Bharat NCAP: ভারত এনক্যাপের রেজাল্ট শীঘ্রই প্রকাশ, প্রথম 5 স্টার পাবে টাটার গাড়ি?

ভারতে তৈরি হওয়া প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলের সুরক্ষার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে এ বছরই লঞ্চ হয়েছে ভারত এনক্যাপ (Bharat NCAP)। রেটিং দেওয়ার জন্য এই মাসের শুরুতেই কিছু গাড়ির…

ভারতে তৈরি হওয়া প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলের সুরক্ষার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে এ বছরই লঞ্চ হয়েছে ভারত এনক্যাপ (Bharat NCAP)। রেটিং দেওয়ার জন্য এই মাসের শুরুতেই কিছু গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থার মূল্যায়নে প্রথম ক্র্যাশ টেস্ট করেছিল তারা। প্রথম পর্যায়ের সেই টেস্টের রেজাল্ট খুব শীঘ্রই প্রকাশ করবে বলে ঘোষণা করেছে এজেন্সিটি। ফলাফল এ সপ্তাহের শেষের দিকে প্রকাশ করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Bharat NCAP সেফটি রেটিং শীঘ্রই প্রকাশ করবে

Global NCAP-কে অনুসরণকারী ভারত এনক্যাপ প্রথম পর্যায়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট নিয়েছে। ভারতের নিজস্ব নিউ ভেহিকেল অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় এ বছর আগস্টে চালু হয়েছিল এটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের পর পঞ্চম দেশ হিসেবে গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়েছে ভারতে। এর আগে দেশে বিক্রিত গাড়িগুলিকে গ্লোবাল এনক্যাপ-এর মুখ চেয়ে থাকতে হতো। তাদের প্রদত্ত ফলাফল থেকেই জানা যেত কোন গাড়ি কত বেশি অভিঘাত সহনে সক্ষম।

ভারত এনক্যাপে প্রথম সংস্থা হিসেবে টাটা তাদের একগুচ্ছ গাড়ি ক্র্যাশ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছে বলে খবর। রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছে, বিএনক্যাপ-এর ক্র্যাশ টেস্টে অংশগ্রহণ করা প্রথম এসইউভি হচ্ছে Tata Harrier। এ বছর সেপ্টেম্বরেই যার ফেসলিফ্ট ভার্সন লঞ্চ হয়েছে। এর সাথেই এসেছে নতুন Safari SUV। দুটি মডেলই গ্লোবাল এনক্যাপ থেকে ফাইভ স্টার সেফটি রেটিং পেয়েছে।

বিএনক্যাপ থেকে ক্র্যাশ টেস্ট করানোর জন্য আরও অন্যান্য কোম্পানি নিজেদের একাধিক মডেল নিয়ে অপেক্ষারত। যার মধ্যে রয়েছে Maruti Suzuki, Tata Motors ও Mahindra। আবার Kia তাদের নতুন Seltos ও Sonet-এর সুরক্ষা খতিয়ে দেখার পরীক্ষায় করানোর জন্য অপেক্ষমান। এই দুটিই ফ্ল্যাগশিপ এসইউভি। আবার লাইনে আছে Hyundai। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটি নিজেদের তিনটি গাড়ি পরীক্ষা করাতে চায়। যার মধ্যে রয়েছে নতুন Exter SUV এবং আসন্ন Creta SUV। সবশেষে রয়েছে Hyundai Verna।

ভারত এনক্যাপ গাড়ির ফ্রন্ট ইম্প্যাক্ট, সাইড পোল ইম্প্যাক্ট, সাইড ব্যারিয়ার ইম্প্যাক্ট, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, পেডেস্ট্রিয়ান সেফটি কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখবে। আবার পরবর্তীতে রিয়ার ক্র্যাশ প্রোটেকশন এবং অটোনোমাস এমার্জেন্সি ব্রেকিংয়ের টেস্টিং চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিশু যাত্রীদের জন্য ২৭ পয়েন্টে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪১ পয়েন্টে পরীক্ষা হবে।