চাহিদা বাড়ছে ইলেকট্রিক স্কুটারের, একসাথে দু'টি নতুন শোরুম খুলল Bounce Infinity
ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যবসায় ক্রমশই উত্থান দেখছে দেশীয় স্টার্টআপ বাউন্স ইনফিনিটি (Bounce Infinity)। তাই আরও...ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যবসায় ক্রমশই উত্থান দেখছে দেশীয় স্টার্টআপ বাউন্স ইনফিনিটি (Bounce Infinity)। তাই আরও ক্রেতা টানতে একসাথে দুটি শোরুমের উদ্বোধন করল সংস্থাটি। একটি হায়দ্রাবাদের মাধাপুর এবং অপরটি দেরাদুনের হরিদ্বারে খোলা হয়েছে। ভারতে তাদের অষ্টম ও নবম শোরুম এটি। সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, এবার থেকে গ্রাহকরা অনলাইনে অথবা সরাসরি তাদের এই নতুন শোরুমে এসে স্কুটারের টেস্ট রাইড রিজার্ভ করতে পারবেন। এ বছরের এপ্রিল থেকে সংস্থাটি তাদের E1 ইলেকট্রিক স্কুটারের ডেলিভারি শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত তাদের এই মডেলটি ৬০,০০০-এর বেশি বুকিং পেয়েছে। আবার সম্প্রতি ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট (Flipkart)-এ লঞ্চ হয়েছে Bounce Infinity E1।
নতুন দুই স্টোর ছাড়াও বাউন্স ইনফিনিটির সাতটি শোরুম বেঙ্গালুরু, মোড়বিদ্রি, শিরসি, কুন্দপুরা, মুম্বাই, কোটা এবং জয়পুরে অবস্থিত। এমনকি চলতি বছরেই আরও ছয়টি নতুন ডিলারশিপ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেগুলি ভুবনেশ্বর, পুণে, সেকেন্দ্রাবাদ, বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া এবং চেন্নাইয়ে অবস্থিত হবে। বলা বাহুল্য, নতুন শোরুম উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করতে চাইছে তারা। এর আগে সংস্থাটি জানিয়েছিল ২০২২-এর মধ্যে এদেশে তারা আরও ৭৫টি রিটেল স্টোর চালু করবে। বর্তমানে তাদের স্কুটার E1 সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ই-কমার্স জায়ান্ট ফ্লিপকার্টে উপলব্ধ।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ২ ডিসেম্বর ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছিল Bounce Infinity E1। ব্যাটারি সমেত কিনলে এর দাম পড়বে ৬৮,৯৯৯ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। আবার Battery-as-a-service (ব্যাটারি ভাড়ায় নেওয়া) কিনলে এর মূল্য ৪৫,০৯৯ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। তবে ব্যাটারি ছাড়া কিনলে সাবস্ক্রিপশনের চার্জ যোগ হবে।
বৈদ্যুতিক স্কুটারটি পাঁচটি রঙের বিকল্পে উপলব্ধ – স্পোর্টি রেড, স্পার্কেল ব্ল্যাক, পার্ল হোয়াইট, ডেজার্ট সিলভার এবং কমেট গ্রে। এতে ২ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি প্যাক রয়েছে৷। পুরোপুরি চার্জে একটানা ৮৫ কিমি চলতে সক্ষম বলে দাবি সংস্থার। এতে উপস্থিত চারটি মোড – পাওয়ার, রিভার্স, ক্রুজ কন্ট্রোল এবং ড্র্যাগ মোড।এদিকে নতুন শোরুম খোলার পাশাপাশি আগামীতে ভারতের ১০টি শহরে কমপক্ষে ৩০০টি ব্যাটারি সোয়াপিং বা ব্যাটারি বদলের স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে তারা।