এই মাসের শেষে লঞ্চ, চলছে খুঁটিয়ে দেখার কাজ! ক্যামেরাবন্দি Bounce-র নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার
বিগত কয়েকমাস ধরে ভারতে যেন ইলেকট্রিক স্কুটারের বর্ষণ চলছে। থামার কোনও লক্ষণই চোখে পড়ছে না। প্রতিষ্ঠিত সংস্থা তো রয়েইছে,...বিগত কয়েকমাস ধরে ভারতে যেন ইলেকট্রিক স্কুটারের বর্ষণ চলছে। থামার কোনও লক্ষণই চোখে পড়ছে না। প্রতিষ্ঠিত সংস্থা তো রয়েইছে, পাশাপাশি নানা অনামী সংস্থা যাতায়াতের পরিচ্ছন্ন মাধ্যম হিসেবে বৈদ্যুতিক যানবাহনে এনে ব্যবসার পরিসর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। স্কুটার ভাড়া দেওয়ার পরিষেবা সরবরাহ করে ইতিমধ্যেই সুনাম কামিয়েছে বেঙ্গালুরুর এক স্টার্টআপ বাউন্স (Bounce)। এবার তারা সরাসরি বৈদ্যুতিক যান তৈরির ব্যবসায় পা রাখছে। চলতি মাসের শেষে আত্মপ্রকাশ করবে বাউন্সের প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার।
বাউন্স ইলেকট্রিক স্কুটার ডেলিভারির সময়সীমা (Bounce Electric Scooter Delivery Timeline)
বাউন্সের ই-স্কুটারের অফিসিয়াল নাম এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেটি ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
বাউন্স ইলেকট্রিক স্কুটার মুম্বইয়ের রাস্তায় স্পট করা হয়েছে (Bounce Electric Scooter has been spotted on the streets of Mumbai)।
বাউন্সের নামহীন ই-স্কুটারটি মুম্বইয়ের রাজপথে চালাতে দেখা গিয়েছে। একটি অটো ব্লগ রোড টেস্টিংয়ের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে Bounce-এর ই-স্কুটারের চেহারার সঙ্গে 22 Kymco iFlow-র অবিশ্বাস্য মিল চোখে পড়বে। প্রসঙ্গত, Bounce এক মাস আগেই ৫২ কোটি টাকা খরচ করে 22Motors অধিগ্রহণ করেছিল। এতএব, 22 Kymco iFlow-এর বহিরঙ্গ ও অভ্যন্তরে টুকটাক অদলবদল করে বাউন্স ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে বাজারে আনা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
ছবিতে ই-স্কুটারটির হাইলাইটগুলি হল, গোল ফুল-এলইডি হেডল্যাম্প, কার্ভি বডিওয়ার্ক, এলসিডি কনসোল, হাব মাউন্টেড মোটর, এবং ডিস্ক ব্রেক (ফ্রন্ট ও রিয়র)।
iFlow-এর ২.১ কিলোওয়াট ব্যাটারির পরিবর্তে Bounce-এর ই-স্কুটারে আরও বড় ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হতে পারে। এর ফলে Ola, Ather-দের মতো সংস্থার সাথে টক্কর দিতে সুবিধা হবে বাউন্সের। এটির ব্যাটারি প্যাক ও ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পুরোপুরি ভারতে তৈরি হলেও ব্যাটারির সেলগুলি প্যানাসনিক ও এলজি কেম থেকে আমদানি করা হবে।
বাউন্স ইলেকট্রিক স্কুটার সোয়াপেবল ব্যাটারি (Bounce Electric Scooter Swappable Battery)
বাউন্সের ই-স্কুটারের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হল, সোয়াপেবল (swappable) ব্যাটারি প্যাক। স্কুটারের মধ্যে ব্যাটারি ফিক্সড করা থাকবে না। সেটি খুলে নিজের ঘরেই চার্জ দেওয়া যাবে। ব্যাটারি সমেত অথবা ব্যাটারি ছাড়া ক্রয়ের সুবিধা থাকবে। ব্যাটারি না কিনতে চাইলে সেটি সংস্থার থেকে ভাড়ায় নেওয়া যাবে। মাসে দিতে হবে স্বল্প পরিমাণ টাকা। এতে গাড়ি কেনার খরচ অনেকটাই কমবে, কারণ একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মোট দামে ব্যাটারির খরচ প্রায় ৩০-৪০%।
ব্যাটারি সোয়াপিং প্রযুক্তির সুবিধাগুলি যাতে ব্যবহারকারীদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছনো যায়, তার জন্য ব্যাটারি সোয়াপ করার স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে বাউন্স। সোয়াপিং পয়েন্টগুলিতে এসে ব্যাটারি মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের ভিত্তিতে ভাড়া নেওয়া যাবে।
বাউন্স ইলেকট্রিক স্কুটার প্রত্যাশিত দাম (Bounce Electric Scooter Expected Price)
বাউন্স ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম রাখা হতে পারে ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি।