ফুড/ই-কমার্স/কমার্শিয়াল পণ্য সরবরাহের জন্য ডেলিভারি এজেন্টরা মূলত ব্যক্তিগত টু-হুইলারের ওপর নির্ভর করে থাকেন। তাই সমস্ত ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্টদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এবার Bajaj নতুন কমিউটার টু-হুইলার নিয়ে হাজির হচ্ছে। Bajaj CT 110X নামের এই মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে বাজাজের শোরুমে আসতে শুরু করেছে এবং এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানি তরফে অফিসিয়াল ভাবে CT 110X লঞ্চের ঘোষণা করা হতে পারে।
Bajaj CT 110X এর অন্যতম ইউএসপি হল লম্বা সিট। যেহেতু ডেলিভারি বক্স/ক্যারিয়ার/ব্যাগ প্রচন্ড ভারি হতে পারে, তাই সেটি স্বাচ্ছন্দ্যে বহন করা অনেক ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। সিট লম্বা হওয়ার কারণে এটি সহজেই পেছনে রেখে সওয়ারি করা যাবে। আবার সিটের শেষে কিছুটা উর্দ্ধমুখী ক্যারিয়ার রাখা হয়েছে। এর ওপরেও ৫-৬ কেজি ওজনের মালপত্র নিশ্চিন্তে রাখা যাবে। ডিজাইনের প্রসঙ্গে আসলে বলা যায়, Bajaj CT 110X অনেকটা Bajaj Boxer মোটরবাইককে স্মরণ করাবে। Bajaj CT 110 X এর দাম হতে পারে ৫৫-৬০ হাজার টাকার মধ্যে।
বাজাজ সিটি ১১০ এক্স মোটরবাইকের সামনে গ্রিল সহ রাউন্ড এলইডি হ্যালোজেন হেডলাইট রাখা হয়েছে। হেডলাইটের একটু ওপরে দেখা যাবে ডিআরএল। বাইকটি ব্লু এন্ড সিলভার/গ্রে গ্রাফিক্স ও রেডক্রিসেন্ট এন্ড সিলভার/গ্রে গ্রাফিক্স অপশনে পাওয়া যাবে। ফেন্ডারে ম্যাট ব্ল্যাক ফিনিশিং ও টেলিস্কোপিক ফোর্কসে কভার দেওয়া হয়েছে। বাইকটি চলবে ১৭ ইঞ্চি ৫ স্পোক অ্যালোয় হুইলে। উল্লেখ্য, এই প্রথম বাজাজ সিটি ১১০ এর কোনো ভ্যারিয়েন্টে MRF টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে।
ইঞ্জিন পুরো ব্ল্যাকড আউট করা৷ আবার ইঞ্জিন গার্ড ও ক্র্যাশ গার্ডে ম্যাট গ্রে ম্যাট ফিনিশ লক্ষ্য করা যাবে। বাজাজ বাইকটির এগজস্ট পাইপের ওপর সিলভার হিট শিল্ড রেখেছে। সিটি ১১০এক্স এর ফিউয়েল ট্যাংকের ক্যাপাসিটি ১১ লিটার। কালার ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী ফিউয়েল ট্যাংকের ওপর ব্ল্যাক ট্যাঙ্কপ্যাড সহ ও সিগনেচার ব্লু এন্ড সিলভার/গ্রে গ্রাফিক্স বা রেড এন্ড সিলভার/গ্রে গ্রাফিক্স দেখা যাবে।
Bajaj CT 110X এর টুইন পডের সাধারণ ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার স্পিড, কিলোমিটার, এবং ফুয়েল গেজ ডিসপ্লে করবে EFI (Electronic Fuel Injection) সিস্টেমযুক্ত বাইকের ১১৫ সিসি-র এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন ৯.৪১ পিএস পাওয়ার ও ৮.৪৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। প্রতি লিটারে বাইকটি ৯০ কিমি মাইলেজ দেবে বলে ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন