14 বছরের এক গৌরবপূর্ণ অধ্যায়ের অন্ত, Bajaj Pulsar 220F বাইকপ্রেমীদের চিরতরে বিদায় জানাল
২০০৭ সাল, আকারে বাড়ছে ভারতের দু'চাকা বাজার। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্থা নিয়ে আসছে রকমারি টু-হুইলারের...২০০৭ সাল, আকারে বাড়ছে ভারতের দু'চাকা বাজার। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্থা নিয়ে আসছে রকমারি টু-হুইলারের সম্ভার। তার মধ্যে সাধারণ চেহারার কমিউটার মোটরসাইকেলের আধিক্যই বেশি। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন এমন এক বাইকের, যার ডিজাইন নজর কাড়বে সবার, দৌড়বে সোঁ সোঁ শব্দে। আবার দামও থাকবে নাগালের মধ্যে৷ পারফরম্যান্স ও স্টাইলের সাথে আপোস না করে ব্যবহারকারীদের সামর্থের মধ্যেই যাতে স্পোর্টি মোটরসাইকেল আনা যায়, সেই ভাবনা থেকেই তখন জন্ম নিয়েছিল Bajaj-এর Pulsar 220F।
Pulsar 220F-র আত্মপ্রকাশকে আখ্যা দেওয়া যায় ব্লকবাস্টার হিসেবেই। সাশ্রয়ী দামে রাইডারদের পুরোদস্তুর স্পোর্টস বাইকের থ্রিল দেওয়ার জন্য এবং সেমি-ফেয়ারিং, অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইন, এবং দুর্দান্ত ইঞ্জিনের সৌজন্যে মুখে মুখে ঘুরতে থাকে এই স্পোর্টি মোটরসাইকেলের নাম। অফিস যাতায়াত, টুকটাক বাজার দোকান, অথবা সপ্তাহান্তে ফুরফুরে মেজাজে লম্বা রাইড, যত সময় গিয়েছে Bajaj Pulsar 220F বাইকপ্রেমীদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। Pulsar 220F-এর স্তুতিবাক্য শুনে কেনার কথা ভাবছেন? এখনই শো-রুমে যান। না হলে বড্ড দেরি করে ফেলবেন।
আসলে যেমন নতুনের আগমনে পুরনোর বিদায় অবশ্যম্ভাবী, তেমনই Pulsar 250 twins (N250 ও F250) সম্প্রতি লঞ্চ হওয়ার কারণে অবসর গ্রহণ করল Pulsar 220F। কারখানা থেকে চিরকালের জন্য বিদায় জানিয়ে ডিলারশিপে বাইকটির শেষ ব্যাচ ডেলিভারি করা হয়েছে। স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি চলবে।
এরকম আশঙ্কা অনেকে আগেই করেছিলেন। তবে এত তাড়াতাড়ি সেটা ভাবনার বাইরে ছিল। Bajaj Pulsar 220F আধুনিক প্রযুক্তির কাছে হার মানলেও, মোটরসাইকেলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এর নাম। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে Pulsar 220F-এর এক্স-শোরুম দাম ১.৩৪ লক্ষ টাকা। বাইকটি সিঙ্গেল ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ।