ডিজেলের বদলে খননকার্যে হাইড্রোজেন ট্রাক, এশিয়ায় এমন প্রথম উদ্যোগ আদানি গোষ্ঠীর
ভারতের ধনীতম শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বা এইএল (Adani Enterprise Limited) দেশের অন্যতম বড়...ভারতের ধনীতম শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বা এইএল (Adani Enterprise Limited) দেশের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক গাড়ি নির্মাতা অশোক লেল্যান্ড (Ashok Leyland)-এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধলো। একইসাথে কানাডার ব্যালার্ড পাওয়ার (Ballard Power)-এর সাথেও হাত মিলিয়েছে সংস্থাটি। নিজেদের লজিস্টিক্স এবং ট্রান্সপোর্টেশন সংক্রান্ত কাজের জন্য হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত মাইনিং ইলেকট্রিক ট্রাক তৈরি জোটের মূল লক্ষ্য। এশিয়ার মধ্যে এই উদ্যোগ সর্বপ্রথম।
ওই ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ট্রাক বা এফসিইটি (FCET) খননকার্য, লজিস্টিক্স এবং পরিবহণ ক্ষেত্রে উপযোগিতা খতিয়ে দেখার জন্য পাইলট প্রোজেক্ট চালু করা হবে। চলতি বছরেই এই ট্রাক ভারতের বাজারে পা রাখতে পারে। আদানি গোষ্ঠী গ্রীন হাইড্রোজেন এবং আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্রে আগামী ১০ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪.০৬ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বিকল্প জ্বালানির পরিবেশবান্ধব ট্রাক ব্যবহারের উদ্যোগ সেই পরিকল্পনারই অংশ। উল্লেখ্য, একই ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের লগ্নির ঘোষণা করেছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা।
ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ট্রাকটির ইঞ্জিন ও হাইড্রোজেন সেল সিস্টেম সরবরাহ করবে কানাডার সংস্থাটি। যেখানে অশোক লেল্যান্ড তাদের গাড়ির প্ল্যাটফর্ম এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির খুঁটিনাটি দিয়ে সাহায্য করবে। ৫৫ টনের ওই ট্রাকে থাকবে তিনটি হাইড্রোজেন ট্যাঙ্ক, যা জ্বালানিতে সম্পূর্ণ ভর্তি থাকলে ২০০ কিলোমিটার চলতে পারবে করবে। আর শক্তি জোগাতে দেওয়া হচ্ছে ব্যালার্ডের ১২০ কিলোওয়াট পিইএম ফুয়েল সেল প্রযুক্তি।
আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড আশাবাদী যে পরবর্তী দশক থেকে প্রতি বছর তারা ৩০ লক্ষ টন গ্রীন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) উৎপাদন করতে পারবে। সেই মতো বিনিয়োগ করবে সংস্থাটি। আদানি গোষ্ঠীর ডিরেক্টর বিনয় প্রকাশ সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “হাইড্রোজেন জ্বালানির এই অভিজ্ঞতা বাণিজ্যিক গাড়ির বাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। খনন ও পরিবহণ ক্ষেত্রে এগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে।”