একে মহার্ঘ জ্বালানি, তার উপর নতুন বছর থেকেই Tata, Maruti-দের গাড়ির দাম বাড়ছে, নেপথ্যে কী কারণ?
ভারতে জ্বালানির সাথে পাল্লা দিয়ে এ বছর বেশ কয়েকবার গাড়ির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির ভার প্রত্যক্ষ ভাবে...ভারতে জ্বালানির সাথে পাল্লা দিয়ে এ বছর বেশ কয়েকবার গাড়ির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির ভার প্রত্যক্ষ ভাবে ক্রেতাদের কাঁধেই চেপেছে। ফলে বহু ক্রেতাকেই যে নির্ধারিত বাজেট পার করে পছন্দের গাড়িটি কিনতে হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ২০২৩ থেকে এদেশে ফের সমস্ত গাড়ির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর জানিয়েছে, এর নেপথ্যে আরও কঠোর নির্গমন বিধি।
সহজভাবে বললে বর্তমানে ভারতে লাগু Bharat Stage VI বা BS-6 নির্গমন মাপকাঠির দ্বিতীয় পর্যায় আগামী বছর এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। যা মানতে হলে নির্মাতাদের তাদের গাড়ির ইঞ্জিন সহ নানা পার্টস আপডেটের জন্য বাড়তি বিনিয়োগ করতে হবে। ফলে ক্রেতাদের উপর চাপবে অতিরিক্ত বোঝা। গাড়ি কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে খবর।
২০২৩-এর এপ্রিল থেকে Tata, Maruti, Hyundai-সহ ভারতের প্রায় সমস্ত যাত্রী ও বাণিজ্যিক গাড়িতে মূল্য বৃদ্ধির কোপ পড়তে চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কারণ পরিবেশকে আরও দুষণমুক্ত করতে কার্যকর হতে চলা নয়া বিধি মেনে গাড়ি তৈরি করতে হলে সংস্থাগুলির খরচ বাড়বে। রিয়েলটাইম ড্রাইভিং এমিশনের মাত্রা বজায় গাড়িতে আরও উন্নত যন্ত্রাংশের প্রয়োজন। যেগুলি ক্যাটালিটিক কনভার্টার এবং অক্সিজেন সেন্সর হিসাবে কাজ করবে যাতে কার্বন নির্গমনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি কোনো কারণে কার্বন নির্গমনের মাপকাঠি পেরিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্নিং লাইট জানান দেবে। আবার ইঞ্জিনে তেলের জ্বলনের সময় ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করতে থাকবে প্রোগ্রামড ফুয়েল ইঞ্জেক্টর সিস্টেম।
এদিকে থ্রটল, ক্র্যাক শ্যাফ্ট পজিশন, এয়ার ইনটেক প্রেসার, ইঞ্জিনের তাপমাত্রা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গাড়িতে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরের উন্নত সংস্করণ ব্যবহার করা হবে। উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার সহ-সভাপতি এবং সেক্টর প্রধান রোহন কানওয়ার গুপ্তা ক্রেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, “নতুন বিধির জন্য যানবাহনের দাম খুব সামান্য বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিএস-৪ থেকে বিএস-৬-এ পরিবর্তিত হওয়ার চাইতে এবারের পরিবর্তন অতি নগন্য।” তবে গুপ্তা যোগ করেন, গত ১৫-১৮ মাসে কাঁচামালের খরচ বাড়ার কারণে গাড়ি শিল্পকে বারংবার মূল্যবৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এবারে ফের সামান্য দাম বাড়লে গাড়ির চাহিদায় ভাটা পড়তে পারে।