ভারতের দু’চাকার বাজারের মতো এত বৈচিত্র্য বিশ্বের হয়তো আর কোথাও লক্ষ্য করা যাবে না। স্কুটার কিনবেন ভাবছেন? শুধুমাত্র দরকারটা জানান। পেট্রোল, বৈদ্যুতিক, মিনি-হাইব্রিড, কমিউটার, স্পোর্টি-অ্যাগ্রেসিভ, ম্যাক্সি স্টাইল – সব ধরনের স্কুটার পেয়ে যাবেন এখানে। চালাতে সুবিধা বলে প্রায় মোটরসাইকেলের সমান জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে স্কুটার। আজকের প্রতিবেদনে এই মুহূর্তে ভারতের সেরা পাঁচটি স্কুটারের হদিশ দেবো আমরা।
TVS Jupiter 125
স্কুটারের বাজারে জনপ্রিয়তার নিরিখে টপ সেলিং Honda Activa সিরিজের পরেই TVS Jupiter-এর স্থান। এতদিন এটি ১১০ সিসি ভার্সনে পাওয়া যেত। তবে গত মাসে Jupiter এর নতুন সংস্করণ বাজারে আনা হয়। ব্যবহার হয় ১২৫ সিসি-র ইঞ্জিন। প্র্যাকটিকাল ডিজাইন এবং নো-ননসেন্স পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে TVS Jupiter 125।
স্কুটারটির বুট স্টোরেজ ৩৩ লিটারের, যা এই সেগমেন্টে আগে দেখা যায়নি। ফ্লোরবোর্ড ইন্টিগ্রেটেড ফুয়েল ট্যাঙ্ক, তেল সাশ্রয়ী ইঞ্জিন, এবং প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার TVS Jupiter 125-এর মেইন হাইলাইটগুলির মধ্যে অন্যতম। যদি সত্তর হাজারের কাছাকাছি বাজেট থাকে TVS Jupiter 125-এর কথা ভেবে দেখতে পারেন। স্কুটারটির দাম শুরু ৭৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে।
Yamaha Aerox 155
Yamaha-র দৌলতে ভারতের বাইকপ্রেমীরা প্রথম ট্রু ম্যাক্সি-স্টাইলের স্কুটারের স্বাদ পেয়েছেন। Aerox 155 (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবাইকে চমকে দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে ম্যাক্সি-স্কুটারটি এখানে নিয়ে আসে ইয়ামাহা। সুপারডুপার লুকস, স্ট্রিট মোটরসাইকেলের মতো পাওয়ার, এবং লোডেড-ফিচারের সংমিশ্রণে আক্ষরিক অর্থেই Yamaha Aerox 155 যেন কমপ্লিট প্যাকেজ। সবচেয় বড় কথা R15-এর ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে এতে। তবে পাওয়ার আউটপুট কমিয়ে।
তা সত্বেও স্কুটারটি ১৫৫ সিসি-র লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন থেকে বার হয় ১৫ পিএস পাওয়ার এবং ১৪ এনএম টর্ক। যে কারণে BMW C 400 GT-এর পর Yamaha Aerox 155 দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কুটার। যদি নজর কাড়তে ভিন্ন স্টাইলের সুপারিওর স্কুটার নিতে চান, Aerox 155 আপনার জন্য উপযুক্ত৷ এর দাম ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা।
TVS Ntorq 124 Race XP
বহুদিন ধরেই ১২৫ সিসি-র শ্রেষ্ঠ স্কুটারগুলির তালিকায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছে TVS Ntroq। কারিগরি ও প্রযুক্তির এক অনন্য নিদর্শন এই স্কুটার। গত জুলাইয়ে বাজারে এসেছিল TVS Ntroq-এর Race XP এডিশন। রাইডিং মোড, ভয়েস কমান্ড-সহ নানা অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে এই স্কুটারে।
উল্লেখ্য, TVS Ntorq ভারতের প্রথম স্কুটার যা সরাসরি ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করার সুবিধা দিয়েছিল। এর ফলে স্কুটারটির স্পিডোমিটার ক্লাস্টারেই দেখা যায় কে ফোন করছে আপনাকে, ফোনে চার্জই বা রয়েছে কত। এই প্রযুক্তিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে Race XP এডিশনে ভয়েস কমান্ড ফিচার যোগ করা হয়েছে। স্কুটারটির দাম পড়বে ৮৩ হাজার ২৭৫ টাকা (এক্স-শোরুম)।
Ola Electric S1
পেট্রোলের পিছনে আর টাকা খরচ করতে না চাইলে বিকল্প হিসেবে Ola S1 ইলেকট্রিক স্কুটারের কথা ভেবে দেখতে পারেন। একবার চার্জ দিলে Ola S1 ১২১ কিমি চালানো যাবে। ৩.৬ সেকেন্ডে ০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ ওঠে. সর্বোচ্চ গতিসীমা ৯০ কিলোমিটার/ঘন্টা।
Ola-র ইলেকট্রিক স্কুটারে যে প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে তা সত্যিই চমকানোর মতো। এতে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি-সহ ৭ ইঞ্চি শাটার-প্রুভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ক্রুজ কন্ট্রোল, ভয়েস কমান্ড, রাইডিং মোডস, ইনবিল্ট সাউন্ড সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক ফিচার দেওয়া হয়েছে।
Yamaha Fascino 125 Hybrid
গত জুলাইয়ে Fascino 125-এর Hybrid এডিশন লঞ্চ হয়েছিল। একটি ছোট ইলেকট্রিক স্মার্ট মোটর জেনারেটর (এসএমজি) সিস্টেম থাকার কারণে একে ভারতের প্রথম মাইল্ড-হাইব্রিড স্কুটার বললেও ভুল হবে না। হালকা ওজন, আকর্ষণীয় ফিচার, এবং ভাল পারফরম্যান্সের কারণে উইশলিস্টে Fascino 125 Hybrid-কে রাখতেই পারেন। এর দাম শুরু ৭২ হাজর থাকা থেকে।