বিশ্বজুড়ে কদর এদের, Suzuki, Honda, Yamaha, ও KTM-এর এই পাঁচটি দুর্ধর্ষ বাইক ভারতেও দেখতে চাই আমরা
একটি বিলাসবহুল চার চাকার গাড়ি যত দামি হোক না কেন, একজন মোটরসাইকেল প্রেমীকে সেটি সফরের আনন্দ দিতে অক্ষম। বেশীরভাগ...একটি বিলাসবহুল চার চাকার গাড়ি যত দামি হোক না কেন, একজন মোটরসাইকেল প্রেমীকে সেটি সফরের আনন্দ দিতে অক্ষম। বেশীরভাগ বাইকারদের অন্তত এমনটাই ধারনা। রাস্তায় স্বাধীনভাবে চলার সময় গায়ে বাতাসের স্পর্শ ও প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়ার সুখ, যা একটি গাড়ি থেকে পাওয়া অসম্ভব। আবার সমগ্র বিশ্বে বাইকের মধ্যে একটি মিড-রেঞ্জ (৫০০-৯০০ সিসি) টু-হুইলারের চাহিদা সর্বাধিক। কারণ এই সেগমেন্টের বাইকে রাইডিংয়ের মজাই নাকি আলাদা। দুঃখের বিষয় ভারতে বেশ কিছু বছর ধরে এই জাতীয় মোটরসাইকেলের আনাগোনা তেমন নেই বললেই চলে। যার মুখ্য কারণ এই ডিসপ্লেসমেন্টে ভারতীয় নির্মাতাদের অগ্রগতি ঘটাতে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে আমদানি করে যন্ত্রাংশ জুড়ে বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এদিকে বিশ্ববাজারে লঞ্চ হতে দেখে ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যেও পারফরম্যান্স বাইকের চাহিদা প্রবল হয়ে উঠেছে। বিশ্বজুয়ে কদর, কিন্তু ভারতে আসেনি, তবে আমরা এ দেশে লঞ্চ হতে দেখতে চাই, এমন পাঁচটি মোটরসাইকেল সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে আলোচনা রইল।
Yamaha YZF-R6
Yamaha YZF-R6 বা R6 নামটি রেসিং বাইকের দুনিয়ায় ভীষণই প্রসিদ্ধ। তাই বাইকটির সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নেই। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে রেসিংয়ে একাধিক খেতাব অর্জন করেছে। ২০২১ থেকে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বাজারে বাইকটি কেবলমাত্র রেসিংয়ের জন্যই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে। ১৯৯৯-তে বাইকটি থেকে ১০০ এইচপি শক্তি উৎপাদিত হতো। পরবর্তীতে ফুয়েল ইঞ্জেকশন প্রযুক্তি যোগ হওয়ায় ২০০৭ থেকে ২০০৮ সালে R6 থেকে ১২৭ বিএইচপি ক্ষমতা পাওয়া যেত। বাইকটির জনপ্রিয়তার অপর একটি কারণ ১৪,০০০ আরপিএম গতিতে এর কার্যকারিতা।
Kawasaki ZX-25R
জাপানি সংস্থার Kawasaki ZX-25R বাইকটির ভারতে লঞ্চ হওয়ার খবর, বহু বাহিক প্রেমীর রাতের ঘুম কাড়তে পারে। নামের সাথে ‘২৫’ লেখা দেখে এর আউটপুট সম্পর্কে ঘাবরাবেন না। জানিয়ে রাখি এটি হল কাওয়াসাকির ২৫০ সিসি সেগমেন্টের একমাত্র মডেল যাতে চার সিলিন্ডার রয়েছে। এর আউটপুট ৪৩ বিএইচপি। ডিজাইনের নিরিখে ১,০০০ সিসির ZX-10R-এর সাথে মিল রয়েছে। ZX-25R -এ উপস্থিত ট্রাকশন কন্ট্রোল, অ্যাডজাস্টেবল Showa ইউএসডি ফর্ক, দুটি পাওয়ার মোড, আন্ডার বেলি এগজস্ট সহ আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য। দুঃখের বিষয় ZX-25R বাইকটি হয়তো ভারতের বাজারে কখনই আনবে না কাওয়াসাকি, কারণ দামের দিক থেকে দেশীয় বাজারে এর টিকে থাকা মুশকিল।
KTM Adventure R Series
অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল এদেশে হালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বাইক লঞ্চ করেছে BMW, Honda এবং Triumph। কিন্তু এক্ষেত্রে KTM-এর অনুপস্থিতি গ্রাহকরা মিস করেন। আন্তর্জাতিক বাজারে KTM Adventure R Series-এর মধ্যে এক সে এক জনপ্রিয় মডেলগুলি হল - 890, 1090 ও 1290। যদিও কেটিএম এদেশে 790 Duke লঞ্চ করেছিল। কিন্তু 890 লঞ্চের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই সংস্থার। বাজারে এর প্রতিপক্ষ বাইকগুলি হল Honda Africa Twin, BMW GS 1250, Triumph Tiger 1200। যদি 890 মোটরসাইকেলটি ভারতে লঞ্চ করে কেটিএম সেক্ষেত্রে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Honda CRF 300 Rally
নিত্যদিনের উপযোগী অথচ অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল হিসেবে Honda CRF 300 Rally-র জগৎজোড়া সুনাম রয়েছে। Darker Rally-র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর ডিজাইন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত একটি বৃহৎ ফেয়ারিং। ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড। যা থেকে ২৮ বিএইচপি শক্তি এবং ২৬ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড গিয়ার বক্স। ছোট ইঞ্জিন সহ একটি ডুয়েল স্পোর্ট মোটরসাইকেল হিসেবে এবং লং-ট্রাভেল সাসপেনশনের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়। ভারতে হাজির হলে মোটরসাইকেলটির দাম কত রাখা হয় এখন সে দিকেই নজর।
Suzuki SV650
একবার যারা Suzuki SV650 চালিয়েছেন, প্রত্যেকের মুখেই প্রশংসার বাণী শোনা গিয়েছে। এটি বিশ্বের কয়েকটি নির্দিষ্ট বাজারে বিক্রি হয়। প্রতিদিন চলাচল এবং সপ্তাহান্তে SV650 নিয়ে দূরে যাত্রার জন্য এর জুড়ি মেলা ভার। এটি একটি স্লিম এবং লাইট ওয়েট চ্যাসিসের উপর তৈরি। এতে রয়েছে একটি ৬৪৫ সিসি, ৭২ বিএইচপি উৎপন্নকারী V-Twin ৬-স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত ইঞ্জিন। নির্বিঘ্ন ভাবে রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে বাইকটি গ্রাহকদের কাছে ভরসাযোগ্য হয়ে উঠেছে।