বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা নতুন শোরুম খুলল ভারতে, বাজার ধরতে নয়া ইলেকট্রিক SUV লঞ্চ করবে
বিক্রির নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা বিওয়াইডি (BYD) কেরলের পর অন্ধ্রপ্রদেশে ভারতে তাদের যাত্রী গাড়ির দ্বিতীয়...বিক্রির নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা বিওয়াইডি (BYD) কেরলের পর অন্ধ্রপ্রদেশে ভারতে তাদের যাত্রী গাড়ির দ্বিতীয় শোরুমের উদ্বোধন করল। সংস্থাটির প্যাসেঞ্জার গাড়ি বিক্রয় ও সেগুলির সার্ভিস সংক্রান্ত পরিষেবা দেবে নতুন ডিলারশিপটি। বিজয়ওয়াড়াতে পিপিএস মোটরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে শোরুমটি। ফলে বিজয়ওয়াড়াবাসী অন্য শহরে না গিয়েই বিওয়াইডির মতো নামী সংস্থার ইলেকট্রিক ভেহিকেল প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
সেখানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মচারী দ্বারা আধুনিক যন্ত্রপাতি সহযোগে গাড়ির বিক্রি ও সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের পরিষেবা পাবে গ্রাহকেরা। সাথে থাকবে ইভি চার্জিং স্টেশন। আর এভাবেই আগত গ্রাহকদের কাছে শোরুমের অভিজ্ঞতাকে অন্যরকমভাবে সংজ্ঞায়িত করবে বিওয়াডি। ২,০০০ বর্গফুট জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই শোরুমটি। এমনকি গ্রাহকদের জন্য রিলাক্সিং লাউঞ্জ-এর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। বহু সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে ছড়িয়ে পড়ার লক্ষ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়াতে তৈরি করা হয়েছে এই শোরুমের।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসাবে টেসলাকে পরাজিত করে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান বিওয়াডি। সেই সূত্র ধরেই এবার ভারতবর্ষকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তারা। গত বছর নভেম্বরে E6 নামক ব্যাটারি চালিত মাল্টিপারপাস ভেহিকেল লঞ্চের মাধ্যমে এদেশে পদার্পণ তাদের। শুরুতে বাণিজ্যিক ভাবে শুধু উপলব্ধ হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যও বিক্রি করা হচ্ছে এটি।
অন্য দিকে, সংস্থার দ্বিতীয় ইলেকট্রিক গাড়ি তথা প্রথম বৈদ্যুতিক এসইউভি হিসাবে Atto3 চলতি বছরের শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে এই দেশে। এ প্রসঙ্গে সংস্থার ভারতীয় শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় গোপালকৃষ্ণান বলেছেন, " আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই এই গাড়িটির ডেলিভারি দেওয়া শুরু হবে।" তার কথায় Atto 3 প্রকৃতপক্ষে একটি গ্লোবাল প্রোডাক্ট। সিঙ্গাপুর ও জাপানে ইতিমধ্যেই লঞ্চ হয়েছো গাড়িটি।
সংস্থার নিজস্ব পেটেন্ট নেওয়া ব্লেড প্রযুক্তির ৬০.৪৮ কিলোওয়াটের ব্যাটারি শক্তি যোগাবে Atto 3 কে। একবার চার্জে ৪৮০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারবে বলে দাবি সংস্থার। E6 এর মতোই এই মডেলটিও সংস্থার চেন্নাইয়ের কারখানায় যন্ত্রাংশগুলি জুড়ে তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দুটো শিফট মিলিয়ে অন্তত ৮০০ থেকে ৯০০টি গাড়ি উৎপাদন তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। পরবর্তীকালে বছরে প্রায় ১০ হাজার ইউনিট উৎপাদন করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এমনকি গাড়ির রেঞ্জ নিয়ে যাতে দুশ্চিন্তা না করতে হয়, তার জন্য চার্জজোন, ইন্ডি-প্রো সহ নানা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা।