Bajaj Pulsar N160 : লঞ্চ হল 160 সিসির নতুন পালসার, নতুনত্ব বৈশিষ্ট্য ও দাম জেনে নিন
পালসারের জনপ্রিয়তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নয়া ভার্সনে স্ট্রীট ফাইটার Pulsar 160NS হাজির করল বাজাজ (Bajaj)। নতুন মডেলটি...পালসারের জনপ্রিয়তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নয়া ভার্সনে স্ট্রীট ফাইটার Pulsar 160NS হাজির করল বাজাজ (Bajaj)। নতুন মডেলটি Pulsar N160 নামে এসেছে। বাজারে এর প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলগুলি হল TVS Apache RTR 160, Yamaha FZS-FI ও Hero Xtreme 160R। N160-র দাম আগের মডেলটির তুলনায় ৫,০০০ টাকা বেশি। এদিকে Pulsar N160 পর পালসারের আরও এক মডেল লঞ্চ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বাজাজ। যা হল Pulsar N250 Eclipse Edition। আসুন 2022 Bajaj Pulsar N160-এর স্পেসিফিকেশন ও দাম বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
2022 Bajaj Pulsar N160 গুরুত্বপূর্ণ ফিচার আপডেট
স্পাই ছবিতে নতুন 160N-এর বেশকিছু আপডেট ধরা পড়েছে। এতে নতুন কেসিং ও কম্প্যাক্ট প্রোজেক্টর হেডল্যাম্পের দেখা মিলেছে। যা Pulsar N250 থেকে ধার করা। আবার N250-র প্ল্যাটফর্ম এর উপর ভিত্তি করে তৈরি তৃতীয় মডেল এটি। অন্য পরিবর্তনের মধ্যে নতুন মডেলের ফুয়েল ট্যাঙ্কটি আগের তুলনায় বৃহত্তর। পিছনের অংশটি আগের মতই দেখতে লাগলেও নতুন ডিজাইনের টেললাইট দেওয়া হয়েছে। পেশীবহুল আগ্রাসী স্টাইলিংয়ের জন্য পরিচিত বাইকটির ডিজাইন গ্রাহকদের হৃদয় জিতে নেবে বলে আশাবাদী সংস্থা।
নতুন প্রজন্মের Pulsar 160N-এ উপস্থিত আন্ডার বেলি এগজস্ট, ক্রিস্টালিন এলইডি টেলল্যাম্প, ওল্ফ এলইডি ডিআরএল সহ বাই ফাংশানাল এলইডি প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প। এছাড়া গিয়ার পজিশন ইনডিকেটর সহ একটি আপডেটেড ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ও ইউএসবি মোবাইল চার্জার আছে। পুরনো মডেলটি মেটালিক পার্ল হোয়াইট, বার্ন্ট রেড ও পিউটার গ্রে রঙে উপলব্ধ থাকলেও, নতুন অবতারটি চারটি রঙে এসেছে। সিঙ্গেল ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টটি ব্লু, রেড এবং গ্রে রঙে বেছে নেওয়া যাবে। অন্যদিকে ডুয়েল এবিএস ভ্যারিয়েন্টটি কেবলমাত্র ব্ল্যাক কালারে হাজির হয়েছে। এখানে জানিয়ে রাখি, এটি এই সেগমেন্টের একমাত্র বাইক যা ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ এসেছে।
2022 Bajaj Pulsar N160 ইঞ্জিন, হার্ডওয়্যার ও দাম
আসন্ন Pulsar 160N আগের মতোই ১৬০.৩ সিসি অয়েল কুল্ড, ট্যুইন স্পার্ক BS6 DTS-i FI ইঞ্জিন সহ আসবে। যা থেকে ১৬ পিএস শক্তি এবং ১৪.৬৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। পুরনো 160NS-এর তুলনায় এর আউটপুট ১.২ পিএস কম। পাওয়ার ব্যান্ডের একটা বড় অংশে টর্ক সরবরাহের ফলে আগের তুলনায় রাইডিংয়ের মান উন্নত হবে। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৫-স্পিড গিয়ার বক্স। Pulsar N160 হল সেগমেন্টের দ্রুততম বাইক বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যান্য হার্ডওয়্যারের মধ্যে পুরনো 160NS মডেলে অ্যান্টি ফ্রিকশন ব্রাশ যুক্ত টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ারে ক্যানিস্টার সহ নাইট্রক্স মোনোশক অ্যাবসর্বার ছিল। কিন্তু নতুন মডেলে এই শ্রেণীর সেরা ফ্রন্ট এবং পেছনে নতুন নাইট্রক্স মোনোশক সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। আবার মাটি থেকে সিটের উচ্চতা মাত্র ৭৯৫ মিমি হওয়ায় উচ্চতা কম হলেও রাইডিংয়ে সমস্যা করবে না।
ব্রেকিং সিস্টেমের জন্য উপস্থিত ৩০০ মিমি ফ্রন্ট এবং ২৩০ মিমি রিয়ার ডিস্ক। স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ অফার করা হয়েছে। Pulsar 160NS-এর ওজন ১৫১ কেজি ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭৭ মিমি। ১২ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। Pulsar 160NS-এর দাম ১.২২ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। যেখানে নতুন Pulsar 160N-এর মূল্য ১.২৭ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)।