বাইকের চাহিদা কমছে, তাই এবার ইলেকট্রিক স্কুটারের আলাদা শোরুম খুলতে চলেছে Bajaj
ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এদের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তটস্থ স্টার্টআপ থেকে মেইনস্ট্রিম সকল...ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এদের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তটস্থ স্টার্টআপ থেকে মেইনস্ট্রিম সকল সংস্থা। এই যেমন বাজাজ (Bajaj) তাদের একমাত্র বৈদ্যুতিক স্কুটার Bajaj Chetak-এর চাহিদা বাড়তে দেখে সম্প্রতি আলাদা সাব ব্র্যান্ড গঠনের কথা ঘোষণা করেছে। নয়া সংস্থার নামকরণ করা হয়েছে – চেতক টেকনোলজি লিমিটেড বা সিটিএল (CTL)। বাজাজের এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণের নেপথ্যে রয়েছে চেতক ইভি-কে সম্পূর্ণ আলাদা ও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়ার অভিপ্রায়।
ওই সহযোগী সংস্থার আওতায় কেবলমাত্র Chetak বিক্রি করবে Bajaj। আগামী বছর থেকে শুধু ই-স্কুটারের জন্য আলাদা আউটলেট খুলবে তারা। এক্সক্লুসিভ শোরুমগুলিতে স্কুটারটি ডিসপ্লে করা থাকবে। এখান থেকে টেস্ট রাইড, বুকিং এমনকি চেতকের ডেলিভারি পাওয়া যাবে। ২০২৩-এর মার্চ অথবা এপ্রিল থেকে এক্সক্লুসিভ রিটেল স্টোরের সম্প্রসারণ ঘটানোর কাজ শুরু করবে বাজাজ। আবার ডিলারশিপগুলি চেতকের জন্য আলাদা সার্ভিস সেন্টার চালু করবে। যেখান থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের পরিষেবা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের বেশ কিছু জায়গায় চেতকের পৃথক এক্সক্লুসিভ শোরুম রয়েছে। যেগুলি পুণে এবং থানেতে অবস্থিত। তবে মুম্বাইয়ের মতো কয়েকটি শহরে চেতক স্কুটারটি কেটিএম (KTM)-এর শোরুম থেকে বিক্রি করা হয়। ফলে বাজাজ এবং কেটিএম – উভয় সংস্থাকেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই হয়রানি দূর করতেই বাজাজের এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ভারতে Bajaj Chetak কেবলমাত্র একটি ভ্যারিয়েন্টেই উপলব্ধ। যার মূল্য ১,৫১,৯৫৮ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি সিঙ্গেল ভ্যারিয়েন্টটি সম্পূর্ণ চার্জে ৯০ কিলোমিটার পথ দৌড়য়। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টায়। ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় নেয়।