আগামী মাসে Bajaj-Triumph এর প্রথম বাইক লঞ্চ, চাপে পড়বে Royal Enfield, Honda-রা
প্রায় এক বছর ধরে Bajaj ও Triumph যৌথ ভাবে তাদের প্রথম বাইক লঞ্চ করার জন্য কাজ করে চলেছে। এটি একটি স্ক্র্যাম্বলার মডেল...প্রায় এক বছর ধরে Bajaj ও Triumph যৌথ ভাবে তাদের প্রথম বাইক লঞ্চ করার জন্য কাজ করে চলেছে। এটি একটি স্ক্র্যাম্বলার মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। অর্থাৎ ডিজাইনে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া থাকলেও অত্যাধুনিক সমস্ত বৈশিষ্ট্যের কমতি থাকবে না তে। আগামী ২৭ শে জুন আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হবে এটি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল বাইকটি ভারতের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ৪০০ সিসির সেগমেন্টে আসতে চলেছে। ফলে ভারতের সেরা ও জনপ্রিয় বেশ কিছু মডেলের সঙ্গে সমানে টক্কর নিতে হবে বাজাজ-ট্রায়াম্ফএই নতুন বাইকটিকে।
কী কী বৈশিষ্ট্য থাকবে এতে
আগামী মাসেই লঞ্চ হতে চলা বাজাজ ট্রায়াম্ফ স্ক্র্যাম্বলার ৪০০ বাইকটির স্টাইল স্টেটমেন্ট অনেকটাই Triumph Street Twin বাইকটির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা হয়েছে। মাসকুলার ফুয়েল ট্যাংক, সিঙ্গেল পিস সিট, এলইডি লাইট সেটআপ, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যালয় হুইল দেওয়া হয়েছে এতে। রাইডারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দুটি চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক সহ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ রয়েছে। বাইকটিকে চলার শক্তি যোগাবে ৩০০-৪০০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাজাজ-ট্রায়াম্ফ এর নতুন বাইকটির প্রধান কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী -
Royal Enfield Scram 411: (দাম শুরু ২.০৩ লাখ টাকা থেকে)
রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১-তে পিছনের দিকে ঢালু করা ফুয়েল ট্যাংক, ঢেউ খেলানো সিট, উঁচু করা এগজস্ট পাইপ, গোলাকার হ্যালোজেন হেডলাইট, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল এবং এলইডি লাইটের ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক সহ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস বিদ্যমান। অন্যদিকে সাসপেনশনের জন্য সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার লাগানো রয়েছে। রয়্যাল এনফিল্ড এই বাইকটির প্রাণ ভোমরা হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন ২৪ এইচপি শক্তি এবং ৩২ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ৪১১ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন।
Yezdi Scrambler: (দাম শুরু ২.১০ লাখ টাকা থেকে)
৩৩৪ সিসির লিকুইড কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন এই ইয়েজদি স্ক্র্যাম্বলার বাইকটিকে এগিয়ে চলার সমস্ত শক্তি প্রদান করে। ইঞ্জিনটি থেকে জেনারেট হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ২৮.৭ এইচপি এবং ২৮.২ এনএম। বাইকটির ডিজাইন এবং হার্ডওয়ার সেটআপ এর দিকে নজর দিলে দেখা যাবে টিয়ার ড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাংক, উচু করা ফেন্ডার, এক পাশে থাকা এগজস্ট পাইপ, গোল এলইডি হেডল্যাম্প, সরু এলইডি টেলল্যাম্প এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা সিট। রেট্রো স্টাইলের এই মডেলটির সামনে ও পিছনে উভয় চাকাতেই এবিএস এবং ডিস্ক ব্রেক উপলব্ধ রয়েছে। সামনের দিকে কভার সহ টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার লাগানো রয়েছে।
Honda CB350RS: (দাম শুরু ২.১৫ লাখ টাকা থেকে)
হোন্ডা সিবি ৩৫০ আরএস বাইকটির অলিন্দে ৩৪৮.৬ সিসির এয়ার কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ২০.৮ এইচপি শক্তি এবং ৩০ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। তাছাড়াও নজরকাড়া ডিজাইনের ফুয়েল ট্যাংক, বৃত্তাকার এলইডি হেডলাইট, একটানা লম্বা সিট, এলইডি টেল লাইট, একপাশের এগজস্ট পাইপ এবং সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দেওয়া রয়েছে এতে। ডুয়েল ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC) প্রযুক্তি উপলব্ধ রয়েছে এই বাইকে। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে ফর্ক কভার সহ টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে ডুয়েল সক অ্যাবজর্ভার বিদ্যমান।
Bajaj Dominar 400: (দাম শুরু ২.২৫ লাখ টাকা থেকে)
বাজাজ ডমিনার ৪০০ মডেলটির মধ্যে মাস্কুলার পেট্রল ট্যাংক, চওড়া হ্যান্ডেলবার, স্প্লিট সিট সেটআপ, এলইডি হেড লাইট, ডুয়েল ব্যারেল এগজস্ট সিস্টেম, কৌণিক আকৃতির রিয়ারভিউ মিরর, পিলিয়ন গ্র্যাবরেল এবং এলইডি টেললাইট নজরে আসে। এই বাইকটির মধ্যে চালিকাশক্তি জোগায় বাজাজের বিশ্বস্ত ৩৭৩.৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত DOHC, DTS-i ইঞ্জিন। লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনটি থেকে ৩৯.৪ এইচপি শক্তি এবং ৩৫ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে এবিএস উপলব্ধ। তবে এর সামনের চাকায় ইনভার্টেড ফর্ক এবং পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার দেখতে পাওয়া যায়।