বাংলাকে টেক্কা দিয়ে বিহারে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি চালু হল, 1.25 লক্ষ টাকা ভর্তুকি, করে 75% ছাড়

রাজনৈতিক কিংবা মতাদর্শগতভাবে আলাদা হলেও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে এককাট্টা গোটা বিশ্ব। দেশ-বিদেশের সমস্ত রাষ্ট্র নেতারা জোট বেঁধে নেমেছে পরিবেশ দূষণরূপী দানবকে পরাস্ত…

রাজনৈতিক কিংবা মতাদর্শগতভাবে আলাদা হলেও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে এককাট্টা গোটা বিশ্ব। দেশ-বিদেশের সমস্ত রাষ্ট্র নেতারা জোট বেঁধে নেমেছে পরিবেশ দূষণরূপী দানবকে পরাস্ত করতে। এই কাজে তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ব্যাটারি চালিত যানবাহন। পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যানবাহনের বিকল্প হিসাবে ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) কেনার জন্য সাধারণ গ্রাহকদের প্রলুদ্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ইভির দাম বেশি হওয়ার কারণে এখনও মুখ ফিরিয়ে ক্রেতারা। তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি এনে ইনসেন্টিভ বা আর্থিক সাহায্য চালু করেছে বিভিন্ন রাজ্য। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল প্রতিবেশী রাজ্য বিহার। নীতিশ কুমারের রাজ্যে এই প্রথম চালু হল কোনও ইলেকট্রিক ভেইকেল পলিসি।

গোটা বিহার জুড়ে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিতীশ কুমার প্রশাসন বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি ঘোষণা করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিহারে বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির মধ্যে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ইভি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই চালু হয়েছে বিহার ইভি পলিসি। চলুন এই পলিসির সুযোগ-সুবিধাগুলি জেনে নেওয়া যাক।

বিহার বাসীদের বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন রকম ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে পলিসির মাধ্যমে। ঠিক হয়েছে ইভি কেনার ক্ষেত্রে ৭৫% পর্যন্ত মোটর ভেহিকেল ট্যাক্স মুকুব করবে নীতিশ কুমারের সরকার। পাশাপাশি প্রথম ১০০০ বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য থাকছে সর্বোচ্চ ১.২৫ লাখ টাকার সাবসিডি। একই রকম ভাবে প্রথম ১০,০০০ টি ইলেকট্রিক টু-হুইলার কেনার ক্ষেত্রে উপর ১০,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য ও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মোটর ভেহিকেলস ট্যাক্সে ছাড় দেওয়া হবে বলেই স্থির হয়েছে নতুন নীতিতে।

বিহারে চালু হওয়া এই নতুন ইভি পলিসি অনেকাংশেই দিল্লি, হরিয়ানা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির মতোই করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই বিহার ইভি পলিসি প্রণয়ন করেছে সে রাজ্যের সরকার। এই প্রসঙ্গে বিহার সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচেতক এস সিদ্ধার্থ বলেছেন, “এই স্কিমের প্রধান লক্ষ্যই হল ইলেকট্রিক এবং হাইব্রিড প্রযুক্তির যানবাহন কেনার জন্য সাধারণ জনগণকে আকৃষ্ট করতে বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও চার্জিং পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে এতে। এই নীতি প্রণয়ন করার ফলে আগামী দিনে পরিবেশ দূষণ এবং জ্বালানির দুশ্চিন্তা দূর হবে।”

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন