Hero-র ইতিহাসে এমন সুন্দর মডেল প্রথম, নয়া Karizma বাইকপ্রেমীদের হৃদয়ে ঝড় তুলে দিল
একসময় স্পোর্টস বাইকের দুনিয়ায় হিরো কারিশমা (Hero Karizma) সাড়া ফেলে দিয়েছিল। দুর্ধর্ষ স্টাইল ও পারফরম্যান্সে ভর করে...একসময় স্পোর্টস বাইকের দুনিয়ায় হিরো কারিশমা (Hero Karizma) সাড়া ফেলে দিয়েছিল। দুর্ধর্ষ স্টাইল ও পারফরম্যান্সে ভর করে তরুণ প্রজন্মের রাতের ঘুম হরণ করেছিল বাইকটি। বাজার থেকে আচমকাই হারিয়ে গেলেও, এবারে আধুনিক বৈশিষ্ট্য ও নতুন নাম এবং সর্বোপরি ভোলবদলে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে কারিশমা। Hero Karizma XMR 210 নামে বাজার কাঁপাতে আগামী এক থেকে দু'মাসের মধ্যেই লঞ্চ হতে চলেছে স্পোর্টস বাইকটি।
Hero Karizma XMR 210 এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে
খুব সম্প্রতি বড় ডিলারদের এক ন্যাশনাল ইভেন্টে ফুল ফেয়ার্ড বাইকটির লাল রঙের মডেলের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে হিরো। সেখান থেকেই Karizma XMR 210 এর একপাশের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা দেখে বাইকপ্রেমীদের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ।
Hero Karizma XMR 210: ডিজাইন ও প্রতিপক্ষ
ছবিতে লাল রঙের চাঁদর গায়ে মুড়িয়ে ধরা দিয়েছে বাইকটি। শার্প স্টাইলিং এবং বডি প্যানেলে অরিজিনাল কারিশমার অনুপ্রেরণা প্রত্যক্ষ করা গেছে। লঞ্চের পর হিরোর সবচেয়ে স্পোর্টি মোটরসাইকেল হবে এটি। রাইডারের সিটটি বেশ নিচু এবং এর পেশীবহুল ফুয়েল ট্যাঙ্কটি রাইডারের হাঁটু সহজেই গ্রিপ করবে। লম্বা ট্রান্সপারেন্ট অ্যাঙ্গুলার উইন্ডস্ক্রিনও নজর কাড়বে।বাজারে কারিশমার প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে – Bajaj Pulsar RS 200, Yamaha R15 V4, Suzuki Gixxer SF 250 ও KTM RC 200।
KTM RC 200-এর মতো Karizma XMR 210 এর হ্যান্ডেলবারটি নিচুতে অবস্থান করবে না। আরামদায়ক আপরাইট স্টান্স থাকার কারণে দূরপাল্লার যাত্রাতে অসুবিধা হবে না। বৈশিষ্ট্যের তালিকায় থাকছে এলইডি হেডল্যাম্প ইউনিট, পাতলা এলইডি টার্ন সিগনাল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সহ ফুল ডিজিটাল ক্লাস্টার, ডুয়েল টোন ফ্রন্ট ফেন্ডার এবং স্প্লিট সিট সহ সরু টেল সেকশন।
Hero Karizma XMR 210 হার্ডওয়্যার ও ইঞ্জিন
হিরো কারিশমা এক্সএমআর ২১০ হিট শিল্ড সহ সাইড মাউন্টেড এগজস্ট সিস্টেম, স্প্লিট গ্র্যাবরেল, এলইডি টেল ল্যাম্প, ডুয়েল স্পোক ব্ল্যাক ফিনিশড ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল পাবে। ব্রেকিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম সহ সামনে ও পেছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক উপস্থিত। সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে মনোশক সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে।
বাইকটি একটি নতুন ২১০ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনে ছুটবে। যা থেকে ২৫ বিএইচপি এবং ৩০ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। স্লিপার ক্লাচ সমেত সিক্স-স্পিড গিয়ারবক্স থাকবে চালকের জন্য। আশা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাইকটির দাম তুলনামূলক কম রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) নিশ্চিত করেছে যে, তারা চলতি আর্থিকবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক মোটরসাইকেল ও স্কুটার লঞ্চ করবে তারা। Karizma XMR 210 সেই লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে বাজারে আসছে। আবার এ বছরই হিরো ও হার্লে ডেভিডসন (Harley-Davidson) যৌথ উদ্যোগে তৈরি টু-হুইলার বাজারে আনবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে একাধিক ফ্ল্যাগশিপ মোটরসাইকেলের উন্নয়নে ব্রতী হয়েছে হিরো। সেই তালিকায় ডুয়েল পারপাস অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার এবং ফুল ফেয়ার্ড সুপার স্পোর্টস বাইক রয়েছে, যেগুলি ৪২১ সিসি লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনে চলবে।