শোরুম আলো করে দাঁড়িয়ে নতুন Bajaj Pulsar N150, এই স্টাইলিশ বাইকের 5 তথ্য জেনে যান
ভারতের টু-হুইলার মার্কেটে Pulsar একটি কিংবদন্তি নাম। Bajaj-এর পালসার সিরিজ বিগত কয়েক দশক ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জিতে...ভারতের টু-হুইলার মার্কেটে Pulsar একটি কিংবদন্তি নাম। Bajaj-এর পালসার সিরিজ বিগত কয়েক দশক ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জিতে এসেছে। ভবিষ্যতেও অনুরাগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে নিত্যনতুন মডেলের পালসার লঞ্চ করে চলেছে সংস্থাটি। যেমন ক'দিন আগেই Pulsar N150 বাজারে এসেছে। যা Pulsar P150-র স্পোর্টি ভার্সন হলেও ডিজাইনের নিরিখে N160-কে নকল করেছে। চলুন ১৫০ সিসির নয়া পালসারের এমনই পাঁচ আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিই।
ডিজাইন
ডিজাইনের দিক থেকে নতুন Pulsar N150 বড় ভাই N160-এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। দর্শনের শোভা বাড়াতে এতে দেওয়া হয়েছে উভয় দিকে দুটি এলইডি ডিআরএল ও সেন্ট্রাল এলইডি প্রোজেক্টের সহ একটি অত্যাধুনিক হেডলাইট ডিজাইন। এর মাসকুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং এক্সটেনশন N160-এর থেকে নেওয়া। সিঙ্গেল পিস সিট সমেত এসেছে বাইকটি।
হার্ডওয়্যার
N150-তে উপস্থিত ৩১ মিমি ফ্রন্ট টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং টুইন রিয়ার শক সাসপেনশন সিস্টেম। ব্রেকিং এর দায়িত্ব পালন করতে সামনে ২৬০ মিমি ডিস্ক এবং পেছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। এমআরএফ টায়ার সহ ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হইলে ছুটবে বাইকটি। সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ৯০/৯০ সেকশন ও ১২০/৭০ সেকশন টায়ার আছে।
ইঞ্জিন
নতুন পালসার এন১৫০-তে দেওয়া হয়েছে ১৪৯.৬৮ সিসি ইঞ্জিন, যা থেকে সর্বোচ্চ ১৪.৫ পিএস শক্তি এবং ১৩.৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। মোটরের গতির সাথে তাল মেলাতে রয়েছে ৫-স্পিড ট্রান্সমিশন। সংস্থার দাবি ৩,৫০০-৮,৫০০ আরপিএমে ৯০% টর্ক মিলবে। বাজাজের বিশ্বাস তাদের এই বাইক থেকে এক লিটার পেট্রোলে ৪০-৫০ কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে। জানিয়ে রাখি, এই একই ইঞ্জিন Pulsar P150-তেও উপস্থিত।
ফিচার্স
Pulsar N150-তে ফিচার হিসেবে দেয়া হয়েছে একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। যাতে আছে অ্যানালগ ট্যাকোমিটার এবং ডিজিটাল সেকশন ডিসপ্লে। এখানে স্পিডোমিটার, ট্রিপমিটার এবং ওডোমিটার-এর তথ্য ভেসে উঠবে। সুরক্ষা জনিত বৈশিষ্ট্য হিসেবে এতে উপস্থিত সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এবং সাইড-স্ট্যান্ড কাট-অফ সেন্সর।
দাম ও প্রতিপক্ষ
নতুন Pulsar N150-এর দাম ১,১৭,১৩৪ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। তিনটি আকর্ষণীয় কালারে উপলব্ধ এটি – রেসিং রেড, ইবনি ব্ল্যাক এবং মেটালিক পার্ল হোয়াইট। এর প্রতিপক্ষ হিসাবে বাজারে রয়েছে – TVS Apache RTR 160 4V, Suzuki Gixxer ও Hero Xtreme 160R।