Kawasaki Ninja 400 নাকি KTM RC 390, দুই জনপ্রিয় স্পোর্টস বাইকের মধ্যে এগিয়ে কে, তুলনা রইল
কম দূষণসৃষ্টিকারী BS6 ইঞ্জিন-সহ সম্প্রতি ভারতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে Kawasaki Ninja 400-এর। নতুন ফিচার ও কসমেটিক আপডেটের...কম দূষণসৃষ্টিকারী BS6 ইঞ্জিন-সহ সম্প্রতি ভারতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে Kawasaki Ninja 400-এর। নতুন ফিচার ও কসমেটিক আপডেটের কারণে স্পোর্টস বাইকটি তার প্রধান প্রতিপক্ষ নতুন KTM RC 390-এর সঙ্গে লড়াই জমিয়ে দিয়েছে। যদিও Ninja 400-এর দাম প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হলেও, RC 390 অনেকটাই সস্তা ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা থেকে দাম শুরু। দেখে নেওয়া যাক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইক দু'টি একে অপরের মুখোমুখি হয়ে কেমন পারফর্ম করছে।
Kawasaki Ninja 400 vs KTM RC 390 স্টাইলিং
কাওয়াসাকি নিনজা ৪০০-এ নতুন কালার অপশন যোগ করা হয়েছে- বডিতে গ্রিন হাইলাইটের সাথে ইবনি/লাইম গ্রীন এবং মেটালিক কার্বন গ্রে। অপরদিকে KTM RC 390 -তেও দুই রকমে কালার অপশনে উপলদ্ধ- অরেঞ্জ এবং ফ্যাক্টরি রেসিং ব্লু। এতে নতুন ফেয়ারিংয়ের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নানা ডিজাইন আপডেট। এর টুইন বিম হেডলাইটের জায়গায় উঁচু করা ইউনিল্যাম্প হেডলাইট স্থান পেয়েছে। যার চতুর্দিকে এলইডি ডিআরএল দ্বারা আবৃত৷ প্রকৃতপক্ষে দুটি বাইকই বাহ্যিক দিক থেকে তাদের ক্যাটাগরিতে অন্যতম প্রিমিয়াম মডেল।
Kawasaki Ninja 400 vs KTM RC 390 ইঞ্জিন
নতুন নিনজা ৪০০-এরর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল এর বিএস-৬ মাপকাঠি মেনে নির্মিত ৩৯৯ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। উল্লেখ্য, কঠোর নির্গমন বিধির জন্য পূর্ববর্তী বিএস-৪ সংস্করণটি ২০২০ সালের এপ্রিলে বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। নতুন ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৪৪ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ৩৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। যদিও এর প্রতিপক্ষ কেটিএম আরসি ৩৯০ কিছুটা কম শক্তিশালী ৩৭৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন পেয়েছে। যার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ৪২.৯ বিএইচপি ও টর্ক ৩৭ এনএম। দু'টি বাইকেই সিক্স-স্পিড গিয়ারবক্স বর্তমান।
Kawasaki Ninja 400 vs KTM RC 390 ফিচার
সাসপেনশনের জন্য কাওয়াসাকি নিনজা ৪০০-এর সামনে ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে দেওয়া হয়েছে প্রি-লোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক বর্তমান। অন্য দিকে, কেটিএম আরসি ৩৯০-এর সম্মুখে ইউএসডি নন অ্যাডজাস্টেবল ফর্ক ও পশ্চাৎে দেওয়া হয়েছে প্রি-লোডের সুবিধাযুক্ত মনোশক সাসপেনশন। বাইকটির বিশেষ ফিচারগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম, কর্নারিং এবিএস, কুইক শিফটার, টিএফটি ডিসপ্লে ও বহুমুখী বৈশিষ্ট্যযুক্ত সুইচ গিয়ার। Kawasaki-তেও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ও ফুল ডিজিটাল ডিসপ্লের সুবিধা রয়েছে।