Car Mileage: গাড়ি থেকে বেশি মাইলেজ পাওয়ার 5 অব্যর্থ টিপস

সিংহভাগ ভারতীয় বেশি মাইলেজ প্রদানকারী গাড়ির প্রতি আসক্ত। এদিকে যে সমস্ত গাড়িতে মাইলেজ বেশি, সেগুলি পারফরম্যান্সের দিক থেকে পিছিয়ে। ফলে একসাথে ভালো পারফরম্যান্স ও বেশি…

সিংহভাগ ভারতীয় বেশি মাইলেজ প্রদানকারী গাড়ির প্রতি আসক্ত। এদিকে যে সমস্ত গাড়িতে মাইলেজ বেশি, সেগুলি পারফরম্যান্সের দিক থেকে পিছিয়ে। ফলে একসাথে ভালো পারফরম্যান্স ও বেশি মাইলেজ পাওয়ার ইচ্ছে আর পূরণ হচ্ছিল না ক্রেতাদের একাংশের। সেকথা বিবেচনা করে ইদানিং গাড়ি কোম্পানিগুলি এমন মডেল তৈরি করছে যেগুলি দু’দিক থেকেই ব্যবহারকারীর হৃদয় জিতে নেবে। তা সত্ত্বেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে একসময় গাড়ির মাইলেজ কমতে শুরু করে। পারফরম্যান্স ঠিক রেখেও যাতে ঠিকঠাক মাইলেজ পাওয়া যায়, এই প্রতিবেদনে সেই টিপস দেওয়ার রইল।

বাড়তি ওজন কমান

গাড়ির মাইলেজ বাড়াতে চাইলে বাড়তি ওজন কমান। এর মধ্যে হতে পারে কোন ভারী সরঞ্জাম, অতিরিক্ত পোশাক-আশাক অথবা খেলার জিনিসপত্র। যতটা সম্ভব এগুলি কম নেওয়ার চেষ্টা করুন। গাড়ির ওজন কমলে শক্তির খরচ কম হবে। ফলে জ্বালানির খরচও কমবে।

টায়ার প্রেসার

গাড়ি থেকে ঠিকঠাক মাইলেজ পাওয়ার জন্য টায়ারে হাওয়ার প্রেসার সঠিক রাখা ভীষণ প্রয়োজন। অনেকেই হয়তো জানেন না, টায়ারে যদি হাওয়া কম থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু জ্বালানির খরচ বেড়ে যায়। কারণ কম হাওয়া থাকলে রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে চাকার উপর রোধ বেড়ে যায়। টায়ারে হাওয়া পর্যাপ্ত থাকলে টায়ার সাবলীলভাবে চলতে পারে। সেক্ষেত্রে মাইলেজ ভালো মেলে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর টায়ার প্রেসার মাপানো আবশ্যক।

অপ্রয়োজনে ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন

যখন গাড়ির স্থির অবস্থায় আছে এমন ক্ষেত্রে অনেকেই ইঞ্জিন চালু করে রাখেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রাফিক সিগন্যালে অনেকক্ষণ ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে অনেকেই ইঞ্জিন অফ রাখাতে গা করেন না। এতেও কিন্তু জ্বালানি পোড়ে। যা মাইলেজের প্রভাব ফেলে। যারা নতুন গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন তারা অটো স্টার্টস অফ ফিচার যুক্ত মডেল কিনুন এক্ষেত্রে ট্রাফিক সিগনালে নিজে থেকেই গাড়ির ইঞ্জিন অফ হয়ে যাবে। আবার ভারতের মতো গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে গাড়ির এসি অন রাখতে হলে ইঞ্জিন চালু রাখতে হয়। তাই অপ্রয়োজনে একটি অফ রাখার চেষ্টা করুন।

ক্রুজ কন্ট্রোল

সমসাময়িক গাড়িতে ক্রুজ কন্ট্রোল একটি স্ট্যান্ডার্ড ফিচারের জায়গা করে নিয়েছে। জ্বালানি বাঁচানোর ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত হাইওয়েতে এটি খুবই কার্যকর। নির্দিষ্ট গতিবেগ বজায় রেখে অপ্রয়োজনীয় জ্বালানির খরচ কমায় এই ফিচার। ফলে মাইলেজ বেশি মেলে। তবে যানজটপূর্ণ অথবা পাহাড়ি রাস্তা, ও প্রবল বাতাস দিচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে ক্রুজ কন্ট্রোল ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।