Bajaj Chetak: বাইক অতীত, বাজাজের ই-স্কুটার বুক করতে শোরুমে জমছে ভিড়

২০২০ সালে অরিজিনাল চেতকে’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই স্কুটারের ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ করেছিল বাজাজ অটো। কোভিডের জন্য লকডাউন এবং তারপরে ইভি টু-হুইলার স্টার্টআপ সংস্থাগুলির দাপটে প্রথম…

Bajaj Chetak Electric Scooter Receives Over 20000 Bookings In July 2024

২০২০ সালে অরিজিনাল চেতকে’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই স্কুটারের ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ করেছিল বাজাজ অটো। কোভিডের জন্য লকডাউন এবং তারপরে ইভি টু-হুইলার স্টার্টআপ সংস্থাগুলির দাপটে প্রথম তিন বছর সেভাবে বাজারে দাগ কাটতে পারেনি চেতক। তবে বিগত ক’মাসে সেই চিত্র বদলে গিয়েছে। ওলা এস১, টিভিএস আইকিউবের পর এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক বিক্রিত বৈদ্যুতিক স্কুটার। এমনকি গত মাসে এটির বুকিং ২০,০০০ টপকে গিয়েছে।

বাজাজ চেতকের সবচেয়ে সস্তা ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ হওয়াকেই এত চাহিদার পিছনে প্রথম কারণ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ৯৫,৯৯৮ টাকায় (এক্স-শোরুম) চেতক ২৯০১ বিক্রি হওয়ার ফলে ওলা ও এথারের সঙ্গে দামের ব্যবধান কমিয়ে আনা গিয়েছে। ১ লাখের মধ্যে যাদের বাজেট তারা ব্র্যান্ড ভ্যালু ও কথা মাথায় রেখে বাজাজের মতো নামী সংস্থার গাড়িই বেছে নিচ্ছে। এটির ২.৮৮ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি থেকে ১২৩ কিলোমিটার রেঞ্জ পাওয়া যাবে বলে দাবি সংস্থার।

বাজাজ চেতক ২৯০১ এলসিডি ডিসপ্লে ও ইকোনমি রাইডিং মোড অফার করে। উপরন্তু ৩,০০০ টাকা অতিরিক্ত দিলে টেকপ্যাক প্যাকেজে প্রচুর ফিচার্স আনলক করা যাবে। যেমন স্পোর্টস মোড, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, মিউজিক কন্ট্রোল, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, প্রভৃতি। আগে চেতক সব ডিলারশিপে পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন এটি দেশজুড়ে দুই হাজারের বেশি শোরুমে উপলব্ধ। ছোট শহরেও আউটলেট খুলেছে বাজাজ৷ ফলে ক্রেতাদের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, খুব সম্প্রতি ভারতে বাজাজ চেতক ৩২০১ স্পেশাল এডিশন লঞ্চ হয়েছে। এই নতুন মডেলটি চেতকের টপ-স্পেক প্রিমিয়াম ভ্যারিয়েন্টের উপর তৈরি। স্ট্যান্ডার্ড প্রিমিয়াম ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় স্পেশাল এডিশনে কসমেটিক আপগ্রেড রয়েছে। মিলবে ব্রুকলিন ব্ল্যাক কালার স্কিমে অর্থাৎ পুরো কালো রঙে। এটি ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দেবে বলে দাবি করছে বাজাজ। ইলেকট্রিক স্কুটারটির স্পিড প্রতি ঘন্টায় ৭৩ কিলোমিটার।