পেট্রল ছাড়াও চলবে জৈব জ্বালানিতে, 150 সিসির Yamaha FZ-15 একগুচ্ছ আপগ্রেড নিয়ে লঞ্চ হল

জাপানের জনপ্রিয় মোটরসাইকেল নির্মাতা Yamaha তাদের টপ সেলিং মডেল FZ -15 নতুন ফেসলিফ্ট অবতারে লঞ্চ করল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। বাইকটির প্রধান বিশেষত্ব হল এটি…

জাপানের জনপ্রিয় মোটরসাইকেল নির্মাতা Yamaha তাদের টপ সেলিং মডেল FZ -15 নতুন ফেসলিফ্ট অবতারে লঞ্চ করল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। বাইকটির প্রধান বিশেষত্ব হল এটি ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। সহজ কথায়, পেট্রোলের পাশাপাশি ইথানলের মতো জৈব জ্বালানিতে চলতে সক্ষম। আসলে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার ক্রমশই ক্ষয়িষ্ণু। আর পরিবহণ ক্ষেত্র থেকে বায়ুদূষণের পরিমান সর্বাধিক। তাই ইথানলের মতো পরিবেষবান্ধব বায়ো ফুয়েলে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই ব্রাজিলে লক্ষ্য করা যায়। আবার ভারত সরকারও একই পদ্ধতি প্রবর্তন করতে চায় এদেশে।

ইয়ামাহার নতুন এই বাইকটি তার পূর্ববর্তী সংস্করণের থেকে অনেকটাই ভিন্ন। নতুন ডিজাইনের সঙ্গে অবতীর্ণ FZ -15 বাস্তবিক ক্ষেত্রেই এক নব লুকের জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় Fazer FZ -15 নামে পরিচিত হলেও, ভারতে FZ V3 বলে লঞ্চ হতে পারে। অর্থাৎ পপুলার Yamaha FZ সিরিজের তৃতীয় ভার্সন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে এটি। প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে দীর্ঘ বছর ধরে যুব সমাজের মন জয় করে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে ইয়ামাহা FZ সিরিজের বাইকগুলি। শেষ লঞ্চ হওয়া দ্বিতীয় ভার্সনের পর বাইকপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নতুন ভার্সনের জন্য‌।

Yamaha FZ-15 এর সবচেয়ে বড় আপগ্রেড তার হেডলাইট সেটআপে। এখন সেখানে প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প। যা দেশীয় বাজারে উপলব্ধ FZ-25 এর মতো। ভাইজারটিও নতুন। সাথে রয়েছে এয়ারভেন্ট যুক্ত দৈত্যাকার মাসকিউলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, বৃহদাকার একজস্ট পাইপ ও সিঙ্গেল সিট। Pirelli Diablo Rosso 2 টায়ার স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে রয়েছে। রেসিং ব্লু, মিডনাইট ব্ল্যাক ও ম্যাগমা রেড কালার অপশনে উপলব্ধ FZ-15।

নতুন এই সংস্করণে বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স খানিকটা বাড়ানো হলেও ফুয়েল ট্যাংকের আয়তন কিছুটা কমে হয়েছে ১১.৯ লিটার। একে চালিকাশক্তি যোগায় ১৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। সর্বোচ্চ ১২.২ বিএইচপি পাওয়ার ও ১২.৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এই ইঞ্জিনের। ট্রান্সমিশনের দিকটি সামলাতে দেওয়া রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স। তবে বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম ও সাসপেনশন সেটআপ পূর্ববর্তী সংস্করণের মতোই একই রাখা রয়েছে। ১৩৫ কেজি ওজনের বাইকটির উভয়দিকেই ১৭ ইঞ্চির চাকা লাগানো রয়েছে।

তবে বাইকটির ভারতবর্ষের আগমনের সঠিক দিনক্ষনের ব্যাপারে সংস্থার তরফে কিছু জানানো না হলেও আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ কোন সময় এটি লঞ্চ করা হতে পারে আমাদের দেশে। ভারতবর্ষের মাটিতে Yamaha FZ-15 কে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত Bajaj Pulsar N160, TVS Apache RTR 160 4V ও Suzuki Gixxer।