ঘরে ঘরে EV পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাল্টি ব্র্যান্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল শোরুম খুলল BLive
ভারতের মাল্টি ব্র্যান্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টোর বিলাইভ (Blive) মহারাষ্ট্রের জলগাঁওতে তাদের নতুন শোরুম লঞ্চের ঘোষণা করল।...ভারতের মাল্টি ব্র্যান্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টোর বিলাইভ (Blive) মহারাষ্ট্রের জলগাঁওতে তাদের নতুন শোরুম লঞ্চের ঘোষণা করল। যার নামকরণ করা হয়েছে – ইকো পয়েন্ট (Eco Point)। নতুন ইভি স্টোর উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন স্টোরের মালিকবর্গ, অতিথি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এখান থেকে একই ছাদের তলায় একাধিক ব্যান্ডের বিভিন্ন টু-হুইলার বিক্রি করা হবে। প্রতিটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক যানবাহন পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য স্থির করেছিল সংস্থা, নতুন স্টোরের উদ্বোধন তারই অংশ।
এই এক্সক্লুসিভ আউটলেট থেকে ক্রেতারা ইলেকট্রিক ভেহিকেল সম্পর্কিত হরেক পরিষেবা পাবেন। যেমন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন ই-স্কুটার বা বাইকের মডেল কেনা, রোডসাইড অ্যাসিস্টেন্স, বর্ধিত ওয়ারেন্টি, ইভি বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয় মতামত, সহজ ফিনান্সিং বিকল্প, বিক্রির পরবর্তী পরিষেবা সহ নানাবিধ সুবিধা মিলবে একই ছাদের তলায়। আবার ক্রেতাদের পরিবেশবান্ধব যানবাহনের প্রতি আকৃষ্ট করতে পেট্রল চালিত টু-হুইলার বদলে ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইক কেনার সুবিধা দেয় এই মাল্টি ব্র্যান্ড ইভি স্টোর।
নতুন স্টোর উদ্বোধনের প্রসঙ্গে বিলাইভ-এর সিইও এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা সামর্থ্য খোলকার বলেন, “জলগাঁওতে নতুন স্টোর লঞ্চ করতে পেরে আমরা সত্যিই উৎফুল্ল। আমরা ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ক্রেতাদের থেকে প্রতিক্রিয়া পেতে শুরু করেছি। বর্তমান দিনের উপভোক্তারা পরিবেশ সম্পর্কে বেশ সচেতন। তাই পরিবেশবান্ধব যানবাহনকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। পরিবেশের প্রতি সহায়ক এবং কম খরচের কারণে অনেকেই ইলেকট্রিক টু-হুইলার কিনছেন।”
খোলকার যোগ করেন, “নতুন লঞ্চ হওয়া স্টোরটি এলাকার জনগণের, বৈদ্যুতিক যানবাহন গ্রহণ সহজ করে তুলবে এবং আমাদের বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞতা ও উচ্চ পরিষেবা ক্রেতাদের সুবিধা দেবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের স্টোর থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টু-হুইলার কেনার সুবিধা থাকার কারণে ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীরা আকৃষ্ট হবেন। পরবর্তীতে ভারতে আমাদের উপস্থিতি আরও দৃঢ় করার কাজ চালিয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, প্রথম ডিজিটাল মাল্টি ব্র্যান্ড ইভি স্টোর বিলাইভ-এর বর্তমানে ১৯টি শোরুম রয়েছে। ২০২৪-এর মধ্যে স্টোরের সংখ্যা ১০০ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সংস্থাটি। শীঘ্রই নতুন নতুন শহরে তারা নিজেদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ করবে। কার্বন মুক্ত দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়।