Xiaomi SU7 breaks down

শাওমির গাড়ি কিনে মাথা কুটছে চীনারা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মাঝপথেই, ব্রেকেও গলদ

শাওমি গত মার্চ মাসে তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি, Xiaomi SU7 লঞ্চ করেছিল। মূলত স্মার্টফোনের জন্য পরিচিত শাওমি অটোমোবাইলের জগতে কতটা সাফল্য পাবে, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সমালোচকরা। এখন তাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, ক্রেতাদের অভিযোগেই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লঞ্চের কয়েক মাসের মধ্যেই হরেক সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে Xiaomi SU7 এর নাম। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী গোলযোগের অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, মাত্র ৩৯ কিলোমিটার চালানোর পরই শাওমির গাড়ি ব্রেকডাউন হয়ে গিয়েছে।

Xiaomi SU7 নিয়ে সমস্যায় ব্যবহারকারীরা

একজনের অভিযোগ, ডিসপ্লেতে থামানোর সতর্কবার্তা দিয়ে তার ব্রাইট ব্লু কালারে Xiaomi SU7 হাইওয়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ড্রাইভ ও রিভার্সের মধ্যে পরিবর্তিত করার ব্যবস্থাটিও বিকল হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ট্রাক ডাকতে হয়। ডেলিভারি সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার মেকানিক’রা ঠিক করতে ব্যর্থ হন। বর্তমানে গাড়িটি পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়েছে।

ওই গাড়ির ক্রেতা পুরনো মডেল বদলে নতুন Xiaomi SU7 দেওয়ার জন্য কোম্পানির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রত্যুত্তরে শাওমি সাফ বলে দিয়েছে, অ্যাসেম্বেল করা গাড়ির প্রতিটি মডেল বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন গাড়ি তাঁকে দেওয়া অসম্ভব। বরং গাড়ির দাম সম্পূর্ণ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে সংস্থা। এমনকি ক্ষতিপূরণ দিতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে কোম্পানি।

সাম্প্রতিক এই ঘটনায় Xiaomi SU7-এর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কয়েকজন ক্রেতা গাড়িটির পেইন্টে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আবার কিছুজন ট্র্যাকশন কন্ট্রোল নিয়ে অভিযোগ করেছেন। অটোমেটিক এমার্জেন্সি ব্রেকিং ব্যবস্থায় যে গলদ রয়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছে শাওমি। ১৩৫ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিবেগ পার করার পর সেটি আর কাজ করছে না।

শাওমি ইতিমধ্যেই SU7-এর ১০,০০০টির বেশি মডেল তৈরি করে ফেলেছে। প্রসঙ্গত, Xiaomi SU7 চারটি ট্রিমে উপলব্ধ – Entry level version, Pro variant, Max version এবং limited Founders এডিশন। টপ এন্ড ভার্সনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৬৫ কিলোমিটার/ঘন্টা। এটি ০-১০০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ২.৭৮ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম। সম্পূর্ণ চার্জে এটি ৮১০ কিলোমিটার পথ দৌড়ায়।