নিরাপদ যাত্রার গ্যারান্টি, Dual Channel ABS যুক্ত সবচেয়ে সস্তা পাঁচটি বাইকের তালিকা রইল
রাস্তায় চাকা স্কিড করা এড়াতে আন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস অত্যন্ত কার্যকরী। নাম শুনেই বোধগম্য, ব্রেক কষার সময় চাকা...রাস্তায় চাকা স্কিড করা এড়াতে আন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস অত্যন্ত কার্যকরী। নাম শুনেই বোধগম্য, ব্রেক কষার সময় চাকা লক হওয়া থেকে এটি রক্ষা করে। পিচ্ছিল রাস্তায় দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এবিএস প্রযুক্তির জুড়ি মেলা ভার। মূলত দু ধরনের এবিএস হয় - সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল। শুধুমাত্র সামনের চাকায় থাকলে তাকে বলা হয় সিঙ্গেল চ্যানেল আর উভয় চাকাতে থাকলে সেটা হল ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। স্বভাবতই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অনেক বেশি নিরাপদ। এই বৈশিষ্ট্য আছে এমন বাইক আজ মার্কেটে ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। এই প্রতিবেদনে তুলনামূলকভাবে কম দামে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেখা যায় এমন পাঁচটি বাইক নিয়ে আলোচনা রইল।
Bajaj Pulsar N160
জুনের শেষলগ্নে লঞ্চ হওয়া বাজাজ পালসার পরিবারে নতুন সদস্য এটি। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের নিরিখে এগিয়ে নয় সুরক্ষাজনিত বৈশিষ্ট্য হিসাবে হিসাবে এতে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। এই সেগমেন্টে যা অন্যান্য বাইকে নেই। দুর্দান্ত ডিজাইন ১৬৪.৮ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ইঞ্জিন পালসার N160 -কে করে তুলেছে অপ্রতিরোধ্য। ইঞ্জিনের আউটপুট ১৬ পিএস এবং ১৪.৬৫ এনএম। কলকাতায় দাম পড়বে ১,২৫,৮২৪ টাকা ( এক্স শোরুম)।
TVS Apache RTR 200 4V
২০০ সিসি সেগমেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ফিচারসমৃদ্ধ বাইক হল Apache 200 4V। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস মডেলটির স্টেবিলিটি ও সেফটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। ২০.৮২ পিএস এবং ১৭.২৫ এনএম টর্ক যুক্ত ১৯৭.৭৫ সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত এই বাইক। সেগমেন্টের একমাত্র বাইক হিসাবে এতে স্লিপার আসিস্ট ক্লাচ ও রাইড মোড আছে। এক্স শোরুম মূল্য ১,৪৩,২৪০ টাকা।
Yamaha FZ 25
বেশ কয়েক বছর আগে লঞ্চ হলেও আজকের দিনে দাঁড়িয়েও ২৫০ সিসি সেগমেন্টে অন্যতম পাওয়ারফুল ও ভরসা প্রদানকারী বাইক এটি। ইয়ামাহা FZ 25- এ রয়েছে ২৪৯ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন যা ২০.৮ পিএস পাওয়ার ও ২০.১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ৫ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই বাইকের অন্যতম সেফটি ফিচার হল ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। কলকাতায় দাম শুরু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা থেকে (এক্স-শোরুম)।
Bajaj Pulsar N250 and F250
কয়েক মাস আগে লঞ্চ হওয়া পালসার সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী মডেল হল Pulsar N250 ও F250। প্রথমটি নেকেড ও দ্বিতীয়টি সেমি- ফেয়ারিং যুক্ত। দুটি বাইকেই একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যার আউটপুট যথাক্রমে ২৪.৫ পিএস ও ২১.৫ এনএম। আগে শুধু সিঙ্গেল চ্যানেল থাকলেও নতুন ব্ল্যাক কালার অপশনে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস-এর সুবিধা যোগ করা হয়েছে। কলকাতায় এই ভ্যারিয়েন্টের এক্স শোরুম মূল্য ১,৫২,৪১৬ টাকা।
Bajaj Dominar 250
আজকের আলোচনায় পঞ্চম এবং জনপ্রিয় ট্যুরিং বাইক হল Dominar 250। এতে ২৪৮.৮ সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন এতে ব্যবহার করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ ২৬.৬৩ পিএস ক্ষমতা ও ২৩.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস যুক্ত এই বাইকটির অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হল এর সামনে দেওয়া ইউএসডি ফর্ক ও পিছনে গ্যাস চার্জড মনোশক সাসপেনশন। এই শহরে বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য ১,৬৮,৬০২ টাকা