Bajaj Chetak: বাড়ির আরও কাছে পাবেন চেতক ই-স্কুটার, 75টি নতুন জায়গায় পা রাখছে বাজাজ
Bajaj Chetak, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রবাদপ্রতিম ক্লাসিক স্কুটারটি ছিল ভারতবাসীর কাছে আবেগ। তবে আধুনিকতার দৌড়ে...Bajaj Chetak, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রবাদপ্রতিম ক্লাসিক স্কুটারটি ছিল ভারতবাসীর কাছে আবেগ। তবে আধুনিকতার দৌড়ে টিকে থাকতে না পেরে ২০০৬ সালে থেমে যায় ঐতিহ্যবাহী এই স্কুটারের চাকা। সেই ঐতিহ্যকে শান দিতে ২০১৯ এর অক্টোবরে বৈদ্যুতিক অবতারে পুনর্জন্ম হয় বাজাজ চেতকের। রেট্রো লুক বজায় রেখে আধুনিক প্রযুক্তিরর মিশেলে তৈরি এই ই স্কুটার প্রথম দিন থেকেই বিপুল জনপ্রিয়তা কুড়াতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি এর জন্য পৃথকভাবে নতুন কারখানার উদ্বোধন করেছে বাজাজ।
তবে হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকার কারণে বাধ সাধছে। শুরুতে এদেশের শুধুমাত্র দু'টি শহর পুনে এবং বেঙ্গালুরুতে বিক্রি হত এটি। তা সত্ত্বেও অগণিত বুকিং জমা পড়েছে। ফলে ধীরে ধীরে কলকাতা-সহ আরও নতুন শহরে চেতক লঞ্চ করা হয়। বাড়তে থাকা এই বিপুল জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে Bajaj Auto চলতি অর্থবর্ষে দেশের ৭৫টি জায়গায় তাদের ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
সংস্থা জানিয়েছে, আইকনিক চেতকের বৈদ্যুতিক ভার্সনের এত চাহিদা দেখে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষে ২০টি জায়গায় টাচ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ৭৫-এ। আমরা ইলেকট্রিক ভেহিকেলের উন্নতি করার ব্যাপারে প্রতীক্ষাবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে Bajaj Auto-এর মালিকানাধীন Chatak Technology Ltd আগামী দিনে ইভি বিক্রির ব্যাপারে আরো বেশি গবেষণা ও বিকাশ চালাবে।" উল্লেখ্য বিগত অর্থবর্মে এই ই-স্কুটারের ৮,১৮৭ ইউনিট বিক্রি হয়েছে বলে বাজাজ দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, বাজাজ চেতক বৈদ্যুতিক স্কুটারে রয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটারপ্রুফ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। ফুল চার্জ করলে ৯০ কিমি (ইকো মোড) পর্যন্ত ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকে না। সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায় পাঁচ ঘন্টার মধ্যে। ৩.৪ কিলোওয়াটের বিএলডিসি মোটরের সাহায্যে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিমি বেগে ছুটতে পারে চেতক। উভয়দিকে ১২ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল এবং ডিস্ক ব্রেক (শুধু সামনে) দেওয়া হয়েছে। রাইডারের সুরক্ষার্থে রয়েছে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম। ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে স্কুটারের সংযোগ ঘটানো যায়।