নতুন লঞ্চ হওয়া Brezza সহ Maruti Suzuki তাদের সব গাড়ির CNG মডেল বাজারে আনবে, পেট্রলের থেকে বেশি মাইলেজ দেবে
ডিজেল গাড়ি বিক্রি আগেই বন্ধ করেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। এই দশকের শেষে সম্পূর্ণ রূপে পেট্রল নির্ভর গাড়ির...ডিজেল গাড়ি বিক্রি আগেই বন্ধ করেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। এই দশকের শেষে সম্পূর্ণ রূপে পেট্রল নির্ভর গাড়ির ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চলেছে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি। বিকল্প জ্বালানির ছক তৈরি। আগামী ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারুতি সুজুকি কেবলমাত্র হাইব্রিড, ফ্লেক্স-ফুয়েল, বায়ো ফুয়েল এবং ব্যাটারি চালিত যাত্রী গাড়ি বাজারে আনবে। আর প্রথম ইলেকট্রিক মডেল আসতে পারে ২০২৪-এর উৎসবের মরসুমে। তার আগে সিএনজি চালিত গাড়িকে পাখির চোখ করছে মারুতি।
গত মাসে লঞ্চ হয়েছে নতুন প্রজন্মের Brezza SUV। এটি নতুন ডিজাইন-সহ একগুচ্ছ নয়া ফিচার পেয়েছে। বাজারে ভালই সাড়া পাওয়া গিয়েছে। বরাত এসেছে ৫০ হাজারের বেশি। যার জন্য মেজাজ চনমনে মারুতির। এদিকে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, Brezza-র সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও কাজ চলছে। যদিও লঞ্চের দিন সংস্থার তরফে এ বিষয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে খবরটি যে সত্যি, সেটা স্বীকার করে নিলেন সংস্থার সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের এক আধিকারিক।
তাঁর মতে, জ্বালানির যা দাম তাতে সিএনজি ভার্সন এলে ব্রেজার জনপ্রিয়তা উর্দ্ধমুখী হবে। পেট্রলের তুলনায় সিএনজি আরও বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী। মারুতি সুজুকির বিক্রি ও বিপণন বিভাগের ওই এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেছেন, সিএনজি গাড়ির প্রচুর চাহিদা লক্ষ্য করছেন তারা। এবং যে গাড়ির সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট নয় তাতেও এই বিকল্প যোগ করা হবে। তবে বাজারে থাকা সিএনজি গাড়ির বুকিং ডেলিভারি করা না পর্যন্ত নতুন গাড়ির সিএনজি ভার্সন লঞ্চ করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি।
শ্রীবাস্তবের দাবি, ভারতে তাদের ১৫টি গাড়ির মধ্যে নয়টি সিএনজি সংস্করণে উপলব্ধ। এবং বাকি ছয় মডেলেও ওই বিকল্প যুক্ত করা হবে৷। বর্তমানে তিন লাখের বেশি বরাতের উপর বসে আছে মারুতি। তার মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার বুকিং সিএনজি গাড়ির। চাহিদা বাড়ার কারণে ওয়েটিং পিরিয়ড দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। যে কারণে পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছা থাকলেও Brezza CNG লঞ্চ করা সম্ভব হচ্ছে না।