানের গন্ডি পেরিয়ে অত্যাধুনিক সমস্ত মডেল লঞ্চ করতে ব্যস্ত তারা। ঠিক এমনই এক বৈদ্যুতিক বাইক নির্মাতা (Ultraviolette) আল্ট্রাভায়োলেট আস্তে চলেছে এদেশের বাজারে। সাথে থাকছে তাদের দ্রুত গতি সম্পন্ন ই-বাইক F77। আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকেই সাধারণের জন্য এই বাইকটির টেস্ট রাইড শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সংস্থার দাবি ভারত, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি মিলিয়ে মোট ১৯০ টি দেশ থেকে ৬৫০০০ প্রি-বুকিং নথিভুক্ত হয়েছে এই বাইকের নামে। যা প্রকৃত অর্থেই অভাবনীয়। প্রসঙ্গত গত দুবছর ধরে F77 মডেলটি নিয়ে কাজ করে চলেছে বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা আলট্রাভায়োলেট। আরোও অনেক আগেই বাইকটির আত্মপ্রকাশ করার কথা থাকলেও করোনা অতিমারি ও সেমিকন্ডাক্টর চিপের প্রতুলতায় তা বিলম্বিত হয়েছে।
আল্ট্রাভায়োলেটের তৈরি এই F77 ইলেকট্রিক বাইকটি বহু অংশে বিমান পরিবহন সংক্রান্ত ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো। আর যে কারণেই এর ডিজাইন অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ। তিনটে আলাদা রঙে লঞ্চ হচ্ছে এই বাইকটি- এয়ার স্ট্রাইক, শ্যাডো ও লেজার। এছাড়াও রয়েছে ব্যাকলিট সুইচ ও একটি টিএফটি ডিসপ্লে যা গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য দেখতে সাহায্য করবে।
উচ্চগতি সম্পন্ন এই বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটির ওজন ১৫৮ কেজি। সিট হাইট ৮০০ মিমি, যা বেশিরভাগ মানুষের জন্যই সুবিধাজনক। এর শক্তি ভান্ডার হিসেবে রয়েছে ৪.২ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারী প্যাক। সাথে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে থাকছে ১ কিলোওয়াটের চার্জার ও ৩ কিলোওয়াট এর পোর্টেবল চার্জার। আল্ট্রাভায়োলেটের দাবি অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড চার্জার দিয়ে এর ব্যাটারিকে সম্পূর্ণ চার্জ করতে ৫ ঘন্টা লাগলেও ফাস্ট চার্জারের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১.৫ ঘন্টা। ব্যাটারির রেঞ্জ ১৩০ থেকে ১৫০ কিমি।
F77 এর সবচেয়ে হাইলাইটের পার্ট হল উচ্চগতি। নির্মাতার দাবি অনুযায়ী বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৪৭ কিমি। এতে থাকা বৈদ্যুতিক মোটরের সর্বোচ্চ পাওয়ার আউটপুট ৩৩.৫ হর্সপাওয়ার ও সর্বাধিক উৎপাদিত টর্ক ৯০ এমএম। সাথে রয়েছে তিন ধরনের রাইটিং মোড- ইকো, স্পোর্ট এবং ইনসেন। মোটরসাইকেলটি স্থিতাবস্থা থেকে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি ও ১০০ কিমি গতিবেগ তুলতে সময় নেয় যথাক্রমে ২.৯ সেকেন্ড ও ৭.৫ সেকেন্ড।